বেশি কথা বলায় ছাত্রীকে ডাকটেপ দিয়ে মুখ বন্ধ করার অভিযোগ, অভিযুক্ত নিরাপত্তারক্ষী বরখাস্ত
ছবি: এলএবাংলাটাইমস
পাসাডেনার একটি স্কুলের অস্থায়ী নিরাপত্তারক্ষীর বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে “বেশি কথা বলার” কারণে তার মুখে ডাকটেপ লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী ১১ বছর বয়সী নোয়েমি হার্টাডো, যিনি ব্লেয়ার মিডল স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী, তার পরিবার শুক্রবার (২৯ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরে।
নোয়েমির পরিবারের দাবি, গত বুধবার স্কুলের খেলার মাঠে বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। এ সময় ওই নিরাপত্তারক্ষী জোর করে তাকে নিজের মুখে ডাকটেপ লাগাতে বাধ্য করেন।
“এটাই তো শিশুরা করে! খেলার মাঠে কথা বলা তার অধিকার,” – বলেন নাজি আলী, যিনি প্রজেক্ট ইসলামিক হোপ-এর পক্ষ থেকে পরিবারটিকে সহায়তা দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, “কিন্তু এই নিরাপত্তারক্ষী অতিরিক্ত ক্ষমতার অপব্যবহার করে নোয়েমির মুখে ডাকটেপ লাগান, তাকে স্কুল অফিসে নিয়ে যান এবং সেখানেও মুখ বন্ধ রাখা হয়। এরপর পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে তাকে এই অবস্থায় পরবর্তী ক্লাসে পাঠানো হয়।”
নোয়েমির বাবা রিকার্ডো হার্টাডো বলেন, “আমার মেয়ে এখনও মুখে ডাকটেপের আঠার অনুভূতি পাচ্ছে। এটি তোলাই কঠিন ছিল। আমার ১১ বছরের মেয়ের এরকম ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাওয়ার কথা নয়।”
পাসাডেনা শহর কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে, পুলিশ বিভাগ ওই ঘটনার রিপোর্ট পেয়েছে এবং গোয়েন্দারা তদন্ত শুরু করেছে।
শহরের মুখপাত্র লিসা ডারডেরিয়ান বলেন, “আমরা এই ঘটনাটিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছি এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলব।”
পাসাডেনা ইউনিফায়েড স্কুল ডিস্ট্রিক্ট এক বিবৃতিতে জানায়, অভিযুক্ত অস্থায়ী নিরাপত্তারক্ষীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
“চলমান তদন্ত সম্পর্কে মন্তব্য করা সম্ভব নয়, তবে আমরা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছি এবং পাসাডেনা পুলিশের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করছি। আমাদের অঙ্গীকার হলো—শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নিরাপদ ও সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করা,” – বলা হয় বিবৃতিতে।
ঘটনার তদন্ত এখনো চলছে।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন