বিয়ে মানে ধর্ষণের লাইসেন্স!
রূপক ছবি
বিতর্কিত প্রবন্ধ
বিয়ের মানে খুঁজতে গেলে পাওয়া যাবে নানা মন্তব্য, নানা কথা। তবে মোটামুটি সবাই একটি
জায়গায় একমত হবেন এই কথাতে যে, বিয়ে মানে দুটি আত্মার, দুটি শরীরের মিলন।
এরকম আশা নিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে উঠলেও, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিয়েটা অনেকের কাছে হয়ে ওঠে
দুর্বিষহ। রাতের পর রাত নিজের অনিচ্ছায় স্বামীর হাতে হতে হয় ধর্ষণের শিকার।
বিয়ে মানে হলো-
১. বিয়ের এই সুন্দর দিনটা চিরজীবন মনে রাখা। অবশ্যই এই দায়িত্ব মেয়েদেরই।
২. বিয়ে মানেই আপনার নতুন বাবা-মা, দেওর-ভাসুর, মানে বিয়ের পর আপনি যাদের সবচেয়ে
বেশি গুরুত্ব দেন, তারা সবাই আপনাকে মারধর করতে পারেন, মানসিকভাবে নির্যাতন করতে
পারেন, জ্বালিয়েও দিতে পারেন। আর এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন আপনার বাবা-মা।
বলেন, 'একটু মানিয়ে নে মা। বিয়ে মানেই তো একটু সমঝোতা করে চলা। এটা গোটা জীবনের
ব্যাপার। জীবনটা নষ্ট করিস না।'
৩. বিয়ে কথাটির অর্থ ধর্ষণের লাইসেন্স পাওয়া। আমাদের এই মহান দেশে স্ত্রীকে ধর্ষণ করলে
কোনও অসুবিধে নেই। অনেকেই বলবেন, আমাদের দারিদ্র্য, অশিক্ষা, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও
মূল্যবোধের কথা মাথায় রেখে, আমাদের দেশে বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে ধরা ঠিক নয়।
এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই, প্রাচীনকাল থেকেই মেয়েদের জায়গা তো পুরুষদের পায়ের তলায়,
বা তার থেকে একটু ওপরে।
৪. এমন একটা দেশের থেকে আর কী-ই বা আশা করা যেতে পারে? যেখানে পণের জন্য মেয়েদের
বেচে দেওয়া হয়।
৫. বিয়ের আগেই বাবা-মা শিখিয়ে দেন, 'মা, বিয়ের পর তোমার শ্বশুর-শাশুড়িই তোমার নতুন
বাবা-মা।' আর ছেলেদের বিয়ের আগে শেখানো হয়, 'মেয়ে আর ড্রাম, এগুলি একমাত্র পেটালেই
ঠিক সুরে বাজে।'
৬. এই দেশে বিয়ের পর একটি মেয়ের পদবী, পরিচয়, দায়িত্ব, পছন্দ, এমনকী বাবা-মাও বদলে
যায়। আর ছেলেদের ক্ষেত্রে বদলায় শুধু বেডরুম।
৭. এই দেশে একটা মেয়ের পড়াশোনার থেকেও বিয়েতেই বেশি খরচ করা হয়।
শেয়ার করুন