ওষুধ নয়, অস্ত্রোপচারও নয়: সহজ হাঁটার কৌশলেই আর্থ্রাইটিস ব্যথা কমাতে সাফল্য বিজ্ঞানীদের
লস এঞ্জেলেসের আকর্ষণীয় কিছু পর্যটনস্থান
আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া স্টেটের একটি অন্যতম নগরী হচ্ছে লস এঞ্জেলেস। চলচ্চিত্র থেকে শুরু করে পর্যটন সবকিছুতেই রয়েছে খ্যাতি । তাছাড়া, পরিচিতও চলচ্চিত্র ও পর্যটন নগরী হিসেবে। জিডিপি’তে পর্যটন শিল্পের রয়েছে বিশেষ অবদান।
লস এঞ্জেলেস বহু দর্শনীয় পর্যটন এলাকা ও বিনোদন কেন্দ্র রয়েছে। প্রতি বছর অসংখ্য ভ্রমণপিপাসু বেড়াতে আসে এই নৈসর্গিক নগরীতে। লস এঞ্জেলেসের শহরের প্রতি পর্যটকদের আকৃষ্ট করে এমন কিছু এলাকা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। চলুন এক নজরে এলাকাগুলো চিনে নেই।
ভেনিস বীচঃলস এঞ্জেলেসের ‘ভেনিস বীচ’ পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। এই স্থানে স্কেইটবোর্ডার, স্ট্রিট আটির্ষ্ট ও বডি বিল্ডারদের দেখা যাবে। গোটা সৈকত জুড়ে এখানে ওখানে ছড়িয়ে আছে মজাদার আইসক্রিম স্ট্যান্ড। চারপাশের প্রাকৃতিক দৃশ্যও অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর। এখানে আছে ‘ফিগট্রিজ ক্যাফে’ নামক একটি লোকাল ইন, যা স্থানীয় লোকজন ও বিদেশী পর্যটকদের নানা সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করে। এছাড়াও পুস্তক প্রেমীদের জন্য রয়েছে লাইব্রেরী।
হলিউডঃহলিউডের নাম শোনেননি এমন শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের সংখ্যা বিশ্বে বিরল। দুনিয়ার সব সেরা ছায়াছবি এখানে নির্মিত হয়। সেরা অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের বিচরণ কেন্দ্রও এই হলিউড। এখানে রয়েছে প্রসিদ্ধ সব চলচ্চিত্র স্টুডিও। হলিউড ওয়াক অব ফেমে রয়েছে বিনোদন জগতের প্রায় আড়াই হাজার খ্যাতিমান ব্যক্তির প্রতিকৃতি। এখানে আরো রয়েছে বিখ্যাত ব্যক্তিদের পদ ও হস্তচিহ্ন ধারণকারী ‘গ্রোম্যানস চাইনীজ থিয়েটার’ সব মিলিয়ে হলিউড হচ্ছে খ্যাতিমান তারকাদের অগণিত স্মৃতি সম্বলিত জায়গা।
গেট্টি সেন্টারঃগেট্টি সেন্টার হচ্ছে লস এঞ্জেলেসের একটি প্রসিদ্ধ শিল্প জাদুঘর। এর আধুনিক শিল্পকর্মে বিধৃত হয়েছে বিশ্বের ইতিহাস। এখানে রেনেসাঁর যুগ থেকে আধুনিককাল পর্যন্ত সময়ের বহু প্রাচীন ও আধুনিক আকর্ষণীয় শিল্পকর্ম স্থান পেয়েছে। এখানে পাওয়া যাবে ফ্রান্সের ডেকোরেটিভ আর্ট ও ফটোগ্রাফি। এর কাছাকাছি রয়েছে স্কাপচার গার্ডেনস্থ ‘ম্যুর এন্ড মিরো’।
পিটারসন অটোম্যাটিভ মিউজিয়ামঃএটা হচ্ছে একটি গাড়ির জাদুঘর। প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছেন রবার্ট পিটারসন-যিনি ‘কার ক্রাফট’ অর্থাৎ গাড়ি শিল্পের প্রবর্তক। এখানে একটি ভবনের পাঁচটি বিশাল ফ্লোর বা তলা জুড়ে প্রদর্শিত হচ্ছে নানা ধরনের যানবাহন ট্রাক, মোটর সাইকেল, মোটর বাইক ইত্যাদি। এর প্রবেশ মূল্য ৫ ডলার।
রোডিও ড্রাইভঃলস এঞ্জেলেস নগরীর আরেকটি দর্শনীয় জায়গা হচ্ছে ‘রোডিও ড্রাইভ’ যেখানে রয়েছে বহু শপিং অল্টারনেটিভ। এখানকার সামগ্রী অস্বাভাবিক ব্যয় বহুল হওয়ায় এখানে ক্রয়ের চেয়ে দর্শনই বেশী প্রত্যাশিত। এখানে রয়েছে লাখ লাখ অতুলনীয় ডিজাইনার সামগ্রী ও অন্যান্য আকর্ষনীয় সংগ্রহ। রয়েছে ফ্রাংক লয়েড রাইটের একমাত্র ডিজাইন ‘এন্ডারসন কোর্ট’।
সানসেট বুলেভারঃলস এঞ্জেলেসের মানসেট বুলেভার হচ্ছে একটি রাস্তা, যা ম্যুভি, সংগীত ও অন্যান্য গণমাধ্যম বিনোদনের জন্য প্রসিদ্ধ। রোমান্স প্রিয়দের জন্য জনপ্রিয় জাযগা এটা।
ইউনিভার্সিল স্টুডিওজঃবিশ্বের চলচ্চিত্র প্রেমীদের কাছে একটি পরিচিত নাম ‘ইউনিভার্সাল স্টুডিওজ’। এখানে চলচ্চিত্রের রেকর্ডের কাজ হয়। এখানে রয়েছে রেকর্ডিংয়ের সব আধুনিক সরঞ্জাম। চলচ্চিত্র প্রেমীরা এখানে এলে দেখতে পাবেন বিশ্বের বিশাল ব্যয় বহুল চলচ্চিত্রগুলোর প্রাথমিক নির্মাণ কাজ কীভাবে সম্পন্ন হয়। এছাড়া এখানে অনেক বিখ্যাত অভিনেতা-অভিনেত্রীরও সাক্ষাত পাওয়া যাবে। এখানে বিশ্বের বিভিন্ন স্থান সদৃশ্য সেট বা দৃশ্যও রয়েছে। প্রতিদিন অগণিত লোকের ভিড় সত্বেও যে কেউ এসব দৃশ্য অবরোকন করতে সক্ষম হবেন।
লা ব্রিয়া টার পিটস্ঃএটা লস এঞ্জেলেস নগরীর আরেকটি দর্শনীয় স্থান। এটা হচ্ছে একটি জাদুঘর যেখানে বিভিন্ন ধরনের লাখ লাখ হাঁড় রয়েছে। এটাকে ‘হাড় কংকাল জাদুঘর’ও বলা হয়। এর প্রবেশ ফী ৫ ডলার। ছুটির দিনে শিক্ষার্থীরা আরো কম ফীতে এখানে প্রবেশ করতে পারে।
মিউজিক সেন্টারঃমিউজিক সেন্টার বা সংগীত কেন্দ্রটি নগরীর ডাউন টাউন অংশে অবস্থিত। এখানে অসংখ্য একাডেমী পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠিত হয়। এখানে একটি মিউজিক লাইব্রেরী রয়েছে-যা বিশ্বের সব শ্রেষ্ঠ সংগীতের আগার।
হলিউড বাউলঃলস এঞ্জেলেসের অপর একটি দর্শনীয় স্থান ‘হলিউড বাউল’। সংগীত প্রেমীরা এখানে আসেন সংগীতের লাইভ পরিবেশনা উপভোগ করতে। এটা নগরীর সর্ববৃহৎ প্রাকৃতিক এম্ফিথিয়েটার।
শেয়ার করুন