লেখক-ব্লগার অভিজিৎ রায়ের হত্যার দায় আনসার বাংলা-৭ নামের একটি সংগঠন স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের রমনা জোনের সহকারী কমিশনার এস এম শিবলী নোমান জানান, আনসার বাংলা টিম-৭ নামের একটি সংগঠন এই হামলার দায় স্বীকার করে টুইটারে একটি পোস্ট লিখেছে। ব্লগার রাজীব, অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ এর ওপর যেভাবে হামলা করা হয়েছিল, এবারের ধরনটাও একই ধরনের।
এদিকে আজ বেলা একটার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ডিবির উপকমিশনার (দক্ষিণ) কৃষ্ণপদ রায় এ বিষয়ে মিডিয়াকে বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্তের দায়িত্ব আমাদের কাছে এখনো (এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত) না এলেও আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। এখন পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় তিনি সেখানে থাকা গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, ‘সময় ধরে হিসাব করা মুশকিল। প্রতিটি ঘটনা আলাদা। প্রতিটি ঘটনার পেটার্ন আলাদা। তদন্তের কার্যক্রম আলাদাভাবে গণ্য। লোকজন অনেক সময় আলাদা হয়। ভিকটিমও আলাদা। আমরা কাজ করছি সময় ধরে বলা যাবে না। তবে আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব এর পেছনে যারা জড়িত আছে তাদের খুঁজে বের করতে।’
ঘটনার পর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অপরাধ শনাক্তকরণ দল ঘটনাস্থলে আলামত সংগ্রহ করে। শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম মিডিয়াকে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা দুটি চাপাতি ও কাঁধে ঝুলানো একটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। দুটি চাপাতির হাতল কাগজে মোড়ানো ছিল।শ্রদ্ধা নিবেদন ও মরদেহ দান
প্রতি আগামী রোববার শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। সেদিন সকাল ১০ থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা তাঁর মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে রাখা হবে। আজ দুপুরে প্রথম আলোকে একথা জানান অভিজিৎ রায়ের ছোট ভাই অরিজিৎ রায়ের স্ত্রী কেয়া বর্মন।
কেয়া বর্মন বলেন, শ্রদ্ধা নিবেদনের পর অভিজিৎ রায়ের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজে গবেষণার জন্য দান করা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শেয়ার করুন