UPS-এর বিরুদ্ধে ক্যালিফোর্নিয়ার ৪৫ জেলার যৌথ তদন্তে ১৭ লাখ ডলারের বেশি জরিমানা
ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস
ইউনাইটেড পার্সেল সার্ভিস (UPS) ক্যালিফোর্নিয়ার এক রাজ্যব্যাপী তদন্তের পর একাধিক মিলিয়ন ডলারের জরিমানার সম্মুখীন হয়েছে। UPS-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে, তারা রাজ্যের বিভিন্ন পরিবেশগত নিয়ম লঙ্ঘন করেছে, বিশেষ করে বিপজ্জনক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায়। তদন্তে দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি অবৈধভাবে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক ও ইলেকট্রনিক বর্জ্য ফেলে দিচ্ছিল, যেগুলো পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। এই অনিয়ম দীর্ঘদিন ধরে চলছিল, এবং প্রায় 1,100-এর বেশি স্থানে UPS-এর কার্যক্রমে এমন লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল রব বনটা জানিয়েছেন, UPS পরিবেশগত বিধিমালা উপেক্ষা করে এমন বর্জ্য ফেলে দিয়েছে যা মাটির গুণমান নষ্ট করতে পারে এবং ভূগর্ভস্থ পানিতে বিষাক্ততা ছড়াতে পারে। এই বর্জ্যের মধ্যে ছিল ব্যাটারি, স্প্রে ক্যান, রাসায়নিক পদার্থ, লাইট বাল্ব ও ইলেকট্রনিক্স। UPS-এর এমন কার্যকলাপ শুধু পরিবেশকেই ক্ষতি করেনি, বরং কোম্পানিটির দায়িত্বহীনতার পরিচয়ও বহন করে। রাজ্য সরকার মনে করছে, এমন বড় প্রতিষ্ঠানের উচিত ছিল আরও বেশি দায়িত্বশীল হওয়া।
তদন্তে UPS দোষ স্বীকার করেছে এবং রাজ্যের সাথে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে, যার আওতায় প্রতিষ্ঠানটি $5.3 মিলিয়ন জরিমানা দেবে। এর মধ্যে একটি অংশ ক্ষতিপূরণ হিসেবে স্থানীয় পরিবেশগত পুনর্বাসন ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমে ব্যয় করা হবে। এছাড়াও, UPS ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনা পুনরায় না ঘটায়, সেজন্য তাদেরকে আরও উন্নত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। কোম্পানিটি তাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া উন্নত করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে।
এই ঘটনাটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যেখানে একটি আন্তর্জাতিক কর্পোরেশন পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব পালন না করায় কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পরিবেশবাদীরা একে ‘বড় বিজয়’ হিসেবে দেখছেন, কারণ এটি অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সতর্ক বার্তা পাঠাবে। তারা বলছেন, শুধুমাত্র মুনাফার পেছনে না ছুটে, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত পরিবেশ এবং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা বজায় রাখা।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন