ছাত্রলীগ নেতার ধর্ষণ, পর্ণ ভিডিওর ফাঁদে সুন্দরী ছাত্রীরা
অভিভাবকদের উদ্বেগ
প্রথমে ওরা নবাগত সুন্দরী ছাত্রীদের টার্গেট করে। এরপর পাতে প্রেমের ফাঁদ। গড়ে তোলে ‘গভীর’ প্রেমের
সম্পর্ক। রেস্টুরেন্টে হোটেলে চলে চা আর কফি পার্টি। এরপর আরো এগিয়ে গিয়ে প্রস্তাব দেয়া হয় ডেটিং এর। সবুজ সংকেত পেলেই প্রেমিকাকে নিয়ে যাওয়া হয় আগে থেকেই রেডি রাখা কোনো ফ্ল্যাটে। এরপর যথারীতি ধর্ষণ, আগে থেকে প্রস্তুত রাখা মুভি ক্যামেরায় তোলা হয় সেই ধর্ষণেরভিডিও।
আর যায় কোথায়? সেসব গোপন ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়া বা অন্যদের দেখানোর ভয় দেখিয়ে জিম্মি করা হয় কৃত্রিম প্রেমিকাদের। এরপর হাতিয়ে নেয়া হয় মোবাইল ফোন, গহনা, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র। এমন একটি চক্র এখনও বহাল তবিয়তে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে পটুয়াখালী পলিটেকনিট ইনস্টিটিউটে। তারা আবার ছাত্রলীগ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। কেউ নেতা, কেউ বা কর্মী। কলেজছাত্রীদের দিয়ে জোর করে পর্নোভিডিও তৈরির ওই চক্রের তিন সদস্যকে মঙ্গলবার সকালে পটুয়াখালীর সবুজবাগ এলাকা থেকে আটক করেছে পুলিশ। এরা হলেন- ছাত্রলীগ পটুয়াখালী পলিটেনিক ইনস্টিটিউট শাখার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও বর্তমান সদস্য তাহসান (২২), সদস্য নাজমুল হক সিয়াম(২১) ও পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগ সদস্য সাইদুর রহমান জয় (২১)। এরা সবাই পলিটেনিক ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন সেমিস্টারের ছাত্র। এর মধ্যে জেলা ছাত্রলীগের নেতা সাইদুর রহমান জয়ের মা শিমুল আকতার পটুয়াখালী জেলা মহিলা লীগের প্রভাবশালী নেত্রী।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক
বাংলামেইলকে জানান, পটুয়াখালী পলিটেকনিকের
দ্বিতীয় সেমিস্টারের এক ছাত্রীর অভিভাবকের
অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তিন যুবক
তাহসান, সিয়াম ও জয়কে আটক করা হয়েছে। এদের
কাছ থেকে পর্নোছবি তৈরি ক্যামেরা আর ল্যাপটপ
জব্দ করা হয়েছে।
পুলিশ আরো জানায়, পলিটেনিক ইনস্টিটিউটের
কোমলমতি ছাত্রীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ওই
চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে তাদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ
ছবি তুলে আসছে। পরে ইন্টানেটে ছেড়ে দেয়ার ভয়
দেখিয়ে ছাত্রীদের কাছ থেকে দামি মোবাইল
ফোন, টাকা-পয়সাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র
হাতিয়ে নিয়ে আসছিলো। এরই ধারাবাহিকতায়
সোমবার দ্বিতীয় সেমিস্টারের এক
ছাত্রীকে শহরের তিতাস সিনেমা এলাকার
ছাত্রবাস, খান ভিলার তৃতীয় তলায় নোট দেয়ার
নাম করে ডেকে নিয়ে যায় তাহসান।
সেখানে নিয়ে তাহসান ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে ও
ভিডিও ধারন করে।
পুলিশ জানায়, ওই ঘটনার পর সোমবার রাতে ওই
ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত
অভিযোগ দেয়া হয়। মঙ্গলবার সকালে অভিযান
চালিয়ে ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়।
তাদের কাছ থেকে জব্দ করা ল্যাপটপে কলেজের
বিভিন্ন ছেলে মেয়ের অন্তরঙ্গ ও অশ্লীল
ছবি পাওয়া গেছে।
আটক ছাত্রলীগ নেতারা নানা কৌশলে ছাত্রীদের
দিয়ে পর্নোভিডিও তৈরির
ঘটনা জানিয়েছে পুলিশকে।
নেতারা দাবি করেছেন, তারা সবাই পলিটেকনিক
ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন সেমিস্টারের ছাত্র
এবং ছাত্রলীগ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
শেয়ার করুন