দুই শতাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র
লস এঞ্জেলেস বিমানবন্দর ঘেঁষা বাড়িগুলো সাউন্ডপ্রুফ করতে অনুদান ঘোষণা
ছবি: এলএবাংলাটাইমস
লস এঞ্জেলেস বিমানবন্দরের আশেপাশে অবস্থিত বাড়িগুলোকে সাউন্ডপ্রুফ করার জন্য ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) দুই কোটি ডলারের অনুদান ঘোষণা করেছে। অনুদানটি ব্যবহার করে লস এঞ্জেলস সহ অন্যান্য এলাকার ১ হাজার ৩০০টি বাড়িকে সাইন্ডপ্রুফ করা হবে।
২ কোটি ডলারের অনুদান থেকে ৬০ লাখ ডলার এল সেগুন্ডোর জন্য বরাদ্দ থাকবে। বাকি ৫০ লাখ ডলার ইঙ্গেলউড ও ৯০ লাখ ডলার ডেল এয়ার, এথেন্স, লেনোক্স সহ অন্যান্য অঞ্চলে ব্যয় করা হবে। এই অর্থ ওই অঞ্চলের বাড়িগুলো সাইন্ডপ্রুফ করার পাশাপাশি এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেমের পিছনে ব্যয় করা হবে।
লস এঞ্জেলস ওয়ার্ল্ড বিমানবন্দরের জনসংযোগ পরিচালক হিথ মন্টগোমারির জানান, শুধুমাত্র এফএএ অনুমোদিত শব্দ মানচিত্রের উপর ভিত্তি করে নন-সাউন্ডপ্রুফ বাড়িগুলি এই অনুদানের জন্য যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবে। নন-সাউন্ডপ্রুফ বাড়িগুলোতে শব্দের উচ্চতার গড় ৬৫ ডেসিবেল বা তার অধিক হতে হবে।
যেসকল বাড়িগুলো যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবে, সেসকল বাড়িগুলোর মালিকদেরকে খরচ-বাবদ ৪০ হাজার ডলার দেওয়া হবে।
এলএ কাউন্টির সুপারভাইজার হলি মিচেল বলেন, ‘লস এঞ্জেলেস এয়ারপোর্ট পৃথিবীর তৃতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর। প্রতি মিনিটে এদিকে একটি প্লেন অবতরণ করে। আমরা অবশ্যই আমাদের অঞ্চলের এই শক্তিশালী আকর্ষণকে উদযাপন করব। কিন্তু পাশাপাশি আমাদের এটি খেয়াল রাখতে হবে যে বিমানবন্দরের কাছে অবস্থিত জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান এজন্য কমছে।‘
১৯৯৭ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত চলা একটি সাউন্ডপ্রুফিং প্রোগ্রামে যোগ্য হিসেবে বিবেচিত সম্পত্তি মালিকদের শতকরা ৮৯ ভাগই নিজেদের বাড়ি সাউন্ডপ্রুফ করতে সম্মত হয়েছিলো।
ওই প্রোগ্রামের মাধ্যমে ইঙ্গেলউডের ৭ হাজারেরও বেশি বাড়ি সাউন্ডপ্রুফ করা হয়েছে। এরকমই একটি বাড়ির মালিক হচ্ছেন ৬৯ বছর বয়সী আসুনসিওন রেনোসো। এয়ারপোর্ট থেকে কিছু দূরেই অবস্থিত তার বাড়ি ১০ বছর পূর্বেই সাউন্ডপ্রুফ করা হয়েছে। তিনি জানান, সময়ের সাথে সাথে অনেকেই আওয়াজের সাথে অভ্যস্ত হয়ে যায়। কিন্তু সাউন্ডপ্রুফিং করার পর সে আরো আরামের সাথে বসবাস করতে পারছে।
২০১৯ সালের একটি বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে, ইঙ্গেলউডের মধ্যবিত্ত,একক পরিবারগুলোর মধ্যে অসমানভাবে অনুদান বণ্টন করা হয়েছিলো। কর্তৃপক্ষ জানায়, জটিল জোনিংয়ের কারণে এয়ারপোর্টের নিকটে অবস্থিত বাড়িগুলো উন্নতি করা কঠিন।
মেয়র জেমস বাটস বলেন যে বিমানবন্দরের কাছাকাছি নিম্ন আয়ের এলাকাগুলো ভাড়ার সম্পত্তিতে পরিপূর্ণ। এই সকল ভাড়ার সম্পত্তির বাড়িওয়ালারা সম্পত্তিগুলোতে সঠিক নিয়ম বজায় রাখে না। এর ফলে অনুদান পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
তিনি জানান, সমস্যায় জর্জরিত সকল বাড়িগুলোকে সাউন্ডপ্রুফ করার জন্য তিনি সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।
এলএবাংলাটাইমস/এমডব্লিউ
শেয়ার করুন