সমাবেশের জন্য আর অনুমতি নেবে না বিএনপি
সভা-সমাবেশ করতে প্রশাসনের কাছ থেকে আর অনুমতি নেবে বিএনপি। দলের কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে আয়োজিত এক সমাবেশে এই ঘোষণা দেন বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘আর অনুমতি নিয়ে সমাবেশ করা হবে না। যখন প্রয়োজন হবে তখনই সমাবেশ করব। এটা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার।’
এই সমাবেশটি শনিবার করতে চেয়েছিল রাজপথে সরকারের বিরোধী দলটি। পুলিশের অনুমতির অপেক্ষায় ঘোষিত সময়ের এক দিন পর আজ রবিবার বিকালে নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল ছাড়াও দলের শীর্ষ বেশ কয়েকজন নেতার বক্তব্যেও সমাবেশের জন্য অনুমতিত না নেওয়ার ইঙ্গিত ছিল। তাদের দাবি, সমাবেশ করা বিএনপির অধিকার। তাই অনুমতির জন্য অপেক্ষা না করে এখন থেকে কর্মসূচি পালন করা হবে।
জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চেরিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি-প্রধান বেগম খালেদা জিয়া গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে বন্দি। বর্তমানে অসুস্থতার কারণে তিনি কারা হেফাজতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন।
তার মুক্তির দাবিতে শনিবার পূর্বঘোষিত সমাবেশ করার কথা ছিল বিএনপির। কিন্তু ডিএমপির অনুমতি না পাওয়ায় রবিবার কর্মসূচি পালন করে দলটি। দুপুর ২টায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে ট্রাকের ওপর অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করে সমাবেশ শুরু হয়। শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয় বিকাল পাঁচটায়।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশারের সভাপতিত্বে সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রথম দিন অনুমতি দেয়নি। আজকে সকাল ১০টায় আমাদের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এভাবে আর নয়। আমাদের যখন প্রয়োজন তখন সমাবেশ করব এখন থেকে। সমাবেশ করা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। আমরা রাজপথে নামব।’
নিজেদের মানসিকভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার তাগিদ দিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘সরকারের কাছে বা প্রশাসনের কাছে আর অনুমতি নয়, অধিকার আদায়ের জন্য সমাবেশ করব।’
সমাবেশে বিপুল নেতাকর্মীর উপস্থিতির কথা তুলে ধরে গয়েশ্বর বলেন, ‘আজকে অল্প সময়ের ব্যবধানে হাজার হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীর অভাব নেই। তাই সঠিকভাবে নেতৃত্ব দিতে পারলে শেখ হাসিনার পতনে বেশি সময় লাগবে না।’
এর আগেও একাধিকবার বিএনপির শীর্ষ নেতাদের কেউ কেউ অনুমতির জন্য অপেক্ষা না করে সমাবেশ করা হবে বলে বক্তব্য দিয়েছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই কর্মসূচি পালন করছে দলটি।
শেয়ার করুন