গাঁজা সেবনের পর অনেকেই গাড়ি চালান, যা দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ায়
ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস
যুক্তরাষ্ট্রে গাঁজার ব্যবহার ক্রমাগত বাড়ছে, এবং বর্তমানে ৩৮টি অঙ্গরাজ্যে এটি বিনোদনমূলক বা চিকিৎসাগতভাবে বৈধ। তবে অনেক ব্যবহারকারী গাঁজা সেবনের পর নিরাপদ ড্রাইভিং নিয়ে যথেষ্ট সচেতন নন।
AAA ফাউন্ডেশন ফর ট্রাফিক সেফটির গবেষণা অনুযায়ী:
প্রায় ৪৫% গাঁজা ব্যবহারকারী দিনে একাধিকবার গাঁজা সেবন করেন। ৫৮% ব্যবহারকারী প্রতিদিন গাড়ি চালান। ৮০%-এর বেশি ব্যবহারকারী গাঁজা সেবনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গাড়ি চালানোর কথা স্বীকার করেছেন। প্রায় অর্ধেক ব্যবহারকারী মনে করেন গাঁজা তাদের ড্রাইভিং দক্ষতার উপর তেমন প্রভাব ফেলে না। AAA-এর গবেষকরা বলছেন, গাঁজা সেবনের পর ড্রাইভিংয়ের ঝুঁকি সম্পর্কে ব্যবহারকারীদের আরও সচেতন করতে হবে, কারণ এটি দুর্ঘটনা, আঘাত ও মৃত্যুর সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে।
AAA ফাউন্ডেশন দুটি পরিপূরক গবেষণা পরিচালনা করেছে:
1. গাঁজা ব্যবহারকারীদের দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্লেষণ
2. এই প্রবণতা কমাতে কার্যকরী বার্তা কীভাবে প্রদান করা যায় তা চিহ্নিত করা
দ্বিতীয় গবেষণায় দেখা গেছে, ব্যক্তিগত দায়িত্ব ও নিরাপত্তার ওপর গুরুত্ব দেওয়া বার্তা বেশি কার্যকরী। আইনগত ঝুঁকি নিয়ে প্রচারণার চেয়ে এ ধরনের বার্তা বেশি গ্রহণযোগ্য।
গাঁজা ব্যবহারকারীরা মূলত বাস্তবধর্মী, ইতিবাচক এবং বৈচিত্র্যময় বার্তা পছন্দ করেন, যেখানে অতিরঞ্জিত বা নেতিবাচক স্টেরিওটাইপ এড়ানো হয়।
এছাড়া, গাঁজা শিল্পের প্রতি ব্যবহারকারীদের আস্থা বেশি থাকায়, ট্রাফিক নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর উচিত এই শিল্পের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করা এবং ব্যবহারকারীদের জন্য গ্রহণযোগ্য বার্তা তৈরি করা। AAA-এর ট্রাফিক সেফটি ডিরেক্টর জেক নেলসন বলেন, “কার্যকর বার্তাগুলোর মধ্যে থাকতে হবে বিশ্বস্ত কণ্ঠ, বাস্তব অভিজ্ঞতা, এবং সম্মানজনক ভাষা।” সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জনসচেতনতা প্রচারাভিযান চালানোর সুপারিশ করেছে AAA গবেষকরা। প্রচারণায় সাধারণ ভুল ধারণা দূর করা এবং গাঁজার কারণে কীভাবে ক্লান্তি, বিভ্রান্তি ও অনুভূতি পরিবর্তন ঘটে, তা তুলে ধরা উচিত।
এলএবাংলাটাইমস/এজেড
শেয়ার করুন