দুই শতাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র
সৈয়দ নাসির জেবুলের পিতার মৃত্যুতে ক্যালিফোর্ণিয়া বিএনপি'র শোক প্রকাশ
যুক্তরাষ্ট্র লস এঞ্জেলেসে প্রবাসী বাংলাদেশী কম্যুনিটির সুপরিচিত মুখ, ক্যালিফোর্ণিয়া বিএনপি'র প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও কম্যুনিটি এক্টিভিস্ট সৈয়দ নাসির উদ্দীন জেবুলের পিতা সৈয়দ মিনহাজ উদ্দীন আহমেদের (৭৬) মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে ক্যালিফোর্ণিয়া বিএনপি। গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোক বার্তায় ক্যালিফোর্ণিয়া বিএনপি'র সভাপতি মো. আ. বাছিত'সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা এতে স্বাক্ষর করেছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, মরহুম সৈয়দ মিনহাজ উদ্দীন আহমেদ ছিলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় একজন শিক্ষক এবং একজন সমাজ সংস্কারক। তিনি অত্যন্ত ধার্মিক, দয়ালু, সৎ, সজ্জন ও স্পষ্টভাষী মানুষ হিসেবে সমাজে সুপরিচিত ছিলেন। একজন সমাজসেবক হিসেবে সিলেট অঞ্চলের মানুষের মনে তিনি অমর হয়ে থাকবেন। আমরা মরহুমের বিদেহী আত্নার মাগফেরাত কামনা করি এবং তার পরিবারের সকল সদস্যদের জানাই গভীর সমবেদনা।
গত ২২শে জুন বুধবার সকালে নগরীর ইবনে সিনা হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই মহান শিক্ষক ও বিশিষ্ট সমাজসেবক জনাব সৈয়দ মিনহাজ উদ্দীন আহমেদ (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি বাংলাদেশের সিলেট জেলা সদরের নিকটবর্তী ওসমানী নগর উপজেলার হোসননমকী গ্রামের সম্ভ্রান্ত 'সৈয়দ বাড়ি'র সন্তান এবং সেখানেই তিনি বসবাস করতেন। দীর্ঘকাল তিনি ভোলানন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়কালে যখন গ্রামের সকল মানুষ প্রাণভয়ে বাড়িঘর ছেড়ে চলে যায়, সেদিন সকলকে অভয় দিয়ে দৃঢ় মনোবল নিয়ে নিজ ভিটায় রয়ে গিয়েছিলেন সৈয়দ মিনহাজ উদ্দীন। যুদ্ধের ভয়াবহ সময়ে সৈয়দ বাড়িতে তিনি আশ্রয় দিয়েছিলেন গ্রামের বহু পরিবারকে। সারা জীবন তিনি মানুষ ও সমাজের কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করে গেছেন।তার এই ভূমিকার জন্য সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষজন মরহুম সৈয়দ মিনহাজ উদ্দীনকে চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে মনে রাখবেন। তিনি ছিলেন আজীবন জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দর্শনের একজন একনিষ্ঠ সমর্থক। কোন অন্যায়কে তিনি কখনও প্রশ্রয় দেননি। সমগ্র পৃথিবীতে আজ ছড়িয়ে আছে তার মহান জ্ঞানের উত্তরসূ্রিরা । তার ছাত্রদের মধ্য দিয়ে চিরদিন বয়ে যাবে তার জ্ঞানের ধজ্জ্বা। শিক্ষকের মৃ্ত্যু রয়েছে, কিন্তু শিক্ষার মৃ্ত্যু নেই।
সৈয়দ মিনহাজ উদ্দীন আহমেদরা ছিলেন চার ভাই। তার ভাই সৈয়দ ইসলাহ্ উদ্দীন আহমেদ ৭০র দশকে সিলেট জেলার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। অপর ভাইদের নাম এডভোকেট সৈয়দ মিজবাহ উদ্দীন আহমেদ এবং সৈয়দ বাহাউদ্দীন আহমেদ। তারা সকলেই সমাজে সুপরিচিত ব্যক্তি ছিলেন এবং সকলেই আজ পরলোকগত। জনাব সৈয়দ মিনহাজউদ্দীন আহমেদ মৃত্যুকালে স্ত্রী, তিন পুত্র ও এক কণ্যা সন্তান রেখে গেছেন। তার জেষ্ঠ্য সন্তান সৈয়দ নাসিরউদ্দীন জেবুল এক দশকের বেশিকাল যাবৎ পরিবার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্ণিয়া লস এঞ্জেলেসে বসবাস করছেন। আরেক পুত্র সৈয়দ মাহবুব মোরশেদও যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডি.সি. তে বসবাস করেন। কণ্যা সৈয়দা মাহ্সিনা আহমেদ জেলীন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন এবং কনিষ্ঠ পুত্র সৈয়দ জয়নাল আবেদিন বর্তমানে সিলেটে থাকেন।
ক্যালিফোর্ণিয়া বিএনপি'র এ শোক বিবৃতিতে সভাপতি মো. আ. বাছিত সহ আরও স্বাক্ষর করেছেন- নজরুল ইসলাম চৌধুরী কাঞ্চন, মুর্শেদুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান শাহীন, সামসুজ্জোহা বাবলু, আহসান হাফিজ রুমী, সালাম দাড়িয়া, মাহতাব আহমেদ, এম. ওয়াহিদ রহমান, বদরুল আলম চৌধুরী শিপলু, জুনেল আহমেদ, ডাবলু আমিন, ফারুক হাওলাদার, লায়েক আহমেদ, মারুফ খান, মোয়াজ্জেম আহমেদ রাসেল, বদরুল আলম মাসুদ, শাহীন হক, মিকায়েল খান রাসেল, শাহাদাত শাহীন, লোকমান হোসেন, জাভেদ বখত, সেলিমা ইয়াসমিন, রওশন আরা, আবদুল হাকিম, খন্দকার তসলিম, আমজাদ হোসেন, মন্টু চৌধুরি, মুনিম আহমেদ, আবুল হোসাইন, মোস্তফা কামাল, ওমর ফারুক, বাবুল হোসেন, পারভেজ, হাসানুজ্জামান মিজান, শান্ত, ইলিয়াস শিকদার, মামুন খান, ফেরদৌস সুজন, মিশর নুন, মাহমুদ, আলি হায়দার মিল্টন, তারিক বাবু, আলমগীর, আউয়াল অপু, হালিম, এনাম, জহির, হামিদ খোকন, পলাশ, নাঈম, ফাহিম, ইমন, শহিদ ও হীরা সহ স্হানীয় বিএনপি'র নেতাকর্মীরা।
শেয়ার করুন