দুই শতাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র
লস এঞ্জেলেসে বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত -
ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে, ক্যালিফোর্ণিয়া বিএনপি'র উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৮ই নভেম্বর রবিবার সন্ধ্যায় লস এঞ্জেলেসে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় স্হানীয় বিএনপি'র নেতা-কর্মীরা ছাড়াও বিপুল সংখ্যক সাধারণ প্রবাসী বাংলাদেশীরা উপস্হিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ক্যালিফোর্ণিয়া বিএনপি'র সভাপতি জনাব মো: আ: বাছিত। অনুষ্ঠানে বক্তৃতা ও আলোচনার পাশাপাশি দেশ ও জাতির কল্যাণ এবং সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
বক্তারা বলেন, গলাবাজি করে মিথ্যার প্রাসাদ গড়ে সত্যকে চাপা দেয়া যায়না। বন্দুকের নল দিয়ে ইতিহাস বদলানো যায়না। বাকশাল, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন গ্রুপিং ও জাসদের অপরাজনীতির কারণে দেশে বিরাজ করছিল এক চরম বিশৃঙ্খল পরিস্হিতি। ৩ থেকে ৭ তারিখ পর্যন্ত দেশে কোন সরকার ছিলনা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হয়ে পড়েছিল হুমকির সম্মুখীন। তখন ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর বাংলাদেশের সিপাহী-জনতা মিলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিপ্লবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। এই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরে এসেছিল। বিপদগ্রস্ত দেশের আপামর জনগণ সেদিন জিয়াউর রহমানের হাতেই অর্পন করেছিল রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্ব। তিনিই দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনেন।
ক্যালিফোর্ণিয়া বিএনপি'র সভাপতি মো: আ: বাছিত বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কখনো তোষামোদ, তৈলমর্দন, সুপারিশ প্রশ্রয় দিতেন না। অন্যায় আবদার কিংবা প্রশাসনে অনিয়ম ও দুর্নীতি সহ্য করতেন না। তিনি চেইন অব কমান্ড পুরোপুরি মেনে চলতেন এবং সকলকে মেনে চলতে বলতেন। তিনি ছিলেন আপাদমস্তক সৎ একজন রাজনীতিবিদ, সফল সমরনায়ক আর বিচক্ষণ দেশনায়ক। এমন সৎ ও নিষ্ঠবান রাষ্ট্রপতি পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।
আলোচকবৃন্দ আরও বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা গণতন্ত্র আজ পদদলিত। দেশে সুস্হ রাজনীতি নাই, দেশী-বিদেশী কোন নাগরিকের জীবনের নিরাপত্তা নাই। একের পর এক গুম-খুন ঘটে চলেছে, কিন্তু কোন বিচার হচ্ছেনা। এই ফ্যাসীবাদী আর গণতন্ত্র বিরোধী আওয়ামী অপশক্তির বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। বক্তারা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সকল স্তরের নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করে সকলের মুক্তি দাবি করেন।
বিপ্লব ও সংহতি দিবসের অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্হিত ছিলেন বদরুল এ চৌধুরী, এম ওয়াহিদ রহমান, মাহতাব আহমেদ, সামসুজ্জোহা বাবলু, সৈয়দ নাসির জেবুল, লায়েক আহমেদ, মারুফ খান, জুনেল আহমেদ, ফালিক মিয়া, তানভীর আহমেদ, খসরুজ্জামান, তানিম আহমেদ, মিল্লাত'সহ বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মীগণ।
শেয়ার করুন