বাংলার পড়শী মোদী আসছেন ৬ জুন
দেবে বেশী, নাকি নেবে বেশী ?
মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ৬ ও ৭ জুন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে
দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে সরকার আশা করছে।
গত বছর মে মাসে ভারতের ক্ষমতায় আসার পর প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে উদ্যোগী হওয়া
মোদী কয়েকবার বাংলাদেশে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন।
গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘের অধিবেশনে এবং নেপালে সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের সময় দুই দফা
সাক্ষাতে তাকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এই এক বছরে প্রতিবেশী দেশ ভুটান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, ছাড়াও পূর্ব এশিয়ার সিঙ্গাপুর,
চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিল, উত্তর আমেরিকার দেশ যুক্তরাষ্ট্র,
কানাডা, ইউরোপের দেশ ফ্রান্স ও জার্মানি এবং অস্ট্রেলিয়াও সফর করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
কিন্তু বহু আলোচিত স্থল সীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়ন ও তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে ঝুলে থাকা চুক্তির মতো
অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সুরাহা না হওয়ায় মোদীর আর বাংলাদেশে আসা হচ্ছিল না।
গত ৬ ও ৭ মে ভারতীয় রাজ্যসভা ও লোকসভায় সংবিধানের সংশোধনীর মধ্য দিয়ে স্থল সীমান্ত
চুক্তি বাস্তবায়ন ও দুই দেশের ১৬২টি ছিটমহল বিনিময়ের বাধা কাটে।
আর আটকে থাকা তিস্তা চুক্তির আলোচনাতেও যে নতুন করে গতি আসছে, তা দুই পক্ষের
বক্তব্যেই স্পষ্ট।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সফরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে
বসবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী।
এছাড়া রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গেও তার সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে।
শেয়ার করুন