সরকার উন্নয়ন সম্পর্কে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মঙ্গলবার অভিযোগ করে বলেছেন, সরকার উন্নয়নের কথা বলে দেশের বাস্তব অবস্থা সম্পর্কে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে।
তিনি বলেন, ‘তারা (সরকার) প্রায়শই দেশে বিশাল উন্নয়নের কথা বলে। তারা নিজেদের উন্নয়নের রোল মডেল বলছে। তবে গতকাল (সোমবার) প্রকাশিত ইউএনডিপির মানব উন্নয়ন সূচকে দেখা গেল বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়াতে পঞ্চম। এটি ভুটানেরও নিচে।’
বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল বলেন, ‘এখানেই বুঝা যায় যে আসলে আমাদের উন্নয়নের কথা যেটা বলা হচ্ছে এটা আসলেই পুরোপুরিভাবে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা, এর উদ্দেশ্য হচ্ছে তারা জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়।’
তিনি অভিযোগ করেন যে সরকার সকল ক্ষেত্রেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধবংস করে দিয়েছে। ‘তারা দলীয়করণের মাধ্যমে বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে নষ্ট করেছে এবং অর্থনীতিকে লুটপাটের অর্থনীতিতে পরিণত করেছে।’
বিএনপি নেতা বলেন, সরকার সংসদকে পুরোপুরি অকেজো করে তুলেছে এবং নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে দিয়েছে। ‘যার ফলশ্রুতিতে আপনারা দেখেছেন যে বিশিষ্ট নাগরিকরা বলছেন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব নয়।’
ফখরুল বলেন, তাদের দল মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রের চেতনা ফিরিয়ে আনার একমাত্র লক্ষ্য নিয়ে ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন উপলক্ষে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
তিনি অবশ্য করোনাভাইরাস সংক্রমণের ব্যাপকতা ও রাজনৈতিক পরিবেশের প্রতিকূলতার মধ্যে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানমালা জনগণের কাছে গিয়ে করার বিষয়ে শঙ্কার কথাও জানান।
ফখরুল বলেন, এটা দুঃখজনক যে জাতি যখন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে যাচ্ছে, তখন খালেদা জিয়ার মতো একজন মুক্তিযোদ্ধাকে ‘মিথ্যা’ মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে কারাগারে রাখা হয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা দেখি যে স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে অপমান করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের যারা প্রধান ছিলেন বা যারা সামনের সারির ছিলেন, যারা অগ্রণী ছিলেন তাদের হেয় প্রতিপন্ন করা হয়। আসুন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আমরা অত্যন্ত মর্যাদার সাথে পালন করি এবং মুক্তিযুদ্ধের সাথে যারা জড়িত ছিলেন তাদের সম্মান প্রতিষ্ঠা করি এবং মূল যে লক্ষ্য গণতন্ত্র তাকে পুনরায় প্রতিষ্ঠা করি।’
স্বাধীনতা জাতির সবচেয়ে বড় অর্জন উল্লেখ করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠিত বিএনপির প্রধান দায়িত্ব হলো এটি রক্ষা করা।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ১৫টি বিষয়ভিত্তিক কমিটি ও ১০টি বিভাগীয় কমিটির নাম ঘোষণা করেন।
এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/বি
শেয়ার করুন