আপডেট :

        সমুদ্র বাণিজ্যে নতুন ফি: বন্দরে অতিরিক্ত খরচের ঘোষণা

        বাংলাদেশী শর্ট ফিল্ম 'নিশি'র EMA জয়

        মিরাজের প্রশংসা: বাংলাদেশ দলের খেলায় রয়েছে সম্ভাবনা

        পুলিশের বাধা অতিক্রম করে শাহবাগ ব্লকেড: ভাতা বৃদ্ধি ও জাতীয়করণের দাবিতে শিক্ষকরা অটল

        গাজায় স্থায়ী শান্তির পথে: ট্রাম্প দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরুর ঘোষণা দেন

        দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় বিক্রি হওয়া টিকিটে ৫ কোটি ডলারের জ্যাকপট

        ক্যালিফোর্নিয়ার হান্টিংটন বিচে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা: আহত ৫ জন হাসপাতালে

        প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত সাবেক প্রেসিডেন্ট বাইডেনের রেডিয়েশন থেরাপি চলছে

        টেনেসিতে বিস্ফোরক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ: ১৬ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা, কেউ বেঁচে নেই

        মিসিসিপিতে ফুটবল খেলার পর গণগুলি: নিহত ৪, আহত ১২

        পুতিনের মন্তব্য: ট্রাম্প বঞ্চিত হওয়ায় নোবেল পুরস্কারের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ

        সমুদ্রের তলায় ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক হুমকি

        ইশরাক হোসেনের জীবনের নতুন অধ্যায়: কে তিনি বিয়ে করছেন?

        জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, এলপিজি সিলিন্ডারের মূল্য রাখতে হবে ১ হাজার টাকার মধ্যে

        চুয়েটের ‘টিম এসরো’ নাসার গ্লোবাল স্পেস চ্যালেঞ্জ ২০২৫-এর বিশ্বজয়ী

        নির্বাচনের ফেব্রুয়ারি তাং নিয়ে মানুষের মধ্যে অবিশ্বাস: মন্তব্য

        সিরিজে রশিদের স্পিনে বাঙালিরা হেরেছে

        আসল নকল মিলছে? আপনার ফোন নকল কিনা জানতে এই উপায়গুলো অনুসরণ করুন

        হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর হার ১ থেকে ৩৮

        দারুল উলুম দেওবন্দ পরিদর্শনে তালেবান পররাষ্ট্রমন্ত্রী, উষ্ণ অভ্যর্থনা

২৮ এপ্রিল ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটির ভোট - ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আগাম প্রচারণা সরাতে হবে

২৮ এপ্রিল ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটির ভোট - ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আগাম প্রচারণা সরাতে হবে

ঢাকা ও চট্টগ্রাম করপোরেশন নির্বাচন

২০০২ সালে ঢাকায় সর্বশেষ নির্বাচন হয়

ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটির ভোট ২৮ এপ্রিল ২০০২ সালে ঢাকায় সর্বশেষ  নির্বাচন হয়; ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আগাম প্রচারণা সরাতে হবেআগামী ২৮ এপ্রিল বিভক্ত ঢাকা (উত্তর ও দক্ষিণ) সিটি করপোরেশন এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ। আট বছর পর ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৯ মার্চ রোববার। তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনে (ইসি) প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১ ও ২ এপ্রিল এবং মনোনয়নপত্রপ্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার। নিয়ম অনুযায়ী আগামী ২৮ এপ্রিল ভোটের দিন রাজধানী ঢাকা ও বন্দরনগরী চট্টগ্রামে সাধারণ ছুটি থাকবে বলে কমিশন জানিয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ গতকাল বুধবার বিকেলে শেরে বাংলানগরের নির্বাচন কমিশনের সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিক সংবাদসম্মেলনের মাধ্যমে ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশননির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে এ তথ্য জানান। এর আগে সকালে কমিশন সভায়তফসিল অনুমোদন দেয়া হয়। এ সময় অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশন দেশেবিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের টানা অবরোধ ও হরতাল চলা অবস্থায় এ তফসিল ঘোষণাকরল। সিইসি কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ জানান, ঢাকা দণি সিটি করপোরেশন নির্বাচনেরিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচনকর্মকর্তা মিহির সারওয়ার মোর্শেদ,উত্তরে দায়িত্ব পালন করবেন সিনিয়রজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো: শাহ আলমএবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তারদায়িত্ব পালন করবেন চট্টগ্রামেরআঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো: আবদুলবাতেন। তিনি জানান, মনোনয়নপত্রযাচাই-বাছাইয়ের পর প্রার্থীরা আপিলেরজন্য তিন দিন সময় পাবেন। আপিল শুনানিরজন্যও তিন দিন সময় থাকবে। ঢাকার আপিলকর্তৃপ হিসেবে থাকবেন ঢাকা বিভাগীয়কমিশনার এবং চসিকের জন্য চট্টগ্রামবিভাগীয় কমিশনার আপিল কর্তৃপরেদায়িত্ব পালন করবেন।৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিলবোর্ড ব্যানারফেস্টুন সরানোর নির্দেশসিইসি বলেন, ঢাকা শহর ও চট্টগ্রামশহরে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাদের আগামনির্বাচনী প্রচারে বিলবোর্ড, ফেস্টুনলাগিয়েছেন। আমি তাদের উদ্দেশে বলছি,তারা যেন আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিজদায়িত্বে বিলবোর্ড, ফেস্টুন নামিয়েনেন। নির্দেশ পালন করা না হলেসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থানেয়া হবে।নির্বাচনে আগ্রহী প্রার্থীদের উদ্দেশেপ্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন,আপনারা যত্ন করে আইনানুগভাবেমনোনয়নপত্র দাখিল করবেন। অসাবধানতাও সামান্য ভুলের কারণে মনোনয়নপত্রবাতিল হয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন,অনেকে সামান্য ভুল-ত্রুটির কারণে অনেকদিনের আশা পূরণ করতে পারেন না,অসুবিধায় পড়েন। আমরাও তাদেরসহযোগিতা করতে পারি না। প্রার্থীদেরসুবিধার্থে গাইড বুক তৈরি করেছি।সেগুলো প্রার্থীরা যেন ভালোভাবেদেখেন।আচরণবিধি প্রসঙ্গে সিইসি বলেন,প্রার্থীরা যেন আচরণবিধি লঙ্ঘন নাকরেন। তা সম্পূর্ণভাবে মেনে চলেন। এতেভোটারদের সামনে প্রার্থীর ভাবমর্যাদাসমুন্নত থাকবে। তিনি জানান, প্রতিটিবিষয়ে আপিলের সুযোগ রয়েছে। তাইনিজের হাতে আইন তুলে নেবেন না।আইনানুগভাবে প্রতিকার চাইতে হবে।ভোটারদের উদ্দেশে সিইসি বলেন,আপনাদের সুবিধার জন্য ভোট গ্রহণের দিনসরকারি ছুটি রাখা হবে। আপনারা সবাইউপস্থিত হয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোটদিন। নিঃসঙ্কোচে ভোট দিন। আপনারাযাতে শৃঙ্খলার সাথে ভোট দিতে পারেন একারণে ভোটকেন্দ্রে ভোটক বাড়িয়েছি।সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত পরে :সেনাবাহিনী মোতায়েন প্রসঙ্গে কাজীরকিবউদ্দীন আহমদ বলেন, আমরা অনেকগুলোনির্বাচন সেনাবাহিনী ছাড়া করেছি।সেনাবাহিনী প্রয়োজন না হলে মোতায়েনকরি না। তবে পরিস্থিতি বুঝে আরো পরে এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এর আগেআইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বৈঠক করব।মোবাইলে জানা যাবে কেন্দ্র ও ভোটারনম্বর : প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন,ভোটাররা একটি নির্দিষ্ট নম্বরে মোবাইলথেকে এসএমএস পাঠালে ফিরতি এসএমএসেরমাধ্যমে ভোটকেন্দ্র ও ভোটার নম্বরপাওয়া যাবে। এতে ভোটাররা জানতেপারবেন তাকে কোনো ভোটকেন্দ্র যেতেহবে।ভোটার স্থানান্তর নয় : তফসিল ঘোষণারপর ভোটারের স্থান পরিবর্তন করা যাবেনা। তফসিলের আগে যারা আবেদন করেছেনতাদেরটা আইন অনুযায়ী করে দেয়া হবে।ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)ব্যবহার নয় : সিইসি জানান, বেশ কয়েকটিনির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করেছি।সর্বশেষ রাজশাহী সিটি করপোরেশনেইভিএম ব্যবহার করা হয়েছিল। সেখানেকারিগরি ত্রুটি দেখা দেয়। যন্ত্রগুলোপরিক্ষার জন্য পাঠিয়েছি। এখনো সুফলপাইনি। সুফল না পাওয়া পর্যন্ত ইভিএমব্যবহার স্থগিত রাখা হবে।১ মার্চ পর্যন্ত তিন সিটির তথ্য : ঢাকাউত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৬টি সাধারণওয়ার্ডে ভোটার রয়েছেন ২৩ লাখ ৯৮হাজার ৩১৩ জন। এর মধ্যে মহিলা ভোটার১১ লাখ ২১ হাজার ৭৪২ জন এবং পুরুষভোটার ১২ লাখ ২৭ হাজার ৫৭১ জন।সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১২টি। সম্ভাব্যভোটকেন্দ্র এক হাজার ৮৭টি এবং ভোট কক্ষপাঁচ হাজার ৮২৮টি।আর ঢাকা দেিণর ৫৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে১৮ লাখ ৭০ হাজার ৩৬৩ জন ভোটার। এরমধ্যে মহিলা ভোটার আট লাখ ৬১ হাজার২৯৩ জন এবং পুরুষ ভোটার ১০ লাখ ৯হাজার ৭০ জন। এখানে সংরক্ষিত ওয়ার্ড১৯টি। সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র ৮৭৩টি এবংভোট কক্ষ চার হাজার ৪৩৯টি।আর চট্টগ্রাম সিটিতে ৪১টি সাধারণওয়ার্ডে ১৮ লাখ ২২ হাজার ৮৯২ জনভোটারের জন্য ৭৫০টি ভোট কেন্দ্ররয়েছে। যেখানে ভোট কক্ষ হলো পাঁচহাজার ২৫০টি।প্রসঙ্গত, অবিভক্ত ঢাকা সিটিকরপোরেশনের সর্বশেষ নির্বাচন হয় ২০০২সালে। ২০০৭ সালে তার মেয়াদ পূর্ণ হলেড. এ টি এম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীনবিগত নির্বাচন কমিশন বেশ কয়েকবারনির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থহয়। এরপর ২০১১ সালের ৩০ নভেম্বরতৎকালীন সরকার ঢাকা সিটিকে উত্তর ওদেিণ ভাগ করে দু’টি সিটি করপোরেশনগঠন করে। পরের বছর ২৪ মে ভোটেরতারিখ রেখে কাজী রকিবের কমিশনএকবার তফসিলও ঘোষণা করে। কিন্তুসীমানা জটিলতা নিয়ে আদালতের আদেশেতা স্থগিত হয়ে যায়। আদালতেরনিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে চলতি বছরের ২৩ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার বিভাগ ঢাকায়ভোট করার বিষয়ে কমিশনকে অনুরোধজানায়। এর মধ্য দিয়ে আট বছরেরও বেশিসময় ধরে ঝুলে থাকা এ নির্বাচন আয়োজনেরপথ তৈরি হয়। তবে চট্টগ্রাম সিটিকরপোরেশনের মেয়াদ রয়েছে আগামী জুলাইপর্যন্ত। চট্টগ্রামে সর্বশেষ ভোট হয়২০১০ সালের ১৭ জুন। নির্ধারিত সময়েইসেখানে ভোটের আয়োজন হচ্ছে।প্রার্থীদের করণীয় : তফসিল অনুযায়ী,মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে প্রার্থীকেযেকোনো তফসিলি ব্যাংকে একটি নতুনহিসাব খুলতে হবে। যার নম্বর, ব্যাংক ওশাখার নাম মনোনয়নপত্রে উল্লেখ করতেহবে। নির্বাচনের সব ব্যয় এই হিসাবথেকে করতে হবে। নির্বাচনের পরনির্বাচনের ব্যয়ের যে রিটার্ন দাখিলকরতে হবে তার সাথে ওই ব্যাংক হিসাবেরস্টেটমেন্ট বা হিসাব বিবরণীও জমাদিতে হবে। আইনের বিধান অনুযায়ী,মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিলের সময়কোনো ধরনের মিছিল বা শোডাউন করাযাবে না। প্রার্থী বা তার প্রস্তাবক বাতার সমর্থক রিটার্নিং অফিসারের কাছেমনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারবে।মনোনয়নপত্রের সাথে হলফনামা দাখিলকরতে হবে।জামানত : মনোনয়নপত্রের সাথে প্রত্যেকমেয়র প্রার্থীকে বিধি অনুযায়ী জামানতহিসেবে অনধিক পাঁচ লাখ ভোটারসংবলিতনির্বাচনী এলাকার জন্য ২০ হাজার টাকা,পাঁচ লাখ এক থেকে ১০ লাখ ভোটারসংবলিতনির্বাচনী এলাকার জন্য ৩০ হাজার টাকা,১০ লাখ এক থেকে ২০ লাখ ভোটারসংবলিতনির্বাচনী এলাকার জন্য ৫০ হাজার টাকাএবং ২০ লাখ এক থেকে তদূর্ধ্বভোটারসংবলিত নির্বাচনী এলাকার জন্যএক লাখ টাকা জমাদানের প্রমাণস্বরূপট্রেজারি চালান বা পে-অর্ডার বা কোনোতফসিলি ব্যাংকের রসিদ জমা দিতে হবে।কাউন্সিলর নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রতিটিমনোনয়নপত্রের সাথে অনধিক ১৫ হাজারভোটারসংবলিত ওয়ার্ডের জন্য ১০ হাজারটাকা, ১৫ হাজার এক থেকে ৩০ হাজারভোটারসংবলিত ওয়ার্ডের জন্য ২০ হাজারটাকা, ৩০ হাজার এক থেকে ৫০ হাজারভোটারসংবলিত ওয়ার্ডের জন্য ৩০ হাজারটাকা এবং ৫০ হাজার এক থেকে তদূর্ধ্বভোটারসংবলিত ওয়ার্ডের জন্য ৫০ হাজারটাকা জমাদানের প্রমাণস্বরূপ ট্রেজারিচালান বা পে-অর্ডার বা কোনো তফসিলিব্যাংকের রসিদ জমা দিতে হবে।আর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলরনির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রতিটিমনোনয়নপত্রের সাথে ১০ হাজার টাকাজমাদানের প্রমাণস্বরূপ ট্রেজারি চালানবা পে-অর্ডার বা কোনো তফসিলিব্যাংকের রসিদ জমা দিতে হবে। তবেকোনো প্রার্থীর অনুকূলে একাধিকমনোনয়নপত্র দাখিল হলে একাধিকজামানতের প্রয়োজন হবে 

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত