চার গুণীজনকে একান্নবর্তী-রণজিৎ বিশ্বাস স্মৃতি সম্মাননা প্রদান
আমরা কেন ধর্ষককে সম্ভ্রমহারা পুরুষ বলি না: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাঁচ থেকে ছয় লাখ নারী অসম্মানিত, লাঞ্ছিত, ধর্ষিত, বিধবা বা নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন। তাদের লাঞ্ছনাকারী রাজাকার, আলবদর, আল শামসদের ১৯৭৫ সালের পর এদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসানো হয়েছে, তাদের গাড়িতে পতাকা ওড়ানো হয়েছে। তারা ক্ষমতায় বসে দেশকে জঙ্গিবাদে পরিণত করেছে। নারীর অবমাননাকারীরা আবারও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ফিরে এলে দেশে আবারও জঙ্গিবাদ ফিরে আসবে।
সোমবার ( ৮ মার্চ ) জাতীয় প্রেস ক্লাব আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধে নারী’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু, প্রেস ক্লাবের প্রবীণ নারী সদস্য মাহমুদা চৌধুরী এবং নারী নেত্রী কাজী সুফিয়া আখতার। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রীতা ভৌমিক।
দীপু মনি বলেন, ধর্ষক বিচারের রায়ে শাস্তি পায়। আর যে নারী ধর্ষণের শিকার হয় তার জন্য প্রতিদিনই মৃত্যুদণ্ড। সারাটা জীবন তাকে অস্পৃশ্য ভাবা হয়। এটা পুরোপুরি মানসিকতার ব্যাপার। আমরা ভাষা দিয়ে কীভাবে একজন নারীকে দাবিয়ে রাখি। যখন কেউ ধর্ষণের শিকার হয় আমরা বলি সম্ভ্রমহানি হয়েছে। আমাকে কুকুর কামড় দিলে তো সম্ভ্রমহানি হয় না। একটা পুরুষ ধর্ষণ করলে একটা নারীর কীভাবে সম্ভ্রমহানি হয়? সম্ভ্রমহানি তো সেই পুরুষের হওয়ার কথা। আমরা কেন ধর্ষককে সম্ভ্রমহারা পুরুষ বলি না?’
সভাপতির বক্তব্যে ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, বীরাঙ্গনাদের অনেকেই অবজ্ঞার চোখে দেখে। এজন্য সমাজের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। তিনি পাঠ্যসূচিতে নারী মুক্তিযোদ্ধাদের কাহিনী অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি নারী মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনী নিয়ে চলচ্চিত্র, ডকুমেন্টারি নির্মাণের প্রতি নজর দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/বি
শেয়ার করুন