আপডেট :

        ভারতের গ্যাংস্টার রাজনীতিবিদ মুখতারের মৃত্যু

        প্যারিস-বাংলা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে আলোচনা ও ইফতার

        ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

        রাফাহ অভিযানের প্রস্তুতি ইসরায়েলিদের

        চারুপাঠের চিত্রাঙ্কন কর্মশালা অনুষ্ঠিত

        চীনা উদ্যোক্তাদের বস্ত্র-পাট খাতে বিনিয়োগের আহ্বান পাটমন্ত্রীর

        এফটিএক্স প্রতিষ্ঠাতার ২৫ বছরের কারাদণ্ড

        পুলিশের পক্ষ থেকে ইফতার সামগ্রী বিতরণ

        বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা চান ওবায়দুল কাদের

        ওসমানীনগরে বদর দিবস পালিত

        বাংলাদেশের কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান

        ট্রেনের টিকেটসহ কালোবাজারি গ্রেপ্তার

        ৪ বিভাগে ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা

        প্রকাশ পেল তুফান সিনেমার ফার্স্টলুক

        নিউইয়র্কে রাস্তায় আচমকা নারীদের ঘুষি মারছে অজ্ঞাতরা

        যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

        পাপারাজ্জিকে ঘুষি: টেলর সুইফটের বাবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ

        দশ বছরে ৬৪ হাজার অভিবাসীর মৃত্যু, সাগরেই ৩৬ হাজার

        বাল্টিমোরে সেতুধসে দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজের সব ক্রু ভারতীয়

        কে হচ্ছেন নতুন বন্ড

দেশে বাড়ছে লকডাউন, বিচারিক ক্ষমতা পাচ্ছে পুলিশ

দেশে বাড়ছে লকডাউন, বিচারিক ক্ষমতা পাচ্ছে পুলিশ

করোনা সংক্রমণ রোধে ১৬ মে’র পর থেকে দেশে আরেক দফা লকডাউন বাড়ছে। এসময় মাস্ক পরা শতভাগ নিশ্চিত করতে পুলিশকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া হতে পারে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মে) জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

করোনা রোধে সরকারের ঘোষিত চলমান লকডাউন ১৬ মে শেষ হচ্ছে। তবে সরকারের বিধিনিষেধ অমান্য করে ঈদে বাড়ি  ফিরছেন সাধারণ মানুষ। এ অবস্থায় ১৬ মে থেকে আরেক দফা লকডাউন বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার।

গত মঙ্গলবার (১১ মে) বিকেলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘দেশে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। এটা ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে। সংক্রমণ এড়াতে আরও কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।’

এর আগে কোভিড-১৯ সংক্রমণ আর মৃত্যুর ঊর্ধ্বগতি রুখতে সারা দেশে গত ৫ এপ্রিল থেকে শুরু হয় সাