আপডেট :

        ৫ মে বৈশ্বিক এই আসরের সূচি প্রকাশ করেছে আইসিসি

        বিলাসবহুল রেল স্টেশন পরিণত হয়েছে বিনোদনকেন্দ্রে, চলে গেছে টিকটকাদের দখলে

        ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন-স্টপ জেনোসাইড’ স্লোগানে ছাত্রলীগ

        ধান কাটার সময় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

        নামছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর

        অফিস শেষে নিমন্ত্রণ রক্ষায় করনীয়

        আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো সংঘাতে নেই

        একইসঙ্গে গাছ লাগানো এবং কাটার ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব নীতিমালা

        ইউরোপীয় ইউনিয়ন সফর করছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং

        সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও জেলা পরিষদের মতো ইউনিয়ন পরিষদেও প্রশাসক নিয়োগের বিধান

        সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও জেলা পরিষদের মতো ইউনিয়ন পরিষদেও প্রশাসক নিয়োগের বিধান

        কৃষি খাতে ভর্তুকি ৮ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে

        নেতা আমানকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিলেন আদালত

        ঝোড়ো বাতাসের সঙ্গে বজ্রসহ শিলাবৃষ্টি

        রাজধানীতে ঝড়ে দেয়াল ভেঙে নারীর মৃত্যু

        মাদারীপুরে গাড়ির ধাক্কায় অজ্ঞাতনামা এক পথচারীর মৃত্যু

        রাজধানীতে শুরু হয়েছে বজ্রসহ বৃষ্টি

        টাইটানিক সিনেমার অভিনেতা মারা গেছেন

        আবারো গাজায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল

        দুটি এম্বুলেন্সের একটি নষ্ট গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে

হল-খাবার দোকান বন্ধ তবুও থেমে নেই জাবির আন্দোলন

হল-খাবার দোকান বন্ধ তবুও থেমে নেই জাবির আন্দোলন


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা এবং ক্যাম্পাসে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হলেও থেমে নেই দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলন। মঙ্গলবার থেকে প্রশাসনের নির্দেশে একেএকে ছাত্রছাত্রীদের সকল হল খালি করা, ক্যাম্পাসের ছোটবড় সকল প্রকার খাবারের দোকান বন্ধ ঘোষণা, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা-এ সকল কৌশলী প্রদক্ষেপ নিয়েও আন্দোলন দমাতে পারেনি। আন্দোলনকারীরা বলছে যত ধরণের অসুবিধা, কৃত্রিম সংকট তৈরী করা হোক না কেন তারা ক্যাম্পাসে আন্দোলন চালিয়ে যাবে।

মঙ্গলবার জরুরি সিন্ডিকেট সভায় ক্যাম্পাস বন্ধ করার পর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তিনদিন অতিবাহিত হলেও আন্দোলনের মাঠে রয়েছে তারা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জাবির দুই প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে অবস্থান করে। তারপর সকাল দশটা থেকে দুপুর পর্যন্ত ক্যাম্পাসের আশেপাশে থাকা আন্দোলনকারী জমায়েত হতে থাকে। দুপুর একটার দিকে জাবির পুরাতন রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের টান্সপোর্ট চত্ত্বর, চৌরঙ্গী, প্রান্তিক গেইট প্রদক্ষিণ করে ভিসির বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করে।

এ সময় আন্দোলনকারীরা ভিসি অপসারণের দাবিতে ‘যে হাত ছাত্র মারে, সে হাত ভেঙে দাও’, যে ভিসি মামলা করে সে ভিসি চাই না, যে ভিসি দুর্নীতি করে সেই ভিসি চাইনা, স্লোগান দিতে থাকে। এছাড়াও হল ভ্যাকান্ডের বিষয়ে ‘আমাদের ক্যাম্পাসে আমরা থাকবো, দুর্নীতিবাজ থাকবেনা’স্লোগান দিতে দেখা যায়।

বিক্ষোভ মিছিলটি আবার রেজিস্ট্রারের সামনে এসে অবস্থান কর্মসূচিতে পরিণত হয়।এসময় আন্দোলনকারীরা ভিসি অপসারণ ও দুর্নীতির তদন্তের বিষয়ে সরকারের সদিচ্ছার অভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। ‘উপাচার্য অপসারণ মঞ্চে’বক্তৃতায় আন্দোলনকারী ইংরেজি বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন,‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছে ‘জাবি ভিসির দুর্নীতি প্রমাণিত না হলে অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় হবে’। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) আগে তদন্তের মাধ্যমে ভিসির দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে পারতেন। তারপর তদন্ত রিপোর্টের আলেকে অভিযোগকারীদেরকে ‘ধন্যবাদ প্রদান’ বা মিথ্যা হলে তার জন্য ‘ব্যবস্থা’ নিতে পারতেন। অথচ নিতে আগেই ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিয়ে দিলেন।যাতে করে আন্দোলন থেমে যায়। আর যদি অভিযোগের জন্য ব্যবস্থ নিতেই হয় তাহলে আগে ব্যবস্থা নিতে হয়ে আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। কারণ জাবি ছাত্রলীগের এক সহ-সভাপতি ও একজন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সরাসরি মিড়িয়া লাইভে অভিযোগ করেছে যে তারা ভিসি পক্ষ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা করে পেয়েছে এবং তারা কোন হল,কোন নেতা কত পেয়েছে তাও মিড়িয়ায় বলেছে।সুতরাং বিচার করতে হলে তাদের বিচার আগে করতে হবে। আরোও বলেন,‘আমরা যে অভিযোগ পেয়েছি,তা তদন্ত করার দায়িত্ব সরকারের। আমরা তো গোয়েন্দা সংস্থার লোক নই,আমরা কীভাবে দুর্নীতি প্রমাণ করব?

আন্দোলনকারী অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস বলেন,‘বুধবার শিক্ষা উপমন্ত্রী যে কথা বলেছেন, সে কথার সঙ্গে আমরা দ্বিমত পোষণ করছি। উনি আমাদের প্রমাণসহ লিখিত অভিযোগ করতে বলেছেন। আমরা তো বিষয়টি প্রমাণ করতে আসেনি, আমরা অভিযোগ তুলেছি। এখন তদন্ত করে এই অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের।’

প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা সম্পর্কে অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রুনু বলেন,‘অভিযোগের তদন্ত না করে প্রধানন্ত্রী ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা ঠিক হয়নি। তিনি দেশের প্রধান নির্বাহী হিসেবে দুর্নীতির বিষয়টি তদন্তের ভিত্তিতে সুরাহা করার ব্যবস্থা করতে পারতেন।অথচ তিনি অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বললেন। বিষয়টি আমাদের হতবাক ও মর্মাহত করেছে।’

আন্দোলনের বিষয়ে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নজির আমিন চৌধুরী জয় বলেন,‘প্রশাসন আমাদের খাদ্য,পানি,বাসস্থান বন্ধ করে যতই অমানবিক হোক না কেন! আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।ক্যাম্পাস টানা বন্ধ থাকলেও আমরা যদি ‘বিশ জন বা সত্তরজন থাকিনা কেন আমাদের আন্দোলন চলবে।’

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত