বাহামাসের একই রিসোর্টে ৩ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই মার্কিন নাগরিকের মৃত্যু
মার্কিন নাগরিকদের বক্তব্য ‘সেন্সর’ করলে বিদেশি কর্মকর্তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা
ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের বক্তব্য ‘সেন্সর’ করা বা তাঁদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করলে, এর সঙ্গে জড়িত বিদেশি কর্মকতাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেবে ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বুধবার এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। নতুন এ নীতির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা বিদেশি কর্মকর্তাদের নিশানা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ ‘সেন্সর’ বলতে কী বোঝানো হচ্ছে, তার কোনো উদাহরণ দেননি রুবিও। ইউরোপীয় মিত্রদের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ এনেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো ও দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার যে সুরক্ষা যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছে, তা নিয়ন্ত্রণের জন্য দায়ী বিদেশি কর্মকর্তাদের ওপর নতুন ভিসা নিষেধাজ্ঞা নীতি কার্যকর হবে। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করা পোস্টের জন্য বিদেশি কর্মকর্তারা যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বা হুমকি দেন, তা মেনে নেওয়া যায় না।
মার্কো রুবিও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্মগুলোকে ‘বৈশ্বিক আধেয় নিয়ন্ত্রণ নীতি’ মেনে চলতে বলা এবং নিজেদের ক্ষমতার আওতার বাইরে গিয়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণের কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা বিদেশি কর্মকর্তাদের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। কিছু বিদেশি কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ও নাগরিকদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিয়েছেন, যা তাঁদের এখতিয়ারের বাইরে।
ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মালিকানা প্রতিষ্ঠান মেটা জানিয়েছে, ‘ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্ট’ নামে একটি আধেয় নিয়ন্ত্রণ আইন করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এ আইনের মাধ্যমে তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোয় ব্যবহারকারীদের মতামত নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। গত মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশনের চেয়ারম্যান বলেছিলেন, ওই আইনের মাধ্যমে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর ব্যাপক হারে বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন