আপডেট :

        ডিজাব’র নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক

        দেশের শাসন কাঠামোর সব জায়গায় শ্রমিকদের অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করার দাবি

        সাঁথিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের কারাদণ্ড

        সংবাদপত্র ও টেলিভিশনে অবিলম্বে ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠন

        ঘুমের যত্নে প্রাকৃতিক উপায়

        গাড়িতে অযাচিত স্টিকার ব্যবহার

        অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

        উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে বন্যার সম্ভাবনা

        বর্তমান সরকার শ্রমিকদের জন্য যা করেছে, অন্য কেউ করেনি

        ২ ভাইকে পিটিয়ে হত্যা: জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি

        ভুল চিকিৎসা বলার অধিকার কারও নাই, আমারও নাই

        মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তারের কারন জানা গেলো

        সেচের অভাবে মরছে ২৪২ বিঘা ধান

        তীব্র গরমে ছাতা, ক্যাপ, বিশুদ্ধ পানি এবং খাবার স্যালাইন বিতরণ করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ

        তীব্র গরম উপেক্ষা করে বিএনপির সমাবেশ

        যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারী এবং ইসরায়েলি প্রতিরোধকারীদের সংঘর্ষ

        কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের একটি একাডেমিক ভবনে আটকে থাকা ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার

        মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ

        হাসপাতালে খালেদা জিয়া

        শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের

জনগণের সমর্থনেই ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ: শেখ হাসিনা

জনগণের সমর্থনেই ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ: শেখ হাসিনা

জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা- ফোকাস বাংলা

জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা- ফোকাস বাংলা

নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপনকারীদের কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যে যেভাবে বলতে চেষ্টা করুক না কেন, কারো দয়া বা দাক্ষিণ্যে নয়, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোট ও সমর্থন নিয়েই ক্ষমতায় এসেছে। জনগণের সমর্থন নিয়েই আওয়ামী লীগ চার চারবার ক্ষমতায় থেকে দেশের সেবা করে যাচ্ছে। জনগণের কল্যাণ ও দেশের উন্নয়নে কাজ করে বলেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে আছে।

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেছেন, যারা ক্ষমতায় থেকে সন্ত্রাস, দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি ও মানুষ হত্যা করে, যারা দেশের কল্যাণ করতে পারে না, অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীর হাতে যে দলের জন্ম- জনগণ কেন তাদের (বিএনপি) ভোট দেবে? ক্ষমতায় থেকে এরা কেবল সন্ত্রাস, দুর্নীতি, হত্যা, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি এবং যুবসমাজকে বিপথে চালিত ও প্রজন্মের পর প্রজন্মকে ধবংস করতে পেরেছে। দেশ ও দেশের মানুষকে কিছুই দিতে পারেনি। নিজেরা অর্থশালী, বিত্তশালী হয়েছে, জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন করেনি, করতে চায়ওনি।

মঙ্গলবার ঐতিহাসিক জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন তিনি।

সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসী, খুনি ও স্বাধীনতাবিরোধী চক্র বসে নেই। ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বরের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েও জনগণের কারণে তারা ক্ষমতাকে ভোগ করতে পারেনি। এজন্যই তাদের সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ।

তিনি বলেন, ২০০৮ সালের পর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের অনেক চেষ্টা ও ষড়যন্ত্র হয়েছে। জনসমর্থন না থাকলে ষড়যন্ত্র করে হত্যাকাণ্ড ঘটানো যায়। কিন্তু ক্ষমতায় আসা কিংবা টিকে থাকা যায় না। তাই আওয়ামী লীগকে নিয়ে যত বেশি নাড়াচাড়া কিংবা ষড়যন্ত্র করা হবে, আওয়ামী লীগের জনসমর্থনের শেকড় তত বেশি শক্তিশালী হবে। শক্ত হবে, পোক্ত হবে। এটাই হলো বাস্তবতা।

বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকে ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে ও ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে গঠিত রাজনৈতিক দলগুলো কখনোই দেশ ও জাতির কল্যাণ করতে পারে না। ক্ষমতাকে তারা নিজেদের ভাগ্য গড়ার কাজে ব্যবহার করে। কিন্তু জনগণ কিছু পায় না।

সমালোচকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশের একটি শ্রেণি আছে, তাদের কাজই হচ্ছে সরকারের সমালোচনা করা। এদেশে দুর্নীতির বিষবৃক্ষ রোপণ এবং অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে একটি এলিট শ্রেণি তৈরি করে ঋণখেলাপি সংস্কৃতি কারা সৃষ্টি করেছিল? দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকে তারা দেশকে কী দিতে পেরেছে? এরা কী মানুষের ভাগ্যেন্নয়নে কিছু করেছে? খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ কিংবা মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিতে পেরেছে? আসলে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসা জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়ার মূল লক্ষ্যই ছিল দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, খুন ও সমাজে সংঘাত সৃষ্টি করা। এর মাধ্যমে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করেছেন।

নির্বাচন নিয়ে সমালোচনার জবাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বলেন, জিয়া-এরশাদ ও খালেদা জিয়ার আমলে নির্বাচন কেমন ছিল? ১০টা হুন্ডা, ২০টা গুন্ডা- নির্বাচন ঠান্ডা। ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ ভোটে হারেনি। ষড়যন্ত্র করে হারানো হয়েছিল। আর খালেদা জিয়া এক কোটি ২৩ লাখ ভূয়া ভোটার দিয়ে তালিকা করেছিলেন। অনেকে হয়তো ভুলে যান, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনে শুধুমাত্র ভোটচুরির অপরাধে খালেদা জিয়াকে জনগণ অভ্যুত্থান ঘটিয়ে মাত্র দেড় মাসের মাথায় পদত্যাগ করতে বাধ্য করিয়েছিল।

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত