ভোট জালিয়াতিতে খোদ প্রিজাইডিং অফিসার
ওহে নির্বাচন কমিশন, তাড়াতাড়ি দায় সারা জবাব তৈরি করুন
কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের দায়িত্বে
থাকা সর্বোচ্চ কর্মকর্তা হয়েওঢাকা দক্ষিণের একটি কেন্দ্রেরপ্রিজাইডিং অফিসারকেক্ষমতাসীন দল সমর্থিত মেয়রপ্রার্থীর প্রতীকে সিল মারতেদেখেছেন বিডিনিউজটোয়েন্টিফোর ডটকমেরপ্রতিবেদক।পুরান ঢাকার নারিন্দা সরকারিপ্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রেমঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টারদিকে প্রিজাইডিং অফিসারওবায়দুল ইসলামকে ব্যালট পেপারেসিল মারতে দেখেন প্রতিবেদকসাজিদুল হক ও সালাহ উদ্দীনওয়াহিদ প্রীতম।তারা জানান, ঢাকা দক্ষিণের ৪১নম্বর ওয়ার্ডের ৬৪২ নম্বর ওইভোটকেন্দ্রের সামনে থেকে সকালেভোটারদের ফিরিয়ে দিতে দেখাযায় পুলিশ ও আনসার সদস্যদের।ভোটাররা কেন্দ্রে ঢুকতে গেলেদায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্য তাদেরবলেন, “ভেতরে সকলে নাস্তাকরছে। এখন না পরে আসেন।”এ সময় কোনো প্রতিবাদ না করেইভোটারদের ফিরে যেতে দেখাযায়। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরডটকমের দুই প্রতিবেদক সাংবাদিকপরিচয়ে ভেতরে ঢুকতে চাইলেতাদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়।তবে ভেতরে গিয়ে তারা কাউকেনাস্তা খেতে দেখেননি। ওইভোটকেন্দ্রের দোতলায় দুটিভোটকক্ষের মধ্যে একটি বন্ধ ছিল।এক নম্বর বুথে যেতে চাইলে তাদেরবাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করেনকার্ডবিহীন দুই ব্যক্তি।সাজিদুল হক বলেন, “তাদের ফাঁকদিয়ে উঁকি দিয়ে দেখা যায়,প্রিজাইডিং অফিসার ওবায়দুলইসলাম, পোলিং অফিসার ইলিশ মাছপ্রতীকের পোলিং এজেন্ট এবং দুজনকার্ডহীন ব্যক্তি ব্যালট পেপারেসিল মারছেন। তারা সবাইইলিশের সিল দিচ্ছিলেন।”এ সময় অন্য কোনো প্রার্থীর পোলিংএজেন্টকে সেখানে দেখা যায়নি।সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়েসবাই এরপর যার যার আসনে বসেপড়েন। প্রিজাইডিং অফিসার বুথথেকে বেরিয়ে নিচে নেমে যান।এ সময় কার্ডবিহীন ব্যক্তিদেরকাছে পরিচয় জানতে চাইলে তারাবলেন, তাদের ‘কোনো পরিচয় নাই’।প্রিজাইডিং অফিসারের সঙ্গে কথাবলতে চাইলে ‘নির্বাচন কমিশনথেকে লোক আসার’ অজুহাত দেখিয়েতিনি নিজের কক্ষে ঢুকে পড়েন।প্রায় পাঁচ মিনিট পর তিনিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমেরপ্রতিবেদককে নিজের কক্ষে ডেকেপাঠান।ওবায়দুল ইসলাম বলেন, “ওই বুথেআমি একজন মেয়র প্রার্থীর এজেন্টপেয়েছি। আর কাউকে পাই নাই।”ওই কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময়ওভিতরে ‘নাস্তা হচ্ছে’ বলেভোটারদের ঢুকতে পুলিশকে বাধাদিতে দেখা যায় বলে দুইপ্রতিবেদক জানান।
শেয়ার করুন