আপডেট :

        নোবেল জয়ী বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস

        নাফ নদীতে মাছ শিকাররত ১০জন বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণ

        টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে বিশ্বকাপের উদ্দেশে যাত্রা করবে টাইগাররা

        রাজধানীতে সন্ধ্যার মধ্যে বৃষ্টির পূর্বাভাস

        রাঙ্গামাটিতে স্বস্তির বৃষ্টি নামলেও এসময় বজ্রপাতে ৩জন নিহত

        কেউ কেউ আন্দোলন করে যাচ্ছে ফিজিক্যালি এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে, আমরা কাউকে বাধা দিচ্ছি না

        কেউ কেউ আন্দোলন করে যাচ্ছে ফিজিক্যালি এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে, আমরা কাউকে বাধা দিচ্ছি না

        অতি বামদের কাছে আমার প্রশ্ন, তারা আমাকে উৎখাত করে কাকে ক্ষমতায় আনবে?

        মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী

        শ্রম অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশের অগ্রগতির পর্যায়

        কক্সবাজারের পেকুয়ায় বজ্রপাতে নিহত হলেন দিদারুল ইসলাম

        ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে

        ফিরছে নিহত আট বাংলাদেশির কফিনবন্দি লাশ

        বন্যহাতির আক্রমণে কিশোরের মৃত্যু হলো

        চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশে একটি মহাসড়কের অংশ ধস

        চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশে একটি মহাসড়কের অংশ ধস

        আদালতে হাজির হবেন ইউনূসসহ সকল আসামি

        রাজবাড়ীতে ট্রেন চলাচল বন্ধ

        ডিজাব’র নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক

        দেশের শাসন কাঠামোর সব জায়গায় শ্রমিকদের অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করার দাবি

ইসলামে ব্যক্তিপূজা হারাম

ইসলামে ব্যক্তিপূজা হারাম

গতকাল বিজয় দিবসের এক অনুষ্ঠানে থাকার সৌভাগ্য হয়েছিলো। সেখানে প্রবাসের অনেকেই মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করছিলেন। বেশ কয়েক জন মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিতও ছিলেন। আপনাদের সদয় অবগতির জন্য বলছি যে ঐ সময় আমি দাউদকান্দি ও হোমনা এই দুই থানায় প্রধানতঃ মুক্তিযুদ্ধের সংঘটক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছিলাম। কানাইনগরের মতিন মাষ্টার, মহিষমারির নজরুলসহ অনেকেই ঐ সময় মুক্তির সংগ্রামে বিভিন্নভাবে সক্রিয় ছিলেন। পরে অবশ্য আমিও সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছিলাম এবং পাক বাহিনীর সাথে সামনা সামনি যুদ্ধও করেছিলাম। কিন্তু সার্টিফিকেট নেইনি বলে আমি তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা হতে পারিনি। অবশ্য আমি হতেও চাইনি। কারণ মুক্তিযুদ্ধ করার জন্য কারো কোন স্বীকৃতি থাকা প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।

সংখ্যা কম হলেও বাংলাদেশে আমার মত বেশ কিছু মুক্তিযোদ্ধা ভাই আছেন। বলাই বাহুল্য যে মুক্তিযুদ্ধ করেছি বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে তৃপ্ত এবং গর্বিত। শুধু তাই নয়, আমি কোনদিনই একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নিজেকে অন্যের কাছে তুলে ধরতে আগ্রহী ছিলাম না। তবে সবাই না জানলেও ঐ সময়কার অনেক মুক্তিযোদ্ধা এবং সংগঠক আমাকে চিনেন এবং জানেন।

যাক বিজয় অনুষ্ঠান উপভোগ করছিলাম। বেশ ভালই লাগছিলো। এক পর্য্যায়ে প্রবাসী এক অধ্যাপিকা বক্তব্য দিতে মঞ্চে উঠলেন। আমরা সবাই করতালি দিয়ে তাকে স্বাগতঃ জানালাম। তিনি  মুক্তযুদ্ধের বর্ণনা দিলেন। ভালই বললেন। উক্ত অধ্যাপিকা তার বক্তব্যের এক পর্য্যায়ে বললেন যে তিনি টিভিতে দেখেছেন যে কোলকাতার কোন এক হিন্দু ব্যক্তি দুই বেলা মোমবাতি জ্বালিয়ে শেখ মুজিবের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন অন্যভাবে বলা যায় তাঁর পূজা করেন। অতএব তার মতে আমরা অর্থাৎ বাংলাদেশের সবারই তা করা উচিত। আমরাও যেন হিন্দুদের মত ব্যক্তি পূজা শুরু করি। হিন্দুরা যখন যাকে ইচ্ছা দেবতা বানিয়ে পূজা করতে পারে। তাদের ধর্মে হয়তো এ নিয়ে কোন বাধ্য বাধকতা নেই। অধ্যাপিকা নামে মুসলমান হলেও তিনি নিজে ইচ্ছা করলে ব্যক্তি পূজা করতে পারেন। কেউ তাকে বাধা দিতে পারবে না।

বর্তমান আমেরিকার সংবিধান অনুযায়ী তার সে অধিকার আছে। কিন্তু তিনি অন্য কাউকে ব্যক্তি পূজা করার জন্য  আহ্বান জানাতে পারেন না। অামরা যারা আমেরিকান মুসলমান তারা তার এ বক্তব্যের জন্য তার প্রতি তীব্র ঘৃণা, ক্ষোভ এবং নিন্দা জানাই। তার উচিৎ সবার কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া।

ইসলাম ধর্মে ব্যক্তি পূজা  হারাম এবং আমরা যারা এক আল্লাহ্ বিশ্বাস করি তারা এর ঘোর বিরোধী। শুধু তাই নয়, যে সব মুসলমান ব্যক্তি পূজা করেন বা ব্যক্তি পূজা সমর্থন করেন তারা সবাই ইসলামের শত্রু। আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুন এবং হেদায়েৎ নসীব করুন। আমরা যেন সব সময় উত্তম কাজের জন্য আদেশ এবং মন্দ কাজের জন্য নিষেধ করে যেতে পারি। আমীন।

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত