নারীর অবদান অর্থনৈতিক হিসেবে ধরতে হবে: স্পিকার শিরীন
গত বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২৬তম কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি সেমিনারে ‘পার্লামেন্ট, জেন্ডার অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি বলেন, “কৃষিতে নারীরা বিশাল অবদান রাখছে। কিন্তু তাদের অবদান কোন অর্থনৈতিক হিসেবে ধরা হচ্ছে না। নারী শ্রমকে সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতিমালার সকল হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। নারী শ্রমের মর্যাদা ও নারীর শ্রমের মূল্যকে অর্থনৈতিক অর্জন হিসাবে ধরতে হবে।”
নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নকে এগিয়ে নিতে সংসদ ও সংসদ সদস্যদেরকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান স্পিকার।
সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) চেয়ারপার্সন শিরীন আরও বলেন, “সংসদ অন্তর্ভুক্তিমূলক- এক্ষেত্রে জেন্ডার একটি কেন্দ্রীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পৃথিবীর অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী। নারীকে বাদ রেখে কোন সমাজের, কোন দেশের উন্নয়নকে নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।”
দারিদ্র্য বিমোচনসহ সমাজের সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য নারী উন্নয়ন অপরিহার্য বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের বাধা দূর করার আহ্বান জানিয়ে শিরীন শারমিন বলেন, “নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে রাজনৈতিক দলগুলির দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে হবে। নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে সমগ্র বিশ্বে যে সকল সাংগাঠনিক বাধা রয়েছে সেগুলি দূর করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সিঙ্গাপুরের পার্লামেন্টারিয়ান লিন বিয়ো চুয়ান, স্কটল্যান্ডের এমপি মার্গারেট ম্যাককুলচ।
সোমবার রাজধানীতে শুরু হওয়া এই সেমিনার চলবে আগামী ২১ মে পর্যন্ত।
সেমিনারের মূল প্রতিপাদ্য ‘সংসদীয় গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ’।
কমনওয়েলথভুক্ত নয়টি অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের ২৮টি শাখার প্রায় ৫০ জন পার্লামেন্টারিয়ান ও প্রতিনিধি এ সেমিনারে যোগ দিয়েছেন।
শেয়ার করুন