গর্ভবতী শ্রমিকের অধিকার: কতটা বাস্তবায়ন হয় আইনের?
বাংলাদেশে এই মূহুর্তে সরকারীভাবে যেকোনো কর্মজীবী নারী ছয় মাসের মাতৃত্ব-কালীন ছুটি পান।
কিন্তু সব বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে এই বিধান কার্যকর হয়নি, অর্থাৎ সব কর্মজীবী নারী এই সুবিধা পাচ্ছেন না।
শ্রমিক অধিকার কর্মীরা বলছেন, সন্তান-সম্ভবা অবস্থায় একজন শ্রমিকের নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে যেসব সুযোগ সুবিধা পাবার কথা, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা তারা পান না।
বাংলাদেশে নারী অধিকার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন রোকেয়া কবীর, তিনি বলছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নারী শ্রমিকেরা মাতৃত্ব-কালীন ছুটি ও সেবা পায় না।
পোশাক এবং শিল্প কারখানাগুলোতে নারী শ্রমিকেরা মাতৃত্ব-কালীন ছুটি পায় মাত্র তিনমাস।
এছাড়া, সন্তান সম্ভবা অবস্থায় পর্যাপ্ত বিশ্রাম, কাজের চাপ কমিয়ে আনা এসব সুবিধা তারা পান না।
মিজ কবীর অভিযোগ করছেন, সন্তান সম্ভবা শ্রমিক পুরো সময় কাজ করতে পারবে না---এই আশংকায় অনেক সময় তাদের চাকরীচ্যুত করার ঘটনাও ঘটে কারখানাগুলোতে।
সেক্ষেত্রে সরকারী নির্দেশনা বা প্রচলিত আইনের বাস্তবায়ন হয় না।
অনেক সময় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ঠিকমত বিষয়গুলো তদারক করে না।
এক্ষেত্রে শিল্প কারখানার কর্ম-পরিবেশ তদারকে সরকারী পরিদর্শকের স্বল্পতাকেও একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাটতি বলে মনে করেন মিজ কবীর।
বাংলাদেশের একটি জুতা তৈরির কারখানার এক কর্মী ছুটি না পেয়ে টয়লেটের ভেতর সন্তান প্রসব করার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কারখানার তিন কর্মকর্তাকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী ২৪শে মে তাঁদের সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শেয়ার করুন