আপডেট :

        সমুদ্র বাণিজ্যে নতুন ফি: বন্দরে অতিরিক্ত খরচের ঘোষণা

        বাংলাদেশী শর্ট ফিল্ম 'নিশি'র EMA জয়

        মিরাজের প্রশংসা: বাংলাদেশ দলের খেলায় রয়েছে সম্ভাবনা

        পুলিশের বাধা অতিক্রম করে শাহবাগ ব্লকেড: ভাতা বৃদ্ধি ও জাতীয়করণের দাবিতে শিক্ষকরা অটল

        গাজায় স্থায়ী শান্তির পথে: ট্রাম্প দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরুর ঘোষণা দেন

        দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় বিক্রি হওয়া টিকিটে ৫ কোটি ডলারের জ্যাকপট

        ক্যালিফোর্নিয়ার হান্টিংটন বিচে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা: আহত ৫ জন হাসপাতালে

        প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত সাবেক প্রেসিডেন্ট বাইডেনের রেডিয়েশন থেরাপি চলছে

        টেনেসিতে বিস্ফোরক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ: ১৬ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা, কেউ বেঁচে নেই

        মিসিসিপিতে ফুটবল খেলার পর গণগুলি: নিহত ৪, আহত ১২

        পুতিনের মন্তব্য: ট্রাম্প বঞ্চিত হওয়ায় নোবেল পুরস্কারের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ

        সমুদ্রের তলায় ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক হুমকি

        ইশরাক হোসেনের জীবনের নতুন অধ্যায়: কে তিনি বিয়ে করছেন?

        জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, এলপিজি সিলিন্ডারের মূল্য রাখতে হবে ১ হাজার টাকার মধ্যে

        চুয়েটের ‘টিম এসরো’ নাসার গ্লোবাল স্পেস চ্যালেঞ্জ ২০২৫-এর বিশ্বজয়ী

        নির্বাচনের ফেব্রুয়ারি তাং নিয়ে মানুষের মধ্যে অবিশ্বাস: মন্তব্য

        সিরিজে রশিদের স্পিনে বাঙালিরা হেরেছে

        আসল নকল মিলছে? আপনার ফোন নকল কিনা জানতে এই উপায়গুলো অনুসরণ করুন

        হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর হার ১ থেকে ৩৮

        দারুল উলুম দেওবন্দ পরিদর্শনে তালেবান পররাষ্ট্রমন্ত্রী, উষ্ণ অভ্যর্থনা

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে নীরব ঘাতক সুপারবাগ

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে নীরব  ঘাতক সুপারবাগ

এলএবাংলাটাইমস

পৃথিবীজুড়ে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ছে ‘সুপারবাগ ইনফেকশন’। অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী এই সুপারবাগ ২০১৯ সালে ১২ লাখের বেশি মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যখন কোনো ব্যাকটেরিয়া তার বিরুদ্ধে কার্যকর সব ওষুধ প্রতিরোধে সক্ষম হয়ে ওঠে তখন সেটিকে সুপারবাগ বলা হয়।

ল্যানসেট মেডিকেল জার্নালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুপারবাগ সংক্রমণে ২০১৯ সালে যে ১২ লাখ ৭০ হাজার মানুষ মারা গেছেন তাদের শরীরে সংক্রমণ রোধে সবচেয়ে কার্যকর অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা হলেও তা কাজে আসেনি।

ভারতে দ্রুত এই সুপারবাগ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন দেশটির চিকিৎসকরা।

দেশটির পশ্চিমের রাজ্য মহারাষ্ট্রের কস্তুরবা হাসপাতালে সুপারবাগে সংক্রমিত প্রায় এক হাজার রোগী ভর্তি আছেন। যাদের চিকিৎসা দিতে চিকিৎসকদের রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে।

অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স নামে এই নিরব ঘাতক যে দেশগুলোতে খুব দ্রুত ছড়াচ্ছে ভারত তার একটি।

বিবিসি জানায়, দেশটিতে প্রতিবছর অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সংক্রমণের কারণে প্রায় ৬০ হাজার নবজাতকের মৃত্যু হয়।

