দুই শতাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র
মুর্শেদুল ইসলামের মায়ের মৃত্যুতে ক্যালিফোর্ণিয়া বিএনপি'র শোক
বিশিষ্ট কম্যূনিটি এক্টিভিষ্ট ও ক্যালিফোর্ণিয়া বিএনপি'র সিনিয়র সহ-সভাপতি মুর্শেদুল ইসলামের মাতা রিজিয়া খাতুনের (৮৪) ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে ক্যালিফোর্ণিয়া বিএনপি। গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোক বার্তায় ক্যালিফোর্ণিয়া বিএনপি'র সভাপতি মো. আ. বাছিতসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা এতে স্বাক্ষর করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, মরহুমা রিজিয়া খাতুন ছিলেন একজন মহীয়সি নারী এবং একজন রত্নগর্ভা জননী। তিনি অত্যন্ত ধার্মিক, সৎ, সজ্জন ও স্পষ্টভাষী মানুষ হিসেবে সামাজিকভাবে পরিচিত ছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বিভিন্নভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য সহযোগিতা করেছেন, মৃত্যুভয়কে তোয়াক্কা না করে নানা ভয়-ভীতির ঊর্ধ্বে থেকে যুদ্ধকালীন সময়ে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের নিজ বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছেন। আমরা মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে মরহুমার বিদেহী আত্নার মাগফেরাত কামনা করি এবং তার পরিবারের সকল সদস্যদের জানাই গভীর সমবেদনা। সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করি।
গত ২৭শে এপ্রিল ২০১৬, বুধবার রাতে, ঢাকার মোহাম্মদপুরে অবস্হিত 'ট্রমা সেন্টার হাসপাতালে' বিশিষ্ট সমাজসেবী রিজিয়া খাতুন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি.... রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। তিনি দিনাজপুর সদর থানার গণেশতলা নিবাসী মরহুম মঈনউদ্দিন হোসেনের সহধর্মিনী ছিলেন। গত রবিবার সকালে দিনাজপুরের নিজ বাসভবনে হঠাৎ অসুস্হ হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় ট্রমা সেন্টারে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। তিনি ৬জন পুত্র সন্তান ও ১জন কণ্যা সন্তান রেখে গেছেন, স্বামী মঈনউদ্দিন হোসেন ২০০৯সালে ইন্তেকাল করেন।
ক্যালিফোর্ণিয়া বিএনপি'র সিনিয়র সহ-সভাপতি মুর্শেদুল ইসলাম ছয় ভাই-বোনদের মধ্যে পঞ্চম। জনাব মুর্শেদুল ইসলাম গত এক দশকের বেশী সময় যাবৎ স্ত্রী-পরিবারসহ লস এঞ্জেলেসে বসবাস করছেন। এর আগে তিনি দিনাজপুরের 'কাদের বক্স মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজে' অধ্যাপনা করেছেন। এছাড়াও ক্রীড়ানুরাগী ব্যক্তি হিসেবে তার পরিচিতি ব্যাপক। জনাব মুর্শেদ নিজে খেলোয়াড়ি জীবন শেষে 'বাংলাদেশ ভলিবল ফেডারেশনে'র নির্বাহী সদস্য হিসেবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।
ক্যালিফোর্ণিয়া বিএনপি'র এ শোক বিবৃতিতে সভাপতি মো. আ. বাছিত সহ আরও স্বাক্ষর করেছেন- নজরুল ইসলাম চৌধুরী কাঞ্চন, মুর্শেদুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান শাহীন, সামসুজ্জোহা বাবলু, আহসান হাফিজ রুমী, সালাম দাড়িয়া, মাহতাব আহমেদ, এম. ওয়াহিদ রহমান, বদরুল আলম চৌধুরী শিপলু, জুনেল আহমেদ, ডাবলু আমিন, ফারুক হাওলাদার, লায়েক আহমেদ, সৈয়দ নাসিরউদ্দিন জেবুল, মারুফ খান, মোয়াজ্জেম রাসেল, বদরুল আলম মাসুদ, শাহীন হক, মিকায়েল খান রাসেল, শাহাদাত শাহীন, লোকমান হোসেন, জাভেদ বখত, সেলিমা ইয়াসমিন, রওশন আরা, আবদুল হাকিম, খন্দকার তসলিম, আমজাদ হোসেন, মন্টু চৌধুরি, মুনিম আহমেদ, আবুল হোসাইন, মোস্তফা কামাল, ওমর ফারুক, বাবুল হোসেন, পারভেজ, হাসানুজ্জামান মিজান, শান্ত, ইলিয়াস শিকদার, মামুন খান, ফেরদৌস সুজন, মিশর নুন, মাহমুদ, আলি হায়দার মিল্টন, তারিক বাবু, আলমগীর, আউয়াল অপু, হালিম, এনাম, জহির, হামিদ খোকন, পলাশ, নাঈম, ফাহিম, ইমন, ও হীরা সহ স্হানীয় বিএনপি'র নেতাকর্মীরা।
শেয়ার করুন