গাজায় ভয়াবহ প্রাণহানি: ট্রাম্পের নির্দেশ অমান্য করে ইসরায়েলের হামলায় নিহত ৬৭ হাজার
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলকে অবিলম্বে বোমাবর্ষণ বন্ধ করার নির্দেশ দিলেও গাজায় গত ১২ ঘণ্টায় ২০ জনকে হত্যা করেছে দখলদার বাহিনী। সবশেষ তথ্য অনুসারে, দুর্ভিক্ষ কবলিত অঞ্চলটিতে নিহতের সংখ্যা ৬৭ হাজারে ছাড়িয়ে গেছে।
শনিবার (৪ অক্টোবর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ৬৭ হাজারের বেশি নিহতের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এতে বলা হয়েছে, একই সময়ে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার জন আহত হয়েছেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, হামাস ও ইসরায়েল উভয়ই ট্রাম্পের প্রস্তাবের প্রথম ধাপ অনুসরণ করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও ইসরায়েল গত রাতভর সামরিক আগ্রাসন অব্যাহত রেখেছে।
দুর্ভিক্ষেও বাড়ছে মৃতের সংখ্যা
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শনিবারে জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েল-সৃষ্ট দুর্ভিক্ষ ও অপুষ্টিতে আরও দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় দুর্ভিক্ষ বা অপুষ্টিতে মোট ৪৫৯ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে ১৫৪ জনই শিশু।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুতে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের পর ২৭ মে থেকে ইসরায়েল জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলোকে এড়িয়ে গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন-এর মাধ্যমে একটি পৃথক সাহায্য বিতরণ উদ্যোগ শুরু করেছে। এতে সমর্থন দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এই পদক্ষেপের পর অঞ্চলটিতে দুর্ভিক্ষ আরও প্রকট হয়ে ওঠে।
ইসরায়েলি বাহিনী খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপরও গুলি চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে শত শত মানুষ নিহত হচ্ছে।
গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য নেতানিয়াহু ও তার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। উপত্যকাজুড়ে যুদ্ধের জন্য ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখি।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন