কুখ্যাত খুনির সাথে দাম্পত্য সাক্ষাৎকালে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ
ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস
ক্যালিফোর্নিয়ার এক কুখ্যাত খুনি, যিনি লস এঞ্জেলেস কাউন্টিতে চারজন পুরুষকে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন, দাম্পত্য সাক্ষাৎকালে নিজের স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
ডেভিড ব্রিনসন নামের এই দণ্ডিত আসামি ১৯৯০ সালের ১২ জুন লস এঞ্জেলেসের মিড-উইলশায়ার জেলার সাউথ বার্নসাইড অ্যাভিনিউতে একটি গ্যারেজ অ্যাপার্টমেন্টে চার ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেন।
ব্রিনসনের বিচার চলাকালীন সাক্ষীরা জানান, তিনি ওই বাড়ির মালিক রবার্ট মার্কস (৫৯)-কে একজন ক্ষমতাধর কোকেন ব্যবসায়ী মনে করতেন। সেই বিশ্বাস থেকে তিনি দুই সহযোগীসহ অস্ত্র হাতে সেখানে হাজির হন, উদ্দেশ্য ছিল মাদক ও অর্থ লুট করা। তবে ফ্ল্যাট তল্লাশি করেও উল্লেখযোগ্য কিছু না পেয়ে, তিনি মার্কস এবং তার সঙ্গে থাকা জিন ম্যাককালার্স (২৮), সেলেডিনো লিগটাস (৩৩) এবং উইলিয়াম টেরি (২৭)-কে শুয়ে পড়তে বলেন এবং এক্সিকিউশন স্টাইলে (গোলাগুলির মাধ্যমে) হত্যা করেন।
ঘটনার সময় তারা সবাই মার্কসের অ্যাপার্টমেন্টে বাস্কেটবল খেলা দেখতে জড়ো হয়েছিলেন।
ব্রিনসন বর্তমানে মুল ক্রিক স্টেট প্রিজন-এ চারটি যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করছিলেন। সেখানেই তিনি ২০২৪ সালের ১৩ নভেম্বর স্ত্রী স্টেফানি ব্রিনসন (৬২)-কে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন।
ক্যালিফোর্নিয়া ডিপার্টমেন্ট অফ কারেকশনস অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশনের (CDCR) তথ্যমতে, কারাগারের দাম্পত্য সাক্ষাৎ (Family Visit) একটি বেসরকারি অ্যাপার্টমেন্টের মতো স্থানে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে কয়েদির নিকট আত্মীয়রা, যেমন স্ত্রী, সন্তান ও বাবা-মা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য থাকতে পারেন। এই সাক্ষাৎ সাধারণত ৩০ থেকে ৪০ ঘণ্টা স্থায়ী হয়।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাতে জানা গেছে, ১৩ নভেম্বর ভোর রাত ২টার দিকে ব্রিনসন কারারক্ষীদের জানান যে তার স্ত্রী অচেতন হয়ে পড়েছেন।
কারাগারের কর্মীরা জীবন রক্ষার চেষ্টা করলেও রাত ৩টার আগে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
চার মাস পর কাউন্টির করোনার (ময়নাতদন্তকারী) রিপোর্ট প্রকাশ হলে জানা যায় যে স্টেফানি ব্রিনসনকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
অ্যামাডর কাউন্টির জেলা অ্যাটর্নি টড রিবে নিশ্চিত করেছেন যে পুরো তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পরই ব্রিনসনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হবে।
ব্রিনসনকে ইতোমধ্যে ক্যালিফোর্নিয়া হেলথ কেয়ার ফ্যাসিলিটিতে (স্টকটন) স্থানান্তর করা হয়েছে, যেখানে দীর্ঘমেয়াদী শারীরিক ও মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন হয় এমন বন্দিদের রাখা হয়।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন