প্রেমের টানে গোলাঘাটে হাজির জার্মান তরুনী
প্রেমের টানে সুদূর জার্মানি থেকে গোলাঘাটে হাজির হলেন এক তরুণী। বিদেশিনী পাত্রী দেখে হতভম্ব দরিদ্র প্রেমিকের পরিবার! পাত্র-পাত্রী বিয়েতে রাজি হলেও গাঁওবুড়ারা এ নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
উত্তর-পূর্ব ভারতের আসাম রাজ্যের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত গোলাঘাট জেলার বরপথার গ্রামের বাসিন্দা অবনী কোচ চা বাগানের চৌকিদার। অবসর সময়ে তার একটাই নেশা— ফেসবুক। ইংরেজির জ্ঞান সীমিত হলেও, সেই সূত্রে অবনী কয়েক জন বিদেশিনীর সঙ্গে আলাপ জমান। অবনীর সারল্য, চা বাগানের ছবি, ভাঙা ইংরেজির প্রেমে পড়েন বার্লিনের তরুণী সেলিকোস। এক দিন অবনী তাকে বিয়ের প্রস্তাবই দিয়ে বসেন। তিনি বুঝতে পারেননি, তার প্রেমের টানে জার্মানি থেকে গোলাঘাটে চলে আসবেন প্রেমিকা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ৪ দিন আগে সেলিকোসের ফোন পান অবনী। তরুণী জানান, তিনি ভারতে এসেছেন। অবনী যেন ১৭ মে যোরহাট বিমানবন্দরে তাকে নিতে যান। বাড়িতে সব কিছু জানান অবনী। যোরহাট বিমানবন্দরে প্রথম সামনাসামনি দেখা হয় দু’জনের!
বুধবার সেলিকোস সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘বাড়িতে ঝামেলা করেই এ দেশে এসেছি। সকলে ভেবেছিলেন, আমি ভারতের কোনও দালালের খপ্পরে পড়েছি। পরিবারের সঙ্গে সব সম্পর্ক শেষ করে তবেই আসতে হয়েছে। ভয় ছিল কিছুটা। বিমানবন্দরে অবনীকে দেখে, ওর গ্রামে এসে আমি নিশ্চিন্ত।’’ কিন্তু পাত্রী মেখলা পরে ঘরে এলেও, অবনীর পরিজনদের চিন্তা কাটছে না।
একে তো দু’দেশের সংস্কৃতি, ভাষা, পরিবেশের নেই, অবনীদের সামর্থ্যও তেমন নয়। তার উপর, ‘ফেসবুক’-এর প্রেম কতটা খাঁটি তা নিয়েও অনেকের সন্দেহ রয়েছে। তাই গ্রামের মোড়লরা ঠিক করেন, বিভিন্ন লোকের সঙ্গে আলোচনা করে তবেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে ‘মিঞাঁ-বিবি’ যখন রাজি, তখন ‘কাজিরা’ কতই বা বাধা দিতে পারেন!
শেয়ার করুন