এ পরিস্থিতি কিভাবে আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে তা উঠে এসেছে নতুন এক সরকারি গবেষণা প্রতিবেদনে।

মহারাষ্ট্রের কস্তুরবা হাসপাতালে চালানো জরিপে দেখা গেছে, পাঁচটি প্রধান ব্যাকটেরিয়াল প্যাথোজেনকে (ব্যাকটেরিয়ার জীবাণু) মোকাবেলায় যেসব অ্যান্টিবায়োটিকের সবচেয়ে বেশি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল সেগুলো খুব কমই কাজ করছে।

এসব প্যাথোজেনের মধ্যে রয়েছে কলেরা সংক্রামক ই.কোলাই ব্যাকটেরিয়া, নিউমোনিয়ার ব্যাকটেরিয়া এবং শ্বাসনালী ও ত্বকের সংক্রামক রোগ ছড়ানো স্ট্যাফাইলোকক্কাস ব্যাকটেরিয়া।

এসব প্যাথোজেনের বিরুদ্ধে প্রধান যেসব অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়, সেগুলো এসব রোগ নিরাময়ে ১৫ শতাংশেরও কম কার্যকর বলে চিকিৎসকরা প্রমাণ পেয়েছেন।

তবে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হল একাধিক ওষুধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম অ্যাসিনেটোব্যাক্টার বাউমানি, যেটি সিসিইউতে লাইফ সাপোর্টে থাকা ফুসফুসের সমস্যার রোগীদের আক্রমণ করে।

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চের (আইসিএমআর) এক গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, কার্বাপেনেম নামের একদল অতি শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ এক বছরে ১০ শতাংশ বেড়ে গেছে। ৩০টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল থেকে সংগ্রহ করা তথ্যে এর প্রমাণ পাওয়া গেছে।

গবেষকদের প্রধান এবং আইসিএমআর-র বিজ্ঞানী ডা. কামিনী ওয়ালিয়া বলেন, ‘‘এটা খুবই আশঙ্কাজনক। কারণ, প্রাণঘাতী সেপসিস ও আইসিইউতে থাকা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের বেলায় শেষ চিকিৎসা হিসেবে এই অ্যান্টিবায়োটিক গ্রুপটি ব্যবহার করা হয়।”

আইসিএমআর এর গবেষণা প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। কারণ, ভারতে ২০১৬ সালে যেখানে একটি জীবাণুতে সৃষ্ট নিউমোনিয়ার সংক্রমণের ক্ষেত্রে প্রথম সারির অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে ৬৫ শতাংশ ক্ষেত্রে চিকিৎসা করা যেত। ২০২১ সালে এসে তা ৪৩ শতাংশে নেমে এসেছে।

কলকাতার এএমআরআই হাসপাতালের আইসিইউ বিশেষজ্ঞ শাশ্বতী সিনহা বলেন, ‘‘আইসিইউতে থাকা প্রতি ১০ জনে ৬ জন রোগীই অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট সংক্রমণে আক্রান্ত। পরিস্থিতি এত ভয়ানক যে কিছু রোগীর চিকিৎসার আর কোনো পথই খোলা থাকে না।”

কস্তুরবা হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, নিউমোনিয়া ও মূত্রনালির সংক্রমণ নিয়ে গ্রামাঞ্চল থেকে আসা রোগীদের চিকিৎসায়ও অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ করছে না। যেহেতু তাদের বেশিরভাগই প্রেসক্রিপশন ছাড়াই আসেন ও ওষুধের নামও বলতে পারেন না, তাদের অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ইতিহাস জানাও তাই দুষ্কর হয়ে পড়ে।

‘‘এইসব রোগীর চিকিৎসা দেওয়া অগ্নিপরীক্ষার সামিল হয়ে দাঁড়ায়। মরিয়া পরিস্থিতি থাকে এবং মরিয়া ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়। তাদের আরো বেশি বেশি অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হয় এবং ফলাফল ভালোর চেয়ে আরও বেশি খারাপ হয়ে পড়ে।”

এলএবাংলাটাইমস/এজেড

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত