দুই শতাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র
বুকে ব্যথা অনুভব করায় খালেদার সিটি স্ক্যান
বুকে ব্যথা অনুভব করায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কম্পিউটেড টমোগ্রাফি (সিটি) স্ক্যান করা হয়েছে।
বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে হাসপাতালের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে তার সিটি স্ক্যান সম্পন্ন হয়।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ডা. আব্দুল জলিল চৌধুরী এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানান, মূলত খালেদা জিয়ার বুকের সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। এটাকে এইচআর সিটি চেস্ট বলা হয়। সাধারণত ফুসফুসে পানি জমেছে কি না, অ্যাজমা বা হাঁপানি জাতীয় সমস্যা আছে কি না বা বুকে অন্য কোনো সমস্যা হয়েছে কি না তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য এ পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করায় চিকিৎসকরা তার এইচআর সিটি চেস্ট করার সিদ্ধান্ত নেন।
এ প্রসঙ্গে বিএসএমএমইউর পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার আব্দুল্লাহ-আল-হারুন বলেন, হাসপাতালের চিকিৎসকরা নিয়মিত খালেদা জিয়াকে দেখতে যান। তিনি বুকে ব্যথার কথা বলায় চিকিৎসকরা সিটি স্ক্যান করার সিদ্ধান্ত নেন।
তিনি বলেন, তার শারীরিক অবস্থার কোনো অবনতি হয়নি, বরং স্থিতিশীল রয়েছে।
তবে সিটি স্ক্যান করে কী রিপোর্ট পাওয়া গেছে, সে বিষয়ে বলতে পারেনি আব্দুল্লাহ-আল-হারুন।
এদিকে, বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) মহাসচিব ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন অভিযোগ করেন, খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যান করার সময় সেখানকার দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. নজরুল ইসলামকে সরিয়ে দিয়ে পছন্দমতো চিকিৎসক দিয়ে সিটি স্ক্যান করানো হয়েছে। তার চিকিৎসায় কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করা হচ্ছে। এমনকি তাকে কোনো আত্মীয়র সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। এতে তার মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে পারে।
প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। সেই থেকে তিনি রাজধানীর নাজিমুদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীণ ছিলেন। পরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে উন্নত চিকিৎসার জন্য আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ৬ অক্টোবর বিএসএমএমইউর ৬১১-১২ কেবিনে ভর্তি করা হয়। তিনি বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ভর্তির আগে তার চিকিৎসার জন্য পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। ১০ অক্টোবর মেডিক্যাল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসা শুরু করেন। চিকিৎসা শুরুর পর থেকে মেডিক্যাল বোর্ড এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কঠোর গোপনীয়তা অবলম্বন করছে।
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি
শেয়ার করুন