আপডেট :

        শনিবার খুলছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

        বৃষ্টি কামনায় ব্যাঙের বিয়ে নিয়ে প্রচলিত আছে নানা গল্পকথা

        ১৯৩ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ

        কংগ্রেসকে পাকিস্তানের ‘মুরিদ’ বলে অভিযুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

        নোবেল জয়ী বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস

        নাফ নদীতে মাছ শিকাররত ১০জন বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণ

        টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে বিশ্বকাপের উদ্দেশে যাত্রা করবে টাইগাররা

        রাজধানীতে সন্ধ্যার মধ্যে বৃষ্টির পূর্বাভাস

        রাঙ্গামাটিতে স্বস্তির বৃষ্টি নামলেও এসময় বজ্রপাতে ৩জন নিহত

        কেউ কেউ আন্দোলন করে যাচ্ছে ফিজিক্যালি এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে, আমরা কাউকে বাধা দিচ্ছি না

        কেউ কেউ আন্দোলন করে যাচ্ছে ফিজিক্যালি এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে, আমরা কাউকে বাধা দিচ্ছি না

        অতি বামদের কাছে আমার প্রশ্ন, তারা আমাকে উৎখাত করে কাকে ক্ষমতায় আনবে?

        মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী

        শ্রম অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশের অগ্রগতির পর্যায়

        কক্সবাজারের পেকুয়ায় বজ্রপাতে নিহত হলেন দিদারুল ইসলাম

        ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে

        ফিরছে নিহত আট বাংলাদেশির কফিনবন্দি লাশ

        বন্যহাতির আক্রমণে কিশোরের মৃত্যু হলো

        চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশে একটি মহাসড়কের অংশ ধস

        চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশে একটি মহাসড়কের অংশ ধস

টেক্সাসে বাংলাদেশি গ্রেফতার

টেক্সাসে বাংলাদেশি গ্রেফতার

মানবপাচারের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে মিলন মিয়া নামে এক বাংলাদেশি গ্রেফতার হয়েছেন। তিনি অর্থের বিনিময়ে টেক্সাস সীমান্ত দিয়ে কমপক্ষে ১৫ জন বাংলাদেশিকে যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

এ অভিযোগে গত ৩১ শে আগস্ট টেক্সাসের হিউসটনে অবস্থিত জর্জ বুশ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে পৌঁছামাত্র তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বসবাস করেন মেক্সিকোর টাপাচুলায়। যুক্তরাষ্ট্রের আইন মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মিলান মিয়াকে ৩রা সেপ্টেম্বর টেক্সাসের সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট জাজ ডেনা এইচ পালমেরো’র আদালতে তোলা হয় মামলার প্রাথমিক শুনানির জন্য। এতে মিলন মিয়াকে আরো ফৌজদারি অপরাধের শুনানির জন্য আটক রাখতে নির্দেশ দেন বিচারক।
 
ওই বিবৃতি অনুযায়ী, মিলন মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে- তিনি ২০১৭ সালের মার্চ থেকে ২০১৮ সালের আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশিদের পাচার করেছেন।

বাংলাদেশ থেকে অর্থের বিনিময়ে অনেক নাগরিককে মেক্সিকো নিয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে তিনি ১৫ জন বাংলাদেশিকে টেক্সাস সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে নেয়ার ব্যবস্থা করেছেন। আরও অভিযোগ আছে যে, তিনি মেক্সিকোর টাপাচুলায় একটি হোটেল ব্যবসা করেন। বিভিন্ন মানুষকে সেখানে নিয়ে রাখেন তিনি। তাদেরকে খাবার দেন। আশ্রয় দেন। তারপর তাদেরকে বিমানের টিকেট দেন মেক্সিকোর উত্তরাঞ্চলে যাওয়ার। সেখানে পাচারকারীদের সঙ্গে সাক্ষাত করিয়ে দেয়া হয় ওইসব মানুষকে। পাচারকারীরাই ওইসব ব্যক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত পর্যন্ত নিয়ে যায়। গত সপ্তাহে এমন অভিযোগ স্বীকার করেন মিলন মিয়ার এক সহযোগী মোকতার হোসেন।

যুক্তরাষ্ট্রের আইন মন্ত্রণালয়ের ক্রিমিনাল ডিভিশনের সহকারী এটর্নি জেনারেল ব্রায়ান এ বেনজোওস্কি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে মানব পাচারকারী চক্রগুলো। মিলন মিয়াকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে একটি শক্ত বার্তা দেয়া হয়েছে যে, যেসব ব্যক্তি ব্যক্তিগত লাভের জন্য আমাদের জাতীয় অভিবাসন আইনের প্রতি ষড়যন্ত্র করবে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে বদ্ধপরিকর আইন মন্ত্রণালয়।

অন্যদিকে টেক্সাসের সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট-এ যুক্তরাষ্ট্রের এটর্নি রায়ান কে প্যাট্রিক বলেছেন, আমাদের সীমান্তকে নিরাপদ করা হলো জাতীয় নিরাপত্তা ও আইন প্রয়োগকারীদের অগ্রাধিকার। মাঝে মধ্যে আমাদের সীমান্তকে অপকর্মে ব্যবহার করতে কিছু বেপরোয়া সংগঠন সহযোগিতা করে। এসব নিয়ে অনুসন্ধানী কাজ করে বহু এজেন্সি। তাদের এ কাজের কারণে এসব গ্রুপকে থামানো হয়েছে এবং বিদেশী অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করা সম্ভব হয়েছে।

সান অ্যান্টনিওতে যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ইনভেস্টিগেশনের (এইচএসআই) স্পেশাল এজেন্ট ইনচার্জ শেন ফোল্ডেন।

তিনি বলেছেন, আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা ও জনগণের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করে মিলন মিয়াকে গ্রেফতার। এটা সম্মিলিত প্রচেষ্টার একটি বড় অংশ।

তিনি আরো বলেন, এইসএসআন অব্যাহতভাবে প্রচণ্ড তৎপরতার সঙ্গে অনুসন্ধান করে যাচ্ছে এবং ভেঙে দিচ্ছে বহুজাতিক অপরাধী চক্রগুলোকে, যারা জাতীয় স্বার্থের জন্য হুমকি প্রদর্শন করছে। আমাদের সীমান্তের অখন্ডতা ও আমাদের সম্প্রদায়গুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অব্যাহতভাবে কাজ করে যাবে।


শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত