ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গুলির ঘটনায় ‘পার্সন অব ইন্টারেস্ট’ আটক, জানিয়েছে পুলিশ
দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার হোম ডিপো থেকে কোটি ডলারের পণ্য চুরি, ১৪ জন গ্রেপ্তার
ছবি: এলএবাংলাটাইমস
দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার বিভিন্ন হোম ডিপো শাখা থেকে প্রায় ১০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য চুরির অভিযোগে একটি সংঘবদ্ধ চক্রকে ধরেছে ভেনচুরা কাউন্টি শেরিফস ডিপার্টমেন্ট। এটি হোম ডিপোর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় খুচরা চুরির ঘটনা বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
ভেনচুরা কাউন্টির শেরিফ জিম ফ্রাইহফ বলেন, “এই চক্র এলোমেলোভাবে পণ্য চুরি করছিল না। তারা অত্যন্ত সংগঠিতভাবে ব্যয়বহুল বৈদ্যুতিক সামগ্রী যেমন ব্রেকার, ডিমার, সুইচ ও আউটলেটকে টার্গেট করেছিল।”
এ ঘটনায় ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ইতোমধ্যে নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে জেলা অ্যাটর্নির কার্যালয়। এখন পর্যন্ত আনুমানিক ৩.৭ মিলিয়ন ডলারের চুরি হওয়া পণ্য উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রসিকিউটররা জানান, কয়েক বছরের ব্যবধানে ৭১টি ভিন্ন হোম ডিপো শাখায় মোট ৬০০ বার চুরি সংঘটিত হয়েছে। এর মধ্যে ভেনচুরা, লস এঞ্জেলেস, অরেঞ্জ, সান বার্নার্ডিনো ও রিভারসাইড কাউন্টির দোকানগুলোও রয়েছে।
এই চক্রের মূল হোতা হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ডেভিড আহল, যিনি লস এঞ্জেলেসের তারজানায় “আরিয়া হোলসেল” নামে একটি দোকানের মালিক। অভিযোগ রয়েছে, তিনি চুরি হওয়া পণ্য কম দামে বিক্রি করতেন। তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, সংঘবদ্ধ চুরি, বড় অঙ্কের চুরি, চুরি করা মালামাল গ্রহণ এবং অর্থপাচারসহ ৪৮টি ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়েছে।
আহলের ভগ্নিপতি ওমিদ আবরিশামকার অনলাইনে আমাজন ও ইবে-তে এসব পণ্য বিক্রির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ। তার বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র, চুরি করা মালামাল গ্রহণ এবং অর্থপাচারসহ ১১টি অভিযোগ আনা হয়েছে।
ভেনচুরা কাউন্টির জেলা অ্যাটর্নি এরিক নাসারেনকো বলেন, “এই দুই ব্যক্তি পাইকারি ব্যবসা ও অনলাইন বেচাকেনার আড়ালে অবৈধ অর্থকে বৈধ করার চেষ্টা করেছেন।” তিনি আরও জানান, কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে প্রায় ৮ লাখ ডলারের অবৈধ অর্থ জব্দ করেছে।
এদিকে, আহলের সাবেক স্ত্রী লোরেনা সোলিস এবং তার প্রেমিক এনরিক মোরেনো একই ধরনের আরেকটি অবৈধ ব্যবসা চালাতেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের বিরুদ্ধে আটটি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, আহলের নিজস্ব কর্মচারীরাও “বুস্টার ক্রু” হিসেবে চুরির কাজে যুক্ত ছিল। ভেনচুরা কাউন্টিতে তিনজন কর্মী নিয়মিত দোকানে প্রবেশ করে একেকবারে ৬ হাজার থেকে ১০ হাজার ডলার মূল্যের পণ্য চুরি করত।
হোম ডিপোর সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, সন্দেহভাজনরা দোকানে ঢুকে তাক থেকে পণ্য সরাসরি জ্যাকেটের ভেতরে ঢুকিয়ে নিচ্ছে।
শেরিফ ফ্রাইহফ জানান, তদন্ত এখনও চলছে এবং আরও গ্রেপ্তার হতে পারে।
ভেনচুরা কাউন্টি অর্গানাইজড রিটেইল থেফট টাস্কফোর্স রাজ্য অনুদানে পরিচালিত হচ্ছে। এতে পোর্ট হুয়েনেমে পুলিশ, সিমি ভ্যালি পুলিশ, জেলা অ্যাটর্নির কার্যালয় ও ভেনচুরা কাউন্টি শেরিফস অফিসের কর্মকর্তারা একযোগে কাজ করছেন।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার করুন