দুই শতাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র
যারা জনগণকে কষ্ট দিচ্ছেন তাদের বিচার হবে : ড. কামাল
জনগণের সেবক হয়ে যারা জনগণকে কষ্ট দিচ্ছেন তাদের বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন গণফোরামের সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেন।
২৭ অক্টোবর, শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউড়ির নূর আহমদ সড়কে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত সমাবেশে ড. কামাল এ কথা বলেন।
ড. কামাল বলেন, ‘এ দেশের মালিক জনগণ আর যারা দেশ শাসন করছেন তারা সেবক। সেবক হয়ে যারা জনগণকে হামলা-মামলা দিয়ে কষ্ট দিচ্ছেন, তাদের বিচার হবে। সরকার সকাল-বিকাল ও সন্ধ্যায় দেশের সংবিধান লঙ্ঘন করছে, শপথ ভঙ্গ করছে। তাদের বিচার হবে, শাস্তি দেওয়া হবে।’
‘স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ, সুষ্ঠু নির্বাচন হোক, এসব শর্ত আমরা দিয়েছি। সাত দফার এসব দাবি মানলেই সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত হবে। এই ন্যূনতম সাত দফা দাবি সময় থাকতে মেনে নিন।’
উপস্থিত নেতাকর্মীদের প্রসঙ্গ টেনে সরকারকে উদ্দেশ করে ড. কামাল বলেন, ‘এই যে লাখ লাখ মানুষ দাবি তুলেছে, জনগণের সে সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করলে, অমান্য করলে যে শাস্তি আপনারা পাবেন, তা কল্পনাও করতে পারবেন না। বাংলাদেশ কারো পৈতৃক সম্পত্তি না, এ দেশের মালিক ১৭ কোটি মানুষ, সংবিধানেই লেখা আছে জনগণ ক্ষমতার মালিক।’
সরকারের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে ড. কামাল বলেন, ‘লালদীঘির মাঠে কেন ঐক্যফ্রন্টকে সমাবেশ করতে দেয়া হলো না, এর জবাব আপনাদের দিতেই হবে। আমরা খুঁজে বের করব।’
‘২০১৪ সালে বলা হয়েছিল অবস্থা মোকাবেলায় জন্য সাময়িকভাবে একটা নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু পরে আর নতুন নির্বাচন হয়নি। পাঁচ বছর কাটিয়ে দেয়া হলো।’
এই কাজ ‘সংবিধান অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ অপরাধ’ অভিহিত করে ড. কামাল বলেন, ‘এই অপরাধের জন্য জবাবদিহি আদায় করতে হবে। এবার জনগণ যখন ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, অসম্ভবকে সম্ভব করেই ছাড়বে। এভাবে আমরা স্বাধীনতাও অর্জন করেছি। জনগণের বিজয় হবে ইনশাআল্লাহ। জনগণ ভোট দেয়ার সুযোগ পেলে আপনাদের ভাঙা নৌকায় আর উঠবে না।’
মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আ স ম আব্দুর রউফ, মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।
গত ২৪ অক্টোবর নতুন জোট গঠনের পর এটি ঐক্যফ্রন্টের দ্বিতীয় সমাবেশ। এর আগে সিলেটে প্রথম সমাবেশ করে জোটটি। গত ১৩ অক্টোবর ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া, জেএসডি, নাগরিক ঐক্য ও বিএনপি মিলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে।
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি
শেয়ার করুন