ছাত্রলীগ নেতাকে প্রকাশ্যে গুলি করে আ’লীগ নেতা বাদল
খুনাখুনি চলছে আওয়ামীলীগে
প্রভাব বিস্তার ও অবৈধ সম্পদ জবর দখল করতে খুনাখুনি চলছে আওয়ামীলীগে
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি গ্রামে
একটি মেলায় জুয়া বসানো নিয়ে আধিপত্যবিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুইগ্রুপের সংঘর্ষের সময় শত শত লোকের সামনেপ্রকাশ্যে গুলি করে ছাত্রলীগ নেতা বাঁধনকে(২৬) হত্যা করে বাদল নামের স্থানীয় একআ’লীগ নেতা। কিলার বাদল ইউনিয়নআ’লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক।বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন আরও অন্তত১০ জন। নিহত বাঁধন মুলাডুলি গ্রামের ছানাখন্দকারের ছেলে এবং ১ নাম্বার ওয়ার্ডছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রেজানা গেছে, মুলাডুলি গ্রামে হিন্দুসম্প্রদায়ের কালীপূজা উপলক্ষ্যে মুলাডুলিস্টেশন মাঠে মেলার আয়োজন করা হয়। ওইমেলায় জুয়া আসর বসায় মুলাডুলি ইউনিয়নযুবলীগের সভাপতি খন্দকার মিলন হোসেনসহঅন্যরা। বুধবার দুপুরে মেলার অনুষ্ঠানেঅতিথি হিসেবে অংশ নিতে যান ইউনিয়নআওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামালহোসেন মিঠু। তার কাছে হিন্দু সম্প্রদায়েরমানুষ যুবলীগ নেতা কর্তৃক আয়োজিত জুয়াখেলা বন্ধের দাবি জানালে তিনি জুয়াখেলার আসর ভেঙ্গে দেন।এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে যুবলীগ নেতার সমর্থকরাআওয়ামী লীগ নেতা কামাল হোসেন মিঠু ওতার সমর্থকদের উপর হামলা করলে সংঘর্ষবাঁধে। সংঘর্ষের সময় শত শত লোকের সামনেপ্রকাশ্যে গুলি করে ছাত্রলীগ নেতা বাঁধনকেহত্যা করে বাদল নামের স্থানীয় এক আ’লীগনেতা। নিহত বাঁধন যুবলীগ নেতা মিলনখন্দকার গ্রুপের সমর্থক। এছাড়া আরও ১০ জনআহত হয়। তাদের ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষচলাকালে পাঁচটি মোটরসাইকেল ও একটিপ্রাইভেটকারে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধনেতাকর্মীরা।এদিকে ছাত্রলীগ নেতা বাঁধন নিহত হওয়ায়তার পরিবারে স্বজনদের আহাজারিতেএলাকার বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। বাঁধনেরপরিবার ও এলাকাবাসী হত্যাকারীকেগ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তি দাবীকরেছেন।
শেয়ার করুন