আপডেট :

        নিরাপত্তা সরঞ্জাম ছাড়া তল্লাশি, যাত্রীদের আপত্তি

        জার্মান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন খালেদা জিয়া

        কূটনৈতিক উদ্যোগকে উপেক্ষা করছে ইসরায়েল: ‘স্পষ্ট অবজ্ঞা’ অভিযোগ

        রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন রোববার

        রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন রোববার

        খসরু: তারেক রহমান শিগগিরই বাংলাদেশে ফিরছেন

        লস এঞ্জেলেসে গৃহহীন মাদকাসক্তদের জন্য নতুন হুমকি ‘জম্বি ড্রাগ’ ট্রান্ক

        লস এঞ্জেলেসে ICE বিরোধী বিক্ষোভে সড়ক দখল, পুলিশ হস্তক্ষেপে ছত্রভঙ্গ

        আইসিই (ICE) কার্যালয় পরিদর্শনে কংগ্রেস সদস্যদের জন্য নতুন নীতিমালা জারি করল DHS

        অভিবাসী সহায়তা উদ্যোগ স্থগিত করল ডজার্স

        এনচিনোতে ভোররাতে গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহত চালক

        ডজার্স স্টেডিয়ামে অভিবাসন এজেন্টদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, প্রশাসনের সঙ্গে বিতর্ক

        বন্ধ হতে চলেছে আত্মহত্যা প্রতিরোধ হটলাইনের LGBTQ তরুণদের সহায়তা সেবা

        লস এঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ডের নিয়ন্ত্রণ ট্রাম্পের হাতে

        চাহিদা কমলেও দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় বাড়ির দাম এখনো আকাশচুম্বী

        লস এঞ্জেলেসে মেট্রো ট্রেনে নারী চাপা, গুরুতর আহত

        টেক্সাসে স্পেসএক্স রকেট পরীক্ষার সময় বিস্ফোরণ, হতাহত নেই

        স্বাধীনতার ঐতিহাসিক দিন স্মরণে পালিত হচ্ছে জুনটিন্থ

        ইমিগ্রান্ট কমিউনিটিকে সহায়তার পরিকল্পনা ঘোষণা করতে যাচ্ছে ডজার্স

        ইরানে হামলার পরিকল্পনায় ট্রাম্পের অনুমোদন, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো নয়

বন্ধ হতে চলেছে আত্মহত্যা প্রতিরোধ হটলাইনের LGBTQ তরুণদের সহায়তা সেবা

বন্ধ হতে চলেছে আত্মহত্যা প্রতিরোধ হটলাইনের LGBTQ তরুণদের সহায়তা সেবা

ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আত্মহত্যা প্রতিরোধ হটলাইনের LGBTQ তরুণদের জন্য নির্ধারিত একটি বিশেষ সেবা শিগগিরই বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এই সেবাটির তহবিল কেটে দিয়েছে, যার ফলে তা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই সেবা "চরমপন্থী লিঙ্গ ভাবাদর্শ" প্রচার করছে। তবে তারা জানিয়েছে, ৯৮৮ স্যুইসাইড অ্যান্ড ক্রাইসিস লাইফলাইন হটলাইনের মূল সেবাগুলি চালু থাকবে এবং সব কলারকেই “সহানুভূতির সঙ্গে সহায়তা” প্রদান করা হবে।

এই LGBTQ বিশেষ সেবা চালানোর সঙ্গে যুক্ত 'দ্য ট্রেভর প্রজেক্ট'-এর প্রধান নির্বাহী জেমস ব্ল্যাক বলেন, “আত্মহত্যা প্রতিরোধ রাজনীতি নয়, এটি মানুষকে নিয়ে।” তিনি জানান, হটলাইন বন্ধ করতে তাদের মাত্র ৩০ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, “এই সিদ্ধান্ত বোধগম্য নয়। এটি এমন একটি কার্যকর, প্রমাণভিত্তিক সেবাকে বাতিল করছে, যা বহু ঝুঁকিপূর্ণ তরুণকে সবচেয়ে অন্ধকার সময়ে সহায়তা দিয়েছে।”

