আপডেট :

        আওয়ামী লীগের সমাবেশ স্থগিত করা হলো

        বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি; যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা

        বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি; যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা

        বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি; যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা

        আমিরাতের বন্দরে ভিড়ল এমভি আবদুল্লাহ

        আমিরাতের বন্দরে ভিড়ল এমভি আবদুল্লাহ

        মালয়েশিয়ায় মহড়া চলাকালীন হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত

        প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে কাতারের আমির

        ইরানে ব্যাপক হামলা করতে চেয়েছিল ইসরায়েল

        ঢাকার ফুটপাত দখল ও বিক্রি বন্ধে পদক্ষেপের অগ্রগতির নির্দেশ

        দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড হয়েছে

        শাহি লাচ্ছি ও শসা-লেবুর শরবতের রেসিপি

        টঙ্গীতে ঝুটের গোডাউনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে

        অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি ১২৭ জনের

        তিন সপ্তাহে ফোনের বিল ১ লাখ ৪৩ হাজার ডলার

        টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ক্লান্ত মোস্তাফিজকে চায় না বিসিবি

        জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের সদস্যপদ আটকে দিল যুক্তরাষ্ট্র

        ম্যানহাটনের আদালতের বাইরে নিজের গায়ে আগুন দেওয়া ব্যক্তির মৃত্যু

        যুক্তরাষ্ট্রের মেমফিসে বন্দুকধারীর হামলা, মৃত ২

        সুদহার কমানো নিয়ে ফেডের নতুন ভাবনায় আরও শক্তিশালী মার্কিন ডলার

করোনা নয়, লকডাউন আমাদের নিঃস্ব করেছে

করোনা নয়, লকডাউন আমাদের নিঃস্ব করেছে

‘করোনার চাইতে লকডাউন আমাগো নিঃস্ব করেছে। ঢাকায় চার জনের সংসার, ছেলে মেয়ে ‌স্কুলে পড়ে। বাড়ি ভাড়া দিতে হয়। আজ প্রায় এক মাস কোন ইনকাম নেই। পেট তো আর কোন বিধি-নিষেধ মানতে চায় না। জীবনের সব পুঁজি দিয়ে  ভ্রাম্যমাণ এই টং দোকানটা আমার একমাত্র সম্বল। রাস্তায় গাড়ি চলছে, অফিস চলছে, কলকারখানা, গার্মেন্টস চলছে, হোটেল চলছে শুধু আমরাই না খেয়ে আছি, আমাগো দোকানেই বন্ধ।’  

কথাগুলো বলছিলেন সেগুনবাগিচা এলাকার টং দোকান ব্যবসায়ী মোঃ মিন্টুর। বুধবার (২১ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকায় বন্ধ রাখা টং দোকানেরে সামনে দাঁড়িয়ে বলা তার কথাগুলো মেশানো ছিলো দুঃখ, আক্ষেপ, অভিযোগ ও ক্ষোভ।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত লকডাউন চলছে। দ্বিতীয় দফা লকডাউনের আজ শেষ দিন। সরকার আরও এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে। এতে হকার, ভাসমান দোকান এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পড়েছেন চরম বিপদে। লকডাউনে খপ্পড়ে পড়ে অনেকেই আজ নিঃস্ব, পথে বসেছে।

সরকারের লকডাউনের যৌক্তিকতায় প্রশ্ন তুলে মিন্টু জানালেন, সরকার কোন যুক্তিতে আমাদের মতো গরিবের দোকান বন্ধ রেখেছে। আমাদের জন্য কি কোন সাহায্যের ব্যবস্থা করেছে। প্রায় এক মাস হচ্ছে, এখনো পাইনি কোন সাহায্য ও সহযোগিতা। কিভাবে পরিবারের সংসার চালাব।  

মিন্টুর মতো আরেক ভাসমান ব্যবসায়ী জানালেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়ছে এটা আমরা জানি কিন্তু এভাবে লকডাউন দিলে আমাদের পেটে লাথি মারা ছাড়া আর কিছু নয়। যদি এমন হতো যে, কোন কিছুই চলবে না সব বন্ধ থাকবে তাহলে ঠিক ছিলো, কিন্তু সবকিছু চলবে আর আমরা দোকান করতে পারবো না! এটা মানতে কষ্ট হয় আমাদের।

দোকানদারদের অভিযোগ, সরকার গরিবদের মেরে করোনাভাইরাস ধ্বংস করতে চাচ্ছে।

সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়ে হকার ও ভাসমান ব্যবসায়ীরা জানান, সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ তাড়াতাড়ি এই লকডাউন খুলে যেন দেয়। বেশি কিছু নয় ডাল ভাত খেয়ে বেঁচে থাকতে চাই। আজ অনেক দিন ধরে আমার এই চায়ের দোকান খুলতে পারছি না। এখন এমন দিন যাচ্ছে বেশিরভাগ সময় না খেয়ে থাকি। আমরা মনে করি করোনা নয় সরকারের দেয়া লকডাউন আমাদের নিঃস্ব করে দিয়েছে। আমরা চাই আমাদের দিকে তাকিয়ে সরকার লকডাউন খুলে দিক।

 

এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/বি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত