স্ত্রীর কথা শুনলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়!
হৃদয়ের অসুখে ভুগতে না চাইলে, স্ত্রীর কথা
শুনুন। স্ত্রীর কথা শুনলে হার্ট অ্যাটাক ও
স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।সুতরাং ভালো থাকতে হলে
স্ত্রীর কথা শুনুন, তার সঙ্গে সময় কাটান। নিজের
হৃদয় ও হৃৎযন্ত্রকে সুস্থ রাখার মোক্ষম দাওয়াই-
জীবনসঙ্গীর সঙ্গে কথা বলা।
গবেষকেদের পরামর্শ হচ্ছে, সময় বের করে নিয়ে
স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলুন। অফিস থেকে ফিরে ক্লান্ত
হয়ে পড়লেও কিংবা অবসন্ন হয়ে বিছানায় যেতে
মন ছটফট করলেও স্ত্রীর সঙ্গে সময় কাটান,
ইতিবাচক আলোচনা করুন। স্ত্রীর সঙ্গে কথাবার্তা
আপনার হৃৎযন্ত্রের সুস্থতা নিশ্চিত করবে।
সম্প্রতি মার্কিন গবেষকদের এক গবেষণায় দেখা
গেছে, সঙ্গীর সঙ্গে সুন্দর সম্পর্ক হার্ট অ্যাটাক
ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। মস্তিষ্কের
রক্তসরবরাহকারী ঘাড়ের ধমনী দুটি পুরু হয়ে
যাওয়ার পেছনে সঙ্গীর সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদের
সম্পর্ক রয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ভিএ গ্রেটার লস
অ্যাঞ্জেলেস হেলথকেয়ার সিস্টেমের গবেষক
নাটারিয়া জোসেফ বলেন, “সঙ্গীর সাথে বেশি
নেতিবাচক কথাবার্তার সঙ্গে পুরু ক্যারোটিড
আর্টারির সম্পর্ক দেখা যায়। ক্যারোটিড
অ্যার্টারি হচ্ছে রক্তনালি যা ঘাড় থেকে
মস্তিষ্কে রক্ত পৌঁছে দেয়। পুরু ক্যারোটিডের সঙ্গে
হৃৎযন্ত্রের নানা সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার
বিষয়টিতে সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়।
পুরু হয়ে যাওয়া ধমনী হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, যে জুটির মধ্যে ঝগড়া ও
মনোমালিন্য বেশি হয় তাদের ভবিষ্যতে স্ট্রোক ও
হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা অন্যদের তুলনায় প্রায়
সাড়ে আট শতাংশ বেশি।
ক্যালিফোর্নিয়ায়, ভিএ গ্রেটার লস অ্যাঞ্জেলেস
হেল্থকেয়ার সিস্টেমের নাটারিয়া জোসেফ
এভাবেই তার গবেষণার ফলাফল তুলে ধরেন।
গবেষকেরা এই গবেষণার জন্য ২৮১ জন মধ্যবয়সী
দম্পতির তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন। গবেষকেরা
দাবি করেছেন, আবেগ, শারীরিক সম্পর্ক প্রভৃতি
বিষয়গুলোর সঙ্গে অন্তরঙ্গভাবে জড়িত থাকে
ইতিবাচক কথাবার্তা । এ বিষয়গুলো স্বাস্থ্যের
ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে।
গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে লাইভ সায়েন্স
সাময়িকীতে। গবেষক জোসেফ দাবি অবশ্য বলেছেন,
পুরু ক্যারোটিড অ্যার্টেরিসের সঙ্গে ইতিবাচক
সম্পর্কের যোগসূত্র থাকতে পারে। অবশ্য এটি
কার্যকারণ জাতীয় কোনো সম্পর্ক নয়।
শেয়ার করুন