আপডেট :

        পশ্চিম ভারত মহাসাগর অঞ্চলে মাদক পাচার এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে

        গাজা উপকূলে অস্থায়ী বন্দর যুক্তরাষ্ট্রের !

        রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করার নির্দেশ

        জাতীয় নেতা শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের অবদান কখনোই ভুলবার নয়

        ৮৮ আসনে দুপুর পর্যন্ত কত ভোট পড়লো

        ২৬ জেলার ওপর তাপপ্রবাহ

        চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ রেকর্ড ৪২.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা

        চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ রেকর্ড ৪২.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা

        কেন্দ্রীয় কি ঋণখেলাপি ও অর্থপাচারের সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছে, প্রশ্ন টিআইবির

        ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার

        বিমান হামলায় নিহত এক নারীর গর্ভ থেকে প্রসব হওয়া সন্তানটি মারা গেছে

        ফেনীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে কিশোর গ্যাং গ্রেফতার

        তাপ্প্রবাহে ভাঙল ৭৬ বছরের রেকর্ড

        তিন দিনের সফরে বর্তমানে চীনে রয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন

        ভারতীয় দলে হার্দিক পাণ্ডিয়া ও বিরাট কোহলি নেই

        উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ৭৩ জনকে সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার

        ভারতে ভোটারদের আগ্রহ বাড়াতে বিনামূল্যে খাবার

        থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির আশা প্রধানমন্ত্রীর

        বাজারে বেড়েই চলছে অস্থিরতা

        ইংরেজ গায়ক, গীতিকার ও সঙ্গীতজ্ঞ জন লেননের গিটার

স্বামীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ ঈমানদার স্ত্রী

স্বামীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ ঈমানদার স্ত্রী

যে কারণে স্বামীর জন্য ঈমানদার স্ত্রী শ্রেষ্ঠ সম্পদ; হাদিসে সে বিষয়গুলো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুস্পষ্ট ভাষায় বর্ণনা করেছেন। তিনি পুরুষের জন্য চারটি বিষয়কে শুভলক্ষণ বলেছেন। আর তা হলো- নেককার নারী, প্রশস্ত ঘর, সৎ প্রতিবেশী এবং সহজ প্রকৃতির আনুগত্যশীল-পোষ্য বাহন। পক্ষান্তরে চারটি জিনিসকে কুলক্ষণা বলেছেন। তার মধ্যে একটি হলো বদকার নারী। (হাকেম, সহিহ আল জামে)

অন্য হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একজন ঈমানদার স্ত্রীকে তার স্বামীর জন্য শ্রেষ্ঠ সম্পদ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। হাদিসটি তুলে ধরা হলো-

হজরত ছাওবান রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘যখন এ আয়াত নাজিল হলো- ‘আর যারা সোনা-রূপা সঞ্চয় করে (আয়াতের শেষ পর্যন্ত); তখন আমরা নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে কোনো এক সফরে ছিলাম।

তখন তাঁর এক সাহাবি বললেন, ‘এটাতো (আয়াত) সোনা-রূপা সর্ম্পকে নাজিল হলো। আমরা যদি জানতে পারতাম কোন সম্পদ উত্তম, তবে তা সঞ্চয় করতাম।

তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘তোমাদের কারো শ্রেষ্ঠ সম্পদ হলো-
>> আল্লাহর জিকিরকারী রসনা (জিহ্বা);
>> কৃতজ্ঞ অন্তর; এবং
>> ঈমানদার স্ত্রী, যে তার ঈমানের (দ্বীনের) ব্যাপারে তাকে (স্বামীকে) সহযোগিতা করে। (মুসনাদে আহমদ, তিরমিজি, ইবনে মাজাহ, মিশকাত)

হাদিসের ব্যাখ্যাগ্রন্থ ‘মাজাহেরে হক’ এ হাদিসের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাখ্যা বর্ণনা করেছেন। এ হাদিসে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈমানদার স্ত্রীর ব্যাপারে গুরুত্ব দিয়েছেন। একজন ঈমানদার স্ত্রী তার স্বামীর জন্য সর্বোত্তম সম্পদও বটে।

দ্বীনের ব্যাপারে স্বামীকে সহযোগিতার মর্মার্থ হলো- ঈমানদার স্ত্রী ধর্মীয় কার্যক্রম ও দ্বীনি দায়িত্বসমূহ পালনের ক্ষেত্রে তার স্বামীকে সহযোগিতা করবে। যেমন-

নামাজের সময় হলে তার স্বামীকে নামাজের কথা স্মরণ করিয়ে দেবে; রমজান মাসের রোজা রাখার ব্যাপারে স্বামীকে সহযোগিতা করবে।

অনুরূপভাবে একজন ঈমানদার স্ত্রী তার স্বামীকে ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি-বাকরি, পরিবারের আনুসাঙ্গিক কাজকর্মসহ অন্যান্য সব ইবাদত-বন্দেগিতেও স্বামীকে বুদ্ধি পরামর্শ ও উপদেশ দিয়ে যথাসাধ্য সহযোগিতা করবে।

ঈমানদার স্ত্রী বাড়িতে এমন পরিবেশ এবং আবহ সৃষ্টি করবে, যাতে স্বামী সারাক্ষণ পূণ্যকর্মে লিপ্ত থাকেন। অপকর্ম, অবৈধ উপার্জন এবং হারাম পেশা থেকে বিরত থাকেন।

এমনকি স্বামী যদি কোনো মন্দ কাজে লিপ্ত হন তবে ঈমানদার স্ত্রী তাকে সেই মন্দ কাজ থেকে ফিরিয়ে আনবে। অবাধ্য স্বামীকে মন্দ কাজ থেকে ফিরিয়ে আনতে তার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

এ কারণেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈমানদার নেক্কার স্ত্রীকে স্বামীর জন্য সর্বোত্তম সম্পদ হিসেবে ঘোষণা করেছেন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহ সব নারীকে দ্বীনদার ও ঈমানদার হিসেবে কবুল করুন। পৃথিবীর সব মুমিন নারীকে নেককার সন্তান, নেককার স্ত্রী ও নেককার মা হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত