চার গুণীজনকে একান্নবর্তী-রণজিৎ বিশ্বাস স্মৃতি সম্মাননা প্রদান
প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান প্রতারণামূলক : ফখরুল
শুক্রবার জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সংখ্যা দিয়ে বিরোধী দলকে মূল্যায়ন করা হবে। সংখ্যা যত কমই হোক, সংসদে যেকোনো সদস্যের ন্যায্য ও যৌক্তিক প্রস্তাব/আলোচনা/সমালোচনার যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে। আমি বিরোধীদলের নির্বাচিত সদস্যদের শপথ নিয়ে সংসদে যোগদানের আহ্বান জানাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রীর এই আহ্বানকে ‘প্রতারণামূলক’ বলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সংসদে আসতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে বিএনপির এই নেতা বলেন, এই মুহূর্তে সংসদ যাওয়ার বা শপথ নেওয়ার প্রশ্নই উঠতে পারে না।
টানা তৃতীয়বার সরকার গঠনের পর শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ। এই ভাষণে পর তাৎক্ষণিক ভাবে সাংবাদিকদের কাছে বিএনপি মহাসচিব এই প্রতিক্রিয়া দেন।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্য আওয়ামী লীগের বিজয়ের কারণ ও বিএনপির পরাজয়ের কারণ উল্লেখ করেছেন।
মির্জা ফখরুল বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, এই নির্বাচনে মানুষের মতামতের প্রতিফলন ঘটেনি। ক্ষমতাসীনরা নজিরবিহীন ভোট ডাকাতি করেছে যা ইতিপূর্বে বাংলাদেশ কখনো হয়নি। ভোট ডাকাতির মাধ্যমে ক্ষমতাসীনরা ক্ষমতা আবার দখল করে নিয়েছেন। এরা আবার বলছেন দেশ পরিচালনা করবেন এবং এরা বিরোধী দলকে সংসদে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছেন। তিনি বলেন, এই বক্তব্যের মধ্যে আরও একটা প্রতারণা জনগণের সাথে করা হচ্ছে, বোকা বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে মানুষকে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, একাদশ সংসদে যাওয়ার বিষয়ে দলের অবস্থান পরিষ্কার। এটা কী সংসদ ধরা যায়। তিনি বলেন, বিএনপি ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে। এই মুহূর্তে সংসদ যাওয়ার বা শপথ নেওয়ার প্রশ্নই উঠতে পারে না। ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি বলছে নির্বাচন বাতিল করেন, আবার নতুন নির্বাচন দেন। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করেন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেন। সবাই অংশগ্রহণ করবে। তারপরে যে ফলাফল আসবে সেই ফলাফলের ভিত্তিতে সংসদ এবং, সরকার গঠন হবে। আমরা তো আগেই বলে দিয়েছি। নতুন করে বলার কিছু নেই।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তার বক্তব্যের মধ্যে যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন কেন তার বিজয় হলো? সেই ব্যাখ্যাই প্রমাণ করে যে তারা আসলে কোনো বিজয় অর্জন করেননি, জনগণের ভোটকে ডাকাতি করে নিয়ে গিয়ে ক্ষমতা দখল করে বসেছেন। প্রধানমন্ত্রীর ব্যাখ্যাটা সেটাই প্রমাণ করে। তিনি বলেন, এর আগে আপনার (প্রধানমন্ত্রী) কোনো ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজন হয়নি। সঠিক ভোটে জিতলে কোনো ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। ইতিমধ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পত্র-পত্রিকা, মিডিয়া এবং বিভিন্ন দেশগুলো বক্তব্যের মধ্যে এসেছে যে, এই নির্বাচন কখনোই গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়নি এবং এখানে মানুষের মতামতের প্রতিফলন হয়নি। ভয়াবহ রকমের নজিরবিহীন ভোট ডাকাতি হয়েছে।
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি
শেয়ার করুন