আপডেট :

        ভুড়িভোজের আয়োজন, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

        যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর এক সেনা সার্জেন্টকে গ্রেপ্তার করেছে রাশিয়া

        জেলেনস্কিকে হত্যার ষড়যন্ত্র, দুই ইউক্রেনীয় কর্নেল আটক

        দক্ষিণ আফ্রিকায় বহুতল ভবনধস, এখনো নিখোঁজ ৪৮

        ভবিষ্যতে আদালতের নির্দেশ লঙ্ঘন করলে কারাদণ্ড হতে পারে ট্রাম্পের বিচারক

        পুলিৎজার পেল রয়টার্স, ওয়াশিংটন পোস্ট

        ছয় বছরের রাষ্ট্রপতির মেয়াদের জন্য পঞ্চমবারের মতো শপথ নিয়েছেন পুতিন

        গাজা থেকে মিসরে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ রাফাহ ক্রসিংয়ের নিয়ন্ত্রণ

        মালদ্বীপ বয়কটের ডাক দেন ভারতীয়রা

        হাসপাতালেই স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করলেন এক ব্যক্তি

        হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল

        ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল

        কম বয়সে উচ্চ রক্তচাপ

        নিরপেক্ষভাবে সেবা প্রদানের জন্য নবীন পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করেছেন আইজিপি

        দেশের পশ্চিমাঞ্চলের চেয়ে পূর্বাঞ্চলে রেল দুর্ঘটনা বেশি ঘটছে

        সিরাজগঞ্জে মূলহোতাসহ ৫ প্রিজাইডিং অফিসার গ্রেপ্তার

        ভারতের লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফার ভোট আজ

        মাসজুড়ে টানা তাপপ্রবাহে নতুন রেকর্ড গড়েছে চলতি বছরের এপ্রিল মাস

        ৯৩ আসনের ভোটে আছেন অমিত শাহসহ নজরকাড়া সব প্রার্থী

        কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)

ইমিগ্র্যান্টদের নিয়ে ট্রাম্পের অশালীন মন্তব্য : বিশ্বজুড়ে নিন্দা, ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান

ইমিগ্র্যান্টদের নিয়ে ট্রাম্পের অশালীন মন্তব্য : বিশ্বজুড়ে নিন্দা, ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হেইতি, এল সালভাডর এবং আফ্রিকার কিছু দেশকে খুবই স্থূল ভাষায় বর্ণনা করেছেন বলে অভিযোগের পর এর বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ। বর্ণবাদী ভাষায় বর্ণনা করার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আফ্রিকার দেশগুলোর জোট আফ্রিকান ইউনিয়ন (এইউ)।

হোয়াইট হাউসে কংগ্রেস সদস্যদের সঙ্গে অভিবাসন নীতি নিয়ে এক বৈঠকের সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এসব দেশকে ‘শিটহোল’ বা পায়খানার গর্তের সঙ্গে তুলনা করেন। এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক নিন্দা এবং প্রতিবাদ শুরু হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অবশ্য এরকম শব্দ ব্যবহারের কথা অস্বীকার করছেন।

কিন্তু ওই বৈঠকে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেট দলীয় একজন সেনেটর ডিক ডারবিন দাবি করছেন, তিনি প্রেসিডেন্টকে বর্ণবাদী শব্দ ব্যবহার করতে শুনেছেন। তিনি শুধু একবার নয়, কয়েকবার এই শব্দটি ব্যবহার করেছেন। তিনি কিছু আফ্রিকান দেশকে শিটহোল বলে বর্ণনা করেছেন।

মার্কিন প্রভাবশালী দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট এবং ওয়াল স্ট্রীট জার্নালসহ অনেক সংবাদপত্রেই বৃহস্পতিবার এ খবর প্রকাশিত হয়। এর কোন প্রতিবাদ হোয়াইট হাউস থেকে করা হয়নি।

সিনেটর ডিক ডারবিন বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করতে পারছি না যে গতকাল প্রেসিডেন্ট যে শব্দগুলো সেখানে ব্যবহার করেছেন, হোয়াইট হাউসের ইতিহাসে, ওই ওভাল অফিসে বসে এর আগে কখনো কোন প্রেসিডেন্ট তা বলেছেন।’

অভিবাসন নিয়ে রিপাবলিকান এবং ডেমোক্রেট দলীয় সেনেটরদের একটি দল একটি প্রস্তাব নিয়ে প্রেসিডেন্টের কাছে গিয়েছিলেন। তখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নাকি তাদের বলেছিলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যুদ্ধ বা এরকম বিপর্যয়ের শিকার দেশগুলোর মানুষদের আশ্রয় দেয়ার চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বরং উচিত নরওয়ের মত দেশ থেকে অভিবাসীদের আনা।

ওয়াশিংটন পোস্ট প্রেসিডেন্টকে সরাসরি উদ্ধৃত করে বলছে, এর পর তিনি বলেছেন, এই সব ‘শিটহোল’ দেশ থেকে কেন লোকজনকে আমাদের দেশে আনতে হবে। সিনেটর ডারবিন বলেন, যখন প্রেসিডেন্টকে জানানো হয় যে ‘টেম্পোরারি প্রটেকটেড স্ট্যাটাস’ (টিপিএস) বা সাময়িক সুরক্ষা পাওয়া অভিবাসীদের বেশিরভাগই এল সালভাডর, হন্ডুরাস এবং হেইতির নাগরিক, তখন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, হেইশিয়ান? আমাদের কি আসলে আরও হেইশিয়ানের কোন দরকার আছে?

তবে শুক্রবার সকাল থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্প একের পর এক টুইট করে এরকম কথা বলার কথা অস্বীকার করতে থাকেন। তিনি বলেন, আমি হেইতির মানুষ সম্পর্কে বাজে কিছু বলিনি। বতসোয়ানা সেদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে ডেকে নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, এসব কথাবার্তা চরম দায়িত্বহীন, নিন্দনীয় এবং বর্ণবাদী।

আফ্রিকান ইউনিয়ন বলেছে, তারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মন্তব্য শুনে শঙ্কিত। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক মুখপাত্র রুপার্ট কোলভিল বলেছেন, যদি প্রেসিডেন্ট এসব কথা সত্যিই বলে থাকেন সেটা স্তম্ভিত হওয়ার মতো এবং লজ্জাজনক। তিনি বলেন, এটাকে বর্ণবাদী বলা ছাড়া আর কিছু বলার সুযোগ নেই।

আর যুক্তরাষ্ট্রে অশ্বেতাঙ্গ নাগরিকদের একটি সংগঠন ন্যাশনাল এসোসিয়েশেন ফর দ্য এডভান্সমেন্ট অব কালারড পিপল বলেছে, প্রেসিডেন্ট দিনে দিনে আরও বেশি করে বর্ণবাদ আর বিদেশি বিদ্বেষের গর্তের গভীরে ঢুকে যাচ্ছেন।

কংগ্রেসের এক কৃষ্ণাঙ্গ সদস্য সেডরিক রিচমন্ড বলেছেন, প্রেসিডেন্ট যে আমেরিকাকে আবারও সেরা দেশে পরিণত করার নামে আসলে শ্বেতাঙ্গদের দেশে পরিণত করতে চাইছেন, এটা তার আরও একটা প্রমাণ। বিবিসি বাংলা।

এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত