সান্তা মনিকায় ভয়াবহ কুকুরের আক্রমণে প্রাণ গেল ছোট্ট পুডল 'ডাবলিন'-এর, দোষী মালিক পলাতক
ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস
সান্তা মনিকার এক দম্পতি সাহায্যের জন্য আকুতি জানাচ্ছেন, কারণ শুক্রবার সন্ধ্যায় তাদের ৪ পাউন্ড ওজনের টয় পুডল 'ডাবলিন' একটি হিংস্র কুকুরের আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছে।
১১ বছর বয়সী ডাবলিনকে প্রতিদিনের মত হাঁটাতে বের হয়েছিলেন অ্যালিসা ক্লুগ ও ক্রিস্টোফার ডিট্রিক। স্থানীয় সময় বিকেল ৫:৩০ টার দিকে, স্ট্র্যান্ড স্ট্রিটে (মেইন ও ২য় স্ট্রিটের মাঝামাঝি), একটি বড় আকারের কুকুর হঠাৎ আক্রমণ করে বসে ডাবলিনকে। সেই কুকুরটি লিসে বাঁধা ছিল, কিন্তু হঠাৎ করেই সে ছিঁড়ে এসে ডাবলিনের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
ঘটনার ভিডিও ফুটেজে আক্রমণের মুহূর্ত দেখা না গেলেও, চারপাশের লোকজনের আর্তনাদ, ডাবলিনের মালিকদের আতঙ্কিত চিৎকার এবং পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টার দৃশ্য ধরা পড়ে।
"সে কিছুতেই ছাড়ছিল না, খুব খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এটা ছিল অত্যন্ত হিংস্র," বললেন এক প্রত্যক্ষদর্শী।
ক্লুগ ও ডিট্রিক জানান, আক্রমণের সময় দোষী কুকুরটির মালিক পাশেই একটি সাদা গাড়ির গায়ে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু কুকুরটি যখন ডাবলিনকে আক্রমণ করে, তখন তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি। ডাবলিনকে দ্রুত পশু হাসপাতালে নেওয়া হলেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ভয়াবহ ঘটনাটির কিছুক্ষণের মধ্যেই, সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও তার কুকুরটিকে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে দেখা যায় একটি সিসিটিভি ফুটেজে। ডাবলিনের মালিকরা এখন কমিউনিটির সহায়তা চাইছেন ওই ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে।
“এই লোকটা একজন কাপুরুষ। শুধু আমার শিশুকে মেরে ফেলেছে তা নয়, পালিয়েও গেছে,” বলেন ক্লুগ স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে। “আমরা যেকোনো তথ্য খুঁজছি। তাকে খুঁজে বের করতেই হবে।”
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি ৪র্থ স্ট্রিট দিয়ে দৌড়ে একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের দিকে যায় এবং তখন কেউ তাকে ইংরেজি উচ্চারণে বলতে শোনেন, “তারা আমার কুকুরকে মেরে ফেলবে।”
১১ এপ্রিলের এই ঘটনার পর, দম্পতি প্রতিবেশী এলাকায় পোস্টার লাগিয়েছেন এবং আরও ভিডিও ফুটেজ খুঁজছেন দোষী ব্যক্তিকে শনাক্ত করার জন্য। “আমরা এখন শুধু জানতে চাই, এই লোকটা কে,” বলেন ডিট্রিক। “আমাদের ছোট্ট ছেলেটা আর ফিরে আসবে না, কিন্তু একটু হলেও ন্যায়বিচার পেলে শান্তি পাব।”
তাদের মতে, কুকুরটির মালিককে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে, যেন আর কোনো পরিবার এমন মর্মান্তিক অভিজ্ঞতার শিকার না হয়।
“আমি পশুপ্রেমী। একজন পশু মালিক হিসেবে দায়িত্ব হল নিজের প্রাণীর যত্ন নেওয়া এবং নিশ্চিত করা যে সে অন্যদের ক্ষতি না করে। এই মানুষটি সেই দায়িত্বে ব্যর্থ হয়েছে,” বলেন ক্লুগ। “তাকে এর মূল্য দিতে হবে।”
এলএবাংলাটাইমস/এজেড
শেয়ার করুন