লজ্জা থাকলে পদত্যাগ করুন
ছবিঃ এলএ বাংলা টাইমস
বলছি, বাংলাদেশের জনপ্রতিনিধিদেরকে। হ্যাঁ বলছি যদি লজ্জা থাকে তাইলে আপনারা পদত্যাগ করুন। সংবিধানে তিন স্তরবিশিষ্ট স্থানীয় সরকার কাঠামোর কথা বলা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ আর জেলা পরিষদ।
গ্রাম আর শহর অঞ্চল ভেদে কার্যক্রম পরিচালনা করার ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক কিছু ভিন্নতা রয়েছে। যেমন- শহরে ইউনিয়ন পরিষদের স্থলে পৌরসভা, এই রকম কিছু পার্থক্য রয়েছে।
এসবের বাইরে জাতীয় পরিসরের জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে রয়েছে জাতীয় সংসদ ও মন্ত্রী পরিষদ। সবখানে জনপ্রতিনিধিদের ছড়াছড়ি। আর ছড়াছড়ি দেখছি অনিয়ম আর লুটপাটের। রাষ্ট্রের প্রতি, জনগনের প্রতি বিন্দুমাত্র দায়বদ্ধতা নেই আপনাদের। নেই কোন রকম জবাবদিহিতা।
কি নেই এই দেশে। বয়সের হিসেবে এই দেশ আজ মধ্য বয়স্ক। পর্যাপ্ত অবকাঠামো আছে, জনবল আছে, আপনারা বলেন অর্থেরও কোন অভাব নেই। চারিদিকে শুধু উন্নয়নের ছড়াছড়ি দেখিয়েছেন। আমরা বিশ্বাসও করেছি।
ক্ষমতার জন্য, দেশ শাসনের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য আপনাদের এতো আগ্রহ যে মানুষকে ভোট দেওয়ার অধিকার থেকেও বঞ্চিত করেছেন। সমস্যা নেই মানুষও আর ভোটকেন্দ্রে যায় না। কিন্তু তাও আপনারা কি করছেন এসব। শুধু কথার তুবড়ি ছুটিয়ে সব কিছুকে ঠিক আর স্বাবাভিক রাখতে চাইছেন।
সুশাসন আর জবাবদিহিতার অভাবে পুরো রাষ্ট্রব্যবস্থা আজ ভেঙ্গে পড়েছে। সবাই যেন কার কি কাজ, কি দায়িত্ব এটাই ভুলে গেছে। এক প্রধানমন্ত্রীকে সকল নির্দেশনা দিতে হয়। এমন হবে কেন?
যারা এতোদিন ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, আর মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি বলে মুখে ফেনা তুলেছেন আপনাদের বলছি। হ্যাঁ, আমরা মেনে নিয়েছি আপনারা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি। আপনাদের সাহস আর বীরত্বের কাছে আমরা ’৭১ সালের যুদ্ধে বিজয় ছিনিয়ে এনেছি। এই আপনাদের বলছি, পুরো বিশ্ব আজ করোনা প্রাদুর্ভাবকে যুদ্ধ হিসেবে ঘোষণা করেছে। তাই এই যুদ্ধে অন্তত বাংলাদেশকে জিতিয়ে দিন। আপনাদের বিশ্বাস করতে পারি না। কিন্তু আমরা আশাবাদী আপনারা পারবেন। কারণ আপনাদের সকল ভালো কাজের পিছনে ছায়া হয়ে, শক্তি হয়ে আমরা আছি, থাকব।
আর যদি না পারেন। ভিতরে বিন্দুমাত্র লজ্জাবোধ থাকলে, যেটুকু লজ্জা না থাকলে আমরা নিজেদের মানুষ দাবি করতে পারিনা। ততটুকু লজ্জা যদি থাকে রে ভাই পদত্যাগ করুন। আর অতীতের মিথ্যাচার ও দায়িত্বহীনতার জন্য জাতির কাছে, আপনার এলাকার লোকজনের কাছে মাফ চান।
কারণ কোন দিন সাধারণ মানুষের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে যাবে বলতে পারবেন না। বাংলাদেশের ইতিহাসে, বাঙালির ইতিহাসে এমন নজির অনেক আছে। আর তখন পালানোর বা অজুহাত দেখানোর পথ কেউ পায়নি।
/এলএ বাংলা টাইমস/
শেয়ার করুন