নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ
শপথ নিলেন ঐক্যফ্রন্টের মোকাব্বির
নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির আহেম্মেদ খান শপথ নিয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সংসদ ভবনের নিজ কার্যালয়ে সিলেট-২ আসন থেকে বিজয়ী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এই এমপির শপথ পড়ান স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী।
জাতীয় সংসদের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান শপথ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। এ সময় সংসদ সদস্যের নির্বাচনী এলাকার নেতৃবৃন্দ ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শপথ নিতে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সংসদ ভবনে আসেন মোকাব্বির খান। এ সময় তাকে স্বাগত জানানো হয়।
গণফোরামের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে মোকাব্বির শপথ নিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে দল থেকে। তবে আগেই তিনি জানিয়েছেন, দলের সিদ্ধান্তেই শপথ নিচ্ছেন।
গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক বলেন, ‘মোকাব্বির খান দলীয় প্যাড চুরি করে শপথ নেয়ার জন্য স্পিকারকে চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু, কোথা থেকে, কিভাবে দলের প্যাড চুরি করেছেন, তা আমার জানা নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচিত কেউ শপথ নিবেন না, এখন পর্যন্ত আমাদের দল ও জোটের এই সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে। বিকেলে বৈঠক আছে। সেখানে মোকাব্বিরের বিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-২ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনয়ন পান নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা। এরপর মোকাব্বির নির্বাচন থেকে সরে প্রবাসে চলে যান। তবে তার পাঠানো মনোনয়ন প্রত্যাহারের আবেদন সময়মতো কর্তৃপক্ষের হাতে না পৌঁছায় তিনি প্রার্থী তালিকায় থেকে যান।
এরই মধ্যে উচ্চ আদালতের রায়ে লুনার প্রার্থিতা স্থগিত হয়ে যায়। এ অবস্থায় ভোটের কয়েক দিন আগে মোকাব্বিরকে দেশে ডেকে আনে ঐক্যফ্রন্ট। মাত্র চার দিনের প্রচারণা চালিয়ে জয় পান তিনি।
এর আগে গত ৭ মার্চ দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে শপথ নেন ধানের শীষ প্রতীকে বিজয়ী গণফোরামের আরেক নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর। পরে দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি
শেয়ার করুন