এই সিদ্ধান্ত আসে জুন মাসে, আন্তর্জাতিক প্রাইড মান্থ চলাকালীন, যখন বিশ্বজুড়ে LGBTQ সংস্কৃতি ও ইতিহাস উদ্‌যাপন করা হয়।

এছাড়াও, এই ঘোষণা আসে এমন এক সময়ে, যখন মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট টেনেসি রাজ্যের ট্রান্সজেন্ডার কিশোরদের জন্য ট্রানজিশন-সংক্রান্ত চিকিৎসা নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে বহাল রাখে।

৯৮৮ লাইফলাইন হলো একটি ফ্রি মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা হটলাইন, যা ফোন, মেসেজ বা চ্যাটের মাধ্যমে সেবা দেয়। এটি ‘সাবস্টেন্স অ্যাবিউজ অ্যান্ড মেন্টাল হেলথ সার্ভিসেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (SAMHSA) কর্তৃক অর্থায়িত, যা যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ও মানব সেবা সংস্থার অধীন।

এই মুহূর্তে LGBTQ তরুণরা কল মেনুতে ‘অপশন ৩’ বেছে নিয়ে কাউন্সেলরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। কিন্তু তহবিল বন্ধ হওয়ার পর এই অপশন আর আলাদাভাবে থাকবে না বলে জানিয়েছে SAMHSA।

তবে সংস্থাটি তাদের বিবৃতিতে “T” (ট্রান্সজেন্ডার) এবং “Q” (কুইয়ার) শব্দদুটি বাদ দিয়েছে, যা LGBTQ শব্দটির পূর্ণরূপের অংশ।

HHS (Health and Human Services) কর্মকর্তারা গত সপ্তাহেই এই সেবা কেটে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তারা NBC নিউজকে জানান, “এই সার্ভিসে শিশুদের চরমপন্থী লিঙ্গ ভাবাদর্শে উৎসাহিত করা হয়, যা অনেক ক্ষেত্রেই বাবা-মায়ের জ্ঞানের বাইরে চলে যায়।”

উল্লেখ্য, ২০২০ সালে মার্কিন কংগ্রেস একটি আইন পাস করে, যেখানে ৯৮৮ লাইফলাইনে LGBTQ তরুণ এবং অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর জন্য আলাদা সেবা রাখার বাধ্যবাধকতা ছিল। এই আইনে বলা হয়, LGBTQ তরুণরা আত্মহত্যা নিয়ে চারগুণ বেশি চিন্তাভাবনা করে, এবং প্রতি পাঁচজনের একজন আত্মহত্যার চেষ্টা করে।

এই আইনটি ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে পাশ হয় এবং তিনি স্বাক্ষরও করেন।

ট্রেভর প্রজেক্ট ২০২২ সাল থেকে ৯৮৮ হটলাইনের আওতায় তাদের সেবা প্রদান শুরু করে। ২০২৪ সালে তারা ২,৩১,০০০-এরও বেশি সংকট কল পরিচালনা করে। তবে তারা জানিয়েছে, তারা স্বাধীনভাবে তাদের সেবা চালিয়ে যাবে।

এই সিদ্ধান্ত এমন এক সময়ে এসেছে, যখন ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রে ট্রান্সজেন্ডার নাগরিকদের জন্য বিভিন্ন পরিষেবা, অধিকার এবং সুযোগ হ্রাসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি ইতোমধ্যে ট্রান্সজেন্ডার সদস্যদের সেনাবাহিনীতে নিষিদ্ধ করেছেন এবং একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন যাতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র কেবল দুইটি লিঙ্গ – নারী ও পুরুষ – স্বীকৃতি দেবে। এছাড়াও, ট্রান্সজেন্ডার নাগরিকরা আর পাসপোর্টে “X” লিঙ্গ চিহ্ন বেছে নিতে পারবেন না।

এই সিদ্ধান্তগুলোর সমালোচনা করে অনেকেই বলছেন, এটি দেশজুড়ে LGBTQ সম্প্রদায়ের জন্য একটি বড় ধাক্কা এবং আত্মহত্যার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।

এলএবাংলাটাইমস/ওএম

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত