পশ্চিম ভার্জিনিয়ায় আকস্মিক বন্যায় ৫ জনের মৃত্যু, নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চলছে
গভর্নর নিউসোমের প্রতিবাদ: “কোথায় আপনার সম্মান, মি. প্রেসিডেন্ট?”
ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস
লস এঞ্জেলেসে অভিবাসন বিরোধী বিক্ষোভ চলাকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের বিরুদ্ধে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসোম রোববার রাতে এক কঠোর অবস্থান নেন। তিনি ঘোষণা করেন, রাজ্য প্রশাসন ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এমএসএনবিসি-তে সরাসরি এক সাক্ষাৎকারে নিউসোম বলেন, “আপনার কোন সম্মানবোধ নেই, মি. প্রেসিডেন্ট? দয়া করে থামুন। এই আদেশ প্রত্যাহার করুন। এটি অবৈধ, অসাংবিধানিক এবং অনৈতিক। আপনি যেটা সমাধান করতে চাচ্ছেন বলে দাবি করছেন, আসলে আপনি সেই সমস্যাগুলোকেই উস্কে দিচ্ছেন এবং মানুষের জীবনকে বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন।”
নিউসোম জানান, কোনও ধরনের সমন্বয় ছাড়াই ক্যালিফোর্নিয়ার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করার মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসন সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। এটি সাম্প্রতিক দশকে প্রথম ঘটনা যেখানে কোনও রাজ্যপালের অনুমতি ছাড়া কেন্দ্রীয়ভাবে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “এটি একটি গুরুতর মুহূর্ত এবং এখানে প্রয়োজন একটি দায়িত্বশীল নেতৃত্বের। আপনি যদি সত্যিকারের নেতৃত্ব দিতে চান, আমি পাশে থাকব। কিন্তু যদি আপনি দরিদ্র শিশু ও পরিবারগুলোর ওপর হামলা চালান, আমরা আমাদের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে আপনাকে প্রতিরোধ করব।”
লস এঞ্জেলেসের মেয়র ক্যারেন ব্যাস এবং গভর্নর নিউসোম উভয়েই দাবি করেছেন, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত বিক্ষোভকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে। তারা বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
মেয়র ব্যাস বলেন, “আমরা লস এঞ্জেলেসে যে বিশৃঙ্খলা দেখছি, তা মূলত এই প্রশাসনের উস্কানি। এটি প্রকৃতপক্ষে জননিরাপত্তা নিয়ে নয়, বরং অন্য একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য।”
গত শুক্রবার থেকে লস এঞ্জেলেস শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। শনিবার তা ছড়িয়ে পড়ে পারামাউন্ট ও কম্পটনের মতো এলাকা—যেখানে প্রধানত লাতিনো জনসংখ্যা বসবাস করে। বিক্ষোভের সূত্রপাত হয় শুক্রবার ICE (ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট) কর্মকর্তাদের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অভিবাসীদের গ্রেফতার করার পর, যার মধ্যে ছিল LA ফ্যাশন ডিস্ট্রিক্ট ও একটি হোম ডিপোর পার্কিং লট।
নিরাপত্তা রক্ষার্থে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করলেও, তা আরও বিশৃঙ্খলা ও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে বলে মনে করছে ক্যালিফোর্নিয়া প্রশাসন।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন