অপহরনের পর শিকল দিয়ে বেধে ধর্ষন
মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন
নাটোরের নলডাঙ্গা
উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে মোবাইলে প্রেমেরসম্পর্ক গড়ে তোলার পর বিয়ের প্রলোভনদেখিয়ে অপহরন করে ৭ দিন ধরে যুবতীকেপায়ে শিকল দিয়ে বেধে আটকে রেখেমধ্যযুগীয় কায়দায় ধর্ষন ও নির্যাতনের খবরপাওয়া গেছে। এঘটনায় শনিবার রাতেনাটোরের নলডাঙ্গা থানা পুলিশ কাউছার(৩০) নামে এক যুবককে আটক করেছে। আটককৃতব্যাক্তি দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানারদেবীপুর গ্রামের জাবেদ আলীর ছেলে।নলডাঙ্গা থানার ওসি তদন্ত ওয়াজেদ আলীখান ও পারিবারিক সূত্র জানায়, ময়মনসিংহজেলার কোতয়ালী থানার চরবড়বিলাগ্রামের এক রিক্সাচালকের যুবতী কন্যারসাথে দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানারদেবীপুর গ্রামের জাবেদ আলীর ছেলেকাউছারের (৩০) মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়।এক পর্যায়ে দুজনার মধ্যে প্রেমের সম্পর্কগড়ে উঠে ।গত ১৮ এপ্রিল শনিবার কাউছার আলী বিয়েরপ্রলোভন দেখিয়ে ওই যুবতীকে তার বাড়িথেকে ফুসলিয়ে নাটোরের নলডাঙ্গাউপজেলার গৌরীপুর গ্রামের ফজলুল রহমানেরবাড়িতে নিয়ে আসে। সেখানে যুবতীর পায়েশিকল দিয়ে বেধে রেখে মধ্যযুগীয় কায়দায়তাকে ধর্ষন ও শারিরীক নির্যাতন করা হয়।এক পর্যায়ে ওই ক্ষতি গ্রস্থ পরিবারেরকাছে মোবাইলের মাধ্যমে ১ লাখ টাকামুক্তিপন দাবী করে কাউছার।ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের এক নারী সদস্যজানান, মোবাইল ফোনে মুক্তিপনের ১ লাখটাকা বিকাশের মাধ্যমে না পাঠালে তারবোন কে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেওয়াহয়। বিষয়টি নলডাঙ্গা থানা পুলিশকে অবগতকরা হলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশিঅভিযান চালিয়ে নলডাঙ্গা উপজেলারগৌরীপুর গ্রামের ফজলুল রহমানের বাড়িথেকে কাওসার কে আটক করে। উদ্ধার করাহয় ওই যুবতিকেও। পরে তার জবান বন্দিরেকট করার জন্য রোববার সকালে নাটোরআদালতে প্রেরন করা হয়। সেখান থেকেডাক্তারী পরিক্ষার জন্য তাকে মেডিকেলেপাঠানো হয়। এঘটনায় যুবতী বাদী হয়েনলডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতনআইনে মামলা দায়ের করেছে।
শেয়ার করুন