আজ ভোট আজ অগ্নিপরীক্ষা
আজ মঙ্গলবার ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটিতে ভোট। আজ উৎসবের আবহের সঙ্গে
জড়িয়ে রয়েছে কিছুটা উৎকণ্ঠা। স্থানীয় নির্বাচন হলেও আজকের নির্বাচন ঘিরে জাতীয় নির্বাচনের পূর্ণ
আমেজ ও উত্তেজনা রয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির জন্য আজকের ভোট শুধু
মর্যাদার লড়াই নয়, অগি্নপরীক্ষাও। জয়ের জন্য উভয় পক্ষই সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে। মোটামুটি
শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শেষ হয়েছে নির্বাচনী প্রচার_ বড় ধরনের কোনো অঘটন ঘটেনি।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি পর্বতপ্রমাণ ভুল করেছে, তীক্ষষ্ট-তীব্র
সমালোচনায় বিদ্ধ এই অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দলটি সিটি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বড় ধরনের
চ্যালেঞ্জ হিসেবে। গত তিন মাসে আন্দোলনের নামে শতাধিক মানুষকে পেট্রোল বোমায় হত্যা, দেশকে
চরম অস্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যাওয়ায় দলটি জনমনে ভয়ঙ্কর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। এ
কারণে ভোটাররা বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করবে বলে সরকারি দল মনে করে। অন্যদিকে বিএনপি
বিশ্বাস করে, ভোটের প্রচারের শেষদিকে তাদের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা,
তাদের নেতাকর্মীদের হত্যা-গুম এবং প্রার্থী ও এজেন্টদের ব্যাপক হয়রানির কারণে বিএনপির দিকেই
ভোটাররা ঝুঁকেছেন।
তবে পর্যবেক্ষক মহল মনে করে, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে আজ ভোট হলে তিন সিটিতেই দুই দলের
মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। এদিকে, নির্বাচন কমিশন ভোট গ্রহণের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন
করেছে। আজ সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট নেওয়া হবে। তিন সিটি
করপোরেশন এলাকায় ৪৮ মেয়র প্রার্থী, ৮৮৪ কাউন্সিলর প্রার্থী ও ২৪৮ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর
পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্য থেকে পছন্দের মেয়র ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচন করবেন
৬০ লাখ ২৯ হাজার ৫৭৬ জন ভোটার।
ইতিমধ্যে তিনটি সিটি করপোরেশন এলাকার দুই হাজার ৭০১টি ভোটকেন্দ্রে ব্যালট পেপার ও
নির্বাচনী উপকরণ পাঠানো হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নজিরবিহীন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে।
আজ ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরী এলাকায় সাধারণ ছুটি। এ ছাড়া রাত ১২টা পর্যন্ত মোবাইল
ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে ক্যাশ-ইন, ক্যাশ-আউট এবং এজেন্ট ও মার্চেন্ট পেমেন্ট পর্যায়ে এক অ্যাকাউন্টে
এক হাজার টাকার বেশি লেনদেন না করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
নির্বাচনী কাজে দায়িত্ব পালনরত কর্মকর্তারা নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হলে তাদের জন্য কঠোর
শাস্তি প্রদান করা হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ। তিনি বলেছেন,
র্যাব-পুলিশ-বিজিবি নির্বাচনের নিরাপত্তায় ব্যর্থ হলে সেনাবাহিনী মাঠে নামবে।
কাগজে-কলমে অরাজনৈতিক হলেও বাস্তবে সিটি নির্বাচনের শুরু থেকে প্রচারের শেষ দিন পর্যন্ত
চলেছে পুরোদস্তুর রাজনৈতিক লড়াই। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরাই তিনটি সিটি
নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী। এমনকি ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদেও দুই দলের সমর্থিত প্রার্থী ও বিদ্রোহী
প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা
রওশন এরশাদ নির্বাচনী প্রচারে অংশ না নিলেও আচরণবিধির বাধ্যবাধকতার বাইরে থাকায়
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জাতীয় নির্বাচনের মতোই ঢাকায় দলসমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে প্রচার
চালিয়েছেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, এ নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই থেকে
প্রচার- সবকিছুতেই জাতীয় নির্বাচনের ছাপ ছিল। কারণ, এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে কয়েক মাস ধরে
চলা আতঙ্ক, সন্ত্রাস আর অস্থিরতার অবসান হয়েছে। ফলে এ নির্বাচন জাতীয় রাজনীতির ভবিষ্যৎ
নির্ধারণেও গুরুত্ব পাবে।
জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের (জানিপপ) প্রধান ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ সমকালকে
বলেন, ঢাকা দেশের রাজধানী এবং চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী বলা হয়। এ কারণে এ দুটি সিটি
করপোরেশন নির্বাচন জাতীয় মর্যাদা পেয়ে যায়। এবারের নির্বাচনের জাতীয় গুরুত্ব আরও বেশি।
কারণ, এ নির্বাচনের মধ্য দিয়েই ২০ দলীয় জোটের হরতাল-অবরোধ-নাশকতার আপাতত অবসান
হয়েছে। ফলে নির্বাচনের ফল জাতীয় রাজনীতির নতুন প্রতিকৃতিও নির্ধারণ করবে, এটা স্পষ্টই বলা
যায়।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির হিসাব-নিকাশ: তিন মাস ধরে চলা বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয়
জোটের সন্ত্রাসনির্ভর রাজনীতিকেই দলসমর্থিত প্রার্থীদের জন্য ইতিবাচক হিসেবে দেখছে আওয়ামী
লীগ। কারণ, পেট্রোল বোমা-সন্ত্রাসে অসংখ্য মানুষের পুড়ে হতাহতের ভয়াবহতা বিএনপির রাজনীতি
সম্পর্কে জনমনেও ব্যাপক নেতিবাচক মনোভাবের সৃষ্টি করেছে। বিএনপি চেয়ারপারসন বিএনপির
বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগ বারবার অস্বীকার করলেও বাস্তবে নাশকতার সঙ্গে জড়িতদের হাতেনাতে
ধরার পর বিএনপি-জামায়াত কর্মীদের সম্পৃক্ততারই প্রমাণ মিলেছে।
মূলত তিন সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণার পরই বিএনপি দ্রুত নাশকতার রাজনীতি থেকে সরে
আসে। এখনও বার্ন ইউনিটে অসংখ্য মানুষ যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। এ অবস্থায় বিএনপির বিরুদ্ধে
মানুষের ক্ষোভই হবে তিন সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের বড় পুঁজি। এ ছাড়া প্রতিটি
সিটি নির্বাচনেই রয়েছে আওয়ামী লীগের শক্ত ভোটব্যাংক। এই ভোটব্যাংক কোনো অবস্থাতেই দলের
বিরুদ্ধে ভোট দেয় না। এটাও আওয়ামী লীগের জন্য বড় শক্তি।
অন্যদিকে, ধারাবাহিকভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সরকারের মামলা, সর্বশেষ বিএনপি
নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় সরকারের বিরুদ্ধে গুম-খুনসহ মানবাধিকার
লঙ্ঘনের অভিযোগও উঠেছে নানা পর্যায় থেকে। বিএনপি এই অভিযোগকেই পুঁজি করে ভোটের মাঠে
সাধারণ ভোটারদের সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করছে। বিশেষ করে নির্বাচনী প্রচার চলাকালে খালেদা
জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় বিএনপির প্রতি সাধারণ মানুষের সহানুভূতি বেড়েছে বলেই
বিএনপির নীতিনির্ধারকদের ধারণা। এ কারণে তারা দলনিরপেক্ষ ভোটারদের বড় অংশের ভোট
পাওয়ার প্রত্যাশা করছে। এ ছাড়া ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে সাধারণভাবে মানুষের কিছু ক্ষোভ,
অভিযোগ সব সময়ই থাকে। এ কারণে বিএনপি বেশি ভোট টানবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম সমকালকে বলেন, তিন মাস ধরে
বিএনপি যে জ্বালাও-পোড়াও ও মানুষ হত্যার রাজনীতি করেছে, তার জবাব ভোটাররা তিন সিটির
নির্বাচনে দেবেন। পরাজয় নিশ্চিত জেনেই বিএনপি নানা ধরনের আশঙ্কা, অভিযোগ করছে। এর
আগেও আটটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন বর্তমান সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠুভাবে
সম্পন্ন হয়েছে। সে সময়ও বিএনপির অভিযোগ অসার প্রমাণিত হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সমকালকে বলেন, তিন সিটি নির্বাচন
সরকার ও নির্বাচন কমিশনের জন্য অগি্নপরীক্ষা। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া
অব্যাহত থাকবে, নাকি কারচুপিতে গণতন্ত্র নস্যাৎ হবে- এ নির্বাচনে সেটাই প্রমাণ হবে।
চট্টগ্রামেও পাল্টাপাল্টি অভিযোগ: চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে পরিবেশ ক্ষুণ্ন হওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ
ও বিএনপি একে অন্যকে দুষছে। বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মনজুর আলম সমকালকে বলেন,
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সরকারি দলসমর্থিত প্রার্থীর পক্ষ নিয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, তার প্রধান
নির্বাচনী সমন্বয়ক ও এজেন্টদের গ্রেফতারের হুমকি দিচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। অন্যদিকে,
সরকারি দলের ক্যাডাররা তার নির্বাচনী প্রচারে হামলা চালিয়েছে। সরকারি দলের প্রার্থী ফেনী ও
রাউজান থেকে সন্ত্রাসী নিয়ে এসেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, বিএনপি ও তাদের প্রার্থী
মনজুর আলম মিথ্যা নাটক সাজিয়ে ফায়দা লুটতে চাইছেন। মনজুর সাহেব পরাজয়ের ভয়ে পাগলের
প্রলাপ বকছেন। নিজেরাই মারামারি করে আমাদের দায়ী করছেন। এসব করে ব্যর্থতা ঢাকা যাবে না।
ভোটের মাধ্যমেই প্রমাণ হয়ে যাবে, এখন নগরবাসী তাকে চায় না।
পরিসংখ্যান: তিন সিটি নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা ৬০ লাখ ২৯ হাজার ৫৭৬ জন। এর মধ্যে
ঢাকা উত্তরের ভোটার ২৩ লাখ ৪৫ হাজার ৩৭৪ জন, ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা এক হাজার ৯৩টি। ঢাকা
দক্ষিণে ভোটার সংখ্যা ১৮ লাখ ৭০ হাজার ৭৫৩ জন, ভোটকেন্দ্র ৮৮৯টি এবং চট্টগ্রাম সিটি
নির্বাচন এলাকার ভোটার সংখ্যা ১৮ লাখ ১৩ হাজার ৪৪৯ জন, ভোটকেন্দ্র ৭১৯টি।
৩৬ ওয়ার্ডের ঢাকা উত্তরে মেয়র প্রার্থী ১৬ জন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী ২৮১ জন, সংরক্ষিত
কাউন্সিলর প্রার্থী ৮৯ জন। ৫৬ ওয়ার্ডের ঢাকা দক্ষিণে মেয়র প্রার্থী ২০ জন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী
২১৩ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী ৯৭ জন। চট্টগ্রামে মোট ওয়ার্ড সংখ্যা ৪১টি। এখানে মোট
মেয়র প্রার্থী ১২ জন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী ২১৩ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী ৬২ জন।
নজিরবিহীন নিরাপত্তা: নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় তিন সিটিতে প্রায় ৮২
হাজার নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েন থাকবে। রাজধানী ঢাকায় উত্তর সিটিতে ১০৯৩ ও দক্ষিণ সিটিতে
৮৮৯_ মোট ১ হাজার ৯৮২টি কেন্দ্রের মধ্যে ১ হাজার ৪২৯ কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা
হয়েছে। একইভাবে চট্টগ্রামের মোট ৭১৯টির মধ্যে ৫৯৫টি ভোটকেন্দ্রকে ঝূঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত
করা হয়েছে।
প্রতি সিটিতে এক ব্যাটালিয়ান (৭৪১ জন) সেনাসদস্য ২৬ থেকে ২৯ এপ্রিল নির্বাচনী দায়িত্ব পালন
করবেন। সেনানিবাসের অভ্যন্তরে তারা রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে অবস্থান করবেন। রিটার্নিং অফিসারের
অনুরোধে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে তারা ঘটনাস্থলে আসবেন। সেনাসদস্যরা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের
সহায়তায় বেসামরিক প্রশাসনকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা করবেন। সেনাসদস্যদের সঙ্গে ১৬
জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রতিটি সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ২২ ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২৪ জন পুলিশ ও আনসার দায়িত্ব পালন
করবেন। এ ছাড়া স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে তিন সিটিতে (১০৫ প্লাটুন) ৩ হাজার ৪০০ জন বিজিবি,
২৩৮ জন (৭ প্লাটুন) কোস্টগার্ড, র্যাবের ২৬৮টি টিম অর্থাৎ ২ হাজার ১৪৪ জন (৮ জনের টিম),
পুলিশ ১০৫৬ জন মোতায়েন থাকছে। এ ছাড়া তিনি সিটিতে ৮টি করে মোট ২৪ প্লাটুন বিজিবি
সদস্যকে রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে রাখা হয়েছে।এ ছাড়া তিন সিটিতে ৮৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের
নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করবেন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে ৩৪১ জন
ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্বে থাকবেন। একই সঙ্গে উত্তর সিটিতে নয়জন, দক্ষিণ সিটিতে ১৪ জন এবং
চট্টগ্রামে ১০ জন- মোট ৩৩ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।
পর্যবেক্ষক: নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ঢাকা উত্তরে ১৫টি সংস্থার ১ হাজার ৩৩০ জন, ঢাকা
দক্ষিণে ১৭টি সংস্থার ১ হাজার ৪৪৫ জন এবং চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে ৭টি সংস্থার ৮৯৬ জনকে
নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রায় ৫ হাজার
সাংবাদিককে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ও দায়িত্ব পালনের জন্য কার্ড ইস্যু করা হয়েছে।
শেয়ার করুন