লস এঞ্জেলেসে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ, ১০১ ফ্রিওয়েতে তীব্র যানজট
ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পিত গণ নির্বাসনের বিরুদ্ধে রোববার লস এঞ্জেলেসের রাস্তায় নেমে আসে হাজারো মানুষ। তারা শহরের বেশ কয়েকটি প্রধান সড়ক অবরোধের পাশাপাশি ১০১ ফ্রিওয়ে দখল করে নিলে শহরজুড়ে ব্যাপক ট্রাফিক জট সৃষ্টি হয় বলে জানিয়েছে লস এঞ্জেলেস পুলিশ বিভাগ (LAPD)।
১০১ ফ্রিওয়ে রাত ৮টার দিকে পুনরায় খুলে দেওয়া হলেও, তখনও হাজারো বিক্ষোভকারী শহরের বিভিন্ন রাস্তায় অবস্থান করছিল। তারা একাধিকবার ফ্রিওয়েতে ফের প্রবেশের চেষ্টা করলেও LAPD সদস্যরা তাদের প্রতিহত করে।
"সীমানা নয়, মানুষ আগে"—বিক্ষোভে জোরালো স্লোগান
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বিক্ষোভকারীদের অনেকেই মেক্সিকো এবং মধ্য আমেরিকার পতাকা হাতে "Sí, se puede" (হ্যাঁ, আমরা পারি) স্লোগান দিচ্ছিলেন। তাদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডগুলোতে ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদী বার্তা লেখা ছিল। একটিতে লেখা ছিল, "চুরি করা ভূমিতে কেউ অবৈধ নয়", আরেকটিতে লেখা ছিল "যারা তোমাকে খাওয়ায়, তাদের হাত কামড়াবে না"।
রোববার সকাল ১১টার দিকে বিক্ষোভকারীরা ওলভেরা স্ট্রিট থেকে যাত্রা শুরু করে লস এঞ্জেলেস সিটি হলে পৌঁছান। দুপুর ১২:৩০ নাগাদ তারা ১০১ ফ্রিওয়েতে উঠে পড়লে, ১১০ ফ্রিওয়ে থেকে আলামেডা স্ট্রিট পর্যন্ত উভয় দিক বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ক্যালিফোর্নিয়া হাইওয়ে পেট্রোল (CHP) জানায়, "রাজ্য সড়ক বা মহাসড়কে প্রবেশ করে বিক্ষোভ করা বেআইনি এবং অত্যন্ত বিপজ্জনক, কারণ এটি বিক্ষোভকারী, যানবাহন এবং জরুরি সেবাদাতাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ"।
দিনভর রাস্তায় অচলাবস্থা, ট্রাফিক ব্যাহত
বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়ার পর দুপুর ১:২০ নাগাদ ফ্রিওয়ে আংশিক খুলে দেওয়া হলেও আধা ঘণ্টার মধ্যেই তারা লস এঞ্জেলেস স্ট্রিটের কাছে পুনরায় ১০১ ফ্রিওয়ে অবরোধ করে। বিকেল ৪টার আগে LAPD জানায়, বিক্ষোভকারীরা তখনো শহরের প্রধান সড়কগুলোতে অবস্থান করছিল।
লস এঞ্জেলেস পুলিশ জানায়, "আলিসো এবং মেইন স্ট্রিটের কিছু অংশ যানবাহন ও বিক্ষোভকারীদের দ্বারা অবরুদ্ধ। সিটি হলের সিঁড়ির সামনে বিক্ষোভকারীদের ভিড় জমেছে।"
অন্যান্য শহরেও বিক্ষোভ
শুধু লস এঞ্জেলেসেই নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য শহরেও ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়।
রিভারসাইডে টাইলার স্ট্রিট ও ম্যাগনোলিয়া অ্যাভিনিউতে কয়েকশ মানুষ ব্যানার ও পতাকা হাতে জমায়েত হয়েছিলেন। গার্ডেন গ্রোভের চ্যাপম্যান অ্যাভিনিউ ও বিচ বুলেভার্ডেও শত শত মানুষ অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করে।
গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসের কারণে আগেই ছিল যানজট
বিক্ষোভের কারণে লস এঞ্জেলেসে আগে থেকেই যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে, কারণ সেদিন শহরে গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসের অনুষ্ঠান উপলক্ষে বেশ কয়েকটি রাস্তা বন্ধ ছিল।
LAPD জানায়, এখন পর্যন্ত কোনো গ্রেপ্তার বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন