আপডেট :

        ট্রেনের টিকেটসহ কালোবাজারি গ্রেপ্তার

        ৪ বিভাগে ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা

        প্রকাশ পেল তুফান সিনেমার ফার্স্টলুক

        নিউইয়র্কে রাস্তায় আচমকা নারীদের ঘুষি মারছে অজ্ঞাতরা

        যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

        পাপারাজ্জিকে ঘুষি: টেলর সুইফটের বাবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ

        দশ বছরে ৬৪ হাজার অভিবাসীর মৃত্যু, সাগরেই ৩৬ হাজার

        বাল্টিমোরে সেতুধসে দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজের সব ক্রু ভারতীয়

        কে হচ্ছেন নতুন বন্ড

        জাহাজের ধাক্কায় বাল্টিমোরে সেতু ধসের সর্বশেষ

        শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আমাদের ভালো করা উচিত: সাকিব

        রিকশাওয়ালাদের গেম শো

        আর্জেন্টিনায় ৭০ হাজার সরকারি কর্মীকে বরখাস্ত

        সর্বজনীন পেনশন স্কীম কার্যক্রমের উদ্বোধন

        ভুটানের রাজাকে গার্ড অব অনার ও বিদায়ী সংবর্ধনা

        গাজায় মানবিক বিপর্যয় মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষে পরিণত: জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধান

        ভুয়া পিতৃপরিচয় দিয়ে বৃদ্ধের সঙ্গে প্রতারণা

        বাংলাদেশি আমেরিকানদের ভূয়সী প্রশংসায় ডোনাল্ড লু

        মস্কোতে আইএসের হামলা চালানো, বিশ্বাস হচ্ছে না মারিয়া জাখারোভার

        নগরীর অচল ১১০টি সিসি ক্যামেরা হল সচল

সংলাপ: কামাল বললেন ‘ভালো’, মির্জা ফখরুল ‘অসন্তুষ্ট’

সংলাপ: কামাল বললেন ‘ভালো’, মির্জা ফখরুল ‘অসন্তুষ্ট’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও জোটের নেতাদের সঙ্গে সংলাপ ভালো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেন। তবে তার বিপরীত বক্তব্য দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

১ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার রাতে সংলাপ শেষে গণভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান ঐক্যফ্রন্টের দুই শীর্ষ নেতা।

প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে সন্ধ্যা ৭টার পর আওয়ামী লীগ ও জোটের নেতাদের সঙ্গে সংলাপে বসেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। এই সংলাপ চলে সাড়ে ৩ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে।

রাত ১০টা ৫০ মিনিটে গণভবন থেকে প্রথমে ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। এরপর আওয়ামী লীগের নেতারাও বেরিয়ে যান।

ওই সময় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা জানান, ড. কামাল হোসেনের বেইলি রোডের বাসায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাদের বক্তব্য জানানো হবে। তবে সাংবাদিকদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত আলাপে ড. কামাল বলেছেন, আলোচনা ভালো হয়েছে। অন্যদিকে ফখরুল এক বাক্যে বলেছেন, ‘সংলাপে আমরা সন্তুষ্ট নই।’

সংলাপ শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় গণভবনের সামনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের ইঙ্গিত দিয়েছেন, ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবির মধ্যে অন্তত দুটি আওয়ামী লীগ মেনে নিয়েছে। তবে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকারের পদত্যাগের দাবি মানতে নারাজ আওয়ামী লীগ।

একটি সূত্রে জানা যায়, খালেদা জিয়ার মুক্তির প্রসঙ্গটি বিএনপি নেতারা তুললে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের বলেন, ‘এ মামলাগুলো আমি ফাইল করিনি। এগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় করা। এগুলো নিয়ে সরকারের কিছু করার নেই। যা করার আইনি পথেই করতে হবে।’

রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলার প্রসঙ্গ তুলেছিলেন বিএনপি নেতারা। উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা যেসব মামলাকে হয়রানিমূলক বলছেন, তার তালিকা দিন। আমি যাচাই করে দেখব।’

বহুল আলোচিত এই সংলাপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দলের ২৩ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। আর ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে ছিলেন ১৬ জন।

আওয়ামী লীগের পক্ষে ছিলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, মো. আবদুর রাজ্জাক, কাজী জাফর উল্লাহ, রমেশ চন্দ্র সেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ডাক্তার দীপু মনি, আবদুর রহমান, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, আইনবিষয়ক সম্পাদক শ. ম. রেজাউল করিম, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এবং জাসদের একাংশের সভাপতি মইন উদ্দিন খান বাদল।

অন্যদিকে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, সহ-সভাপতি তানিয়া রব, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, এসএম আকরাম, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আ ব ম মোস্তফা আমিন।

এর আগে সংলাপের আহ্বান জানিয়ে গত ২৮ সেপ্টেম্বর ড. কামাল হোসেন প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে বসার সিদ্ধান্ত নেন।

এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত