পশ্চিম ভার্জিনিয়ায় আকস্মিক বন্যায় ৫ জনের মৃত্যু, নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চলছে
ট্যারিফে লস এঞ্জেলেস বন্দরে পণ্য পরিবহন কমেছে
ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস
লস এঞ্জেলেস বন্দরে গত মাসে কার্গো হ্যান্ডলিং উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে, যা ২০২৩ সালের পর মে মাসে সর্বনিম্ন রেকর্ড হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। টানা ১০ মাসের বছরভিত্তিক প্রবৃদ্ধির ধারা এখানেই শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্দরের কর্মকর্তারা।
২০২৫ সালের মে মাসে পোর্টটি মোট ৭১৬,৬১৯টি কনটেইনার ইউনিট হ্যান্ডল করেছে, যা গত বছরের তুলনায় ৫% কম এবং এপ্রিল মাসের তুলনায় ১৯% কম। বন্দরের কর্মকর্তারা এই পতনের জন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন ট্যারিফ নীতিকে দায়ী করেছেন, যা এ বছর বহু পণ্যের আমদানির ওপর আরোপ করা হয়েছে।
বন্দরের নির্বাহী পরিচালক জিন সেরোকা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “যদি শিগগিরই দীর্ঘমেয়াদি ও বিস্তৃত বাণিজ্য চুক্তি না হয়, তবে বছর শেষে ছুটির মৌসুমে পণ্যের দাম বাড়বে এবং পণ্যের বৈচিত্র্য কমে যাবে।” তিনি আরও বলেন, “ট্যারিফ নীতির হঠাৎ পরিবর্তন ভোক্তা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং শ্রমজীবীদের জন্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
গত বছরের মে মাসের তুলনায় আমদানি ৯% কমে গেছে, যা মোট ৩৫৬,০০০ ইউনিটের নিচে নেমে এসেছে। রপ্তানি ৫% কমে হয়েছে প্রায় ১২০,০০০ ইউনিট। তবে ফাঁকা কনটেইনার পরিবহন কিছুটা বেড়েছে – মোট ২,৪০০০০ ইউনিট, যা ২০২৪ সালের তুলনায় ২% বেশি।
তবে মে মাসের এই পতনের মাঝেও ২০২৫ সালের প্রথম পাঁচ মাসের মোট কার্গো হ্যান্ডলিং ২০২৪ সালের একই সময়ের তুলনায় ৪% বেশি।
উল্লেখ্য, পোর্ট অফ লস এঞ্জেলেস পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে ব্যস্ততম বন্দরগুলোর একটি, যা বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আমদানি প্রবেশদ্বার হিসেবেও পরিচিত। ২০২৪ সালে এই বন্দর প্রায় $৩৩৩ বিলিয়ন মূল্যের বাণিজ্য পরিচালনা করেছে এবং ১ কোটি ৩০ লাখেরও বেশি কনটেইনার ইউনিট হ্যান্ডল করেছে।
বন্দরের কার্যকারিতায় এমন কোনো পতন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের “দ্য বাজেট ল্যাব”-এর অর্থনীতি পরিচালক আর্নি টেডেস্কি সংবাদ সম্মেলনে সেরোকার সঙ্গে যুক্ত হয়ে বলেন, “ট্যারিফের ফলে গড় মূল্যস্ফীতি হবে ১.৫%, যা প্রতি পরিবারে বছরে প্রায় $২,৫০০ ক্রয়ক্ষমতা কমাবে।” তিনি যোগ করেন, “নিম্নআয়ভুক্ত পরিবারগুলো এর ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার ১৯৭৭ সালের একটি জরুরি আইনের অধীনে এই ট্যারিফ নীতিগুলো চালু করেছেন, যা প্রায় সব দেশের আমদানির ওপর শুল্ক আরোপ করেছে। চীন, কানাডা এবং মেক্সিকোর মতো নির্দিষ্ট দেশগুলোর ওপরও লক্ষ্যভিত্তিক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
সম্প্রতি একটি ফেডারেল আপিল আদালত প্রশাসনকে আইনি চ্যালেঞ্জের মধ্যেও শুল্ক সংগ্রহ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে।
বিস্তারিত জানতে বা সংবাদ সম্মেলনের ভিডিও দেখতে পোর্ট অফ লস এঞ্জেলেসের অফিসিয়াল লিংকে ভিজিট করতে বলা হয়েছে।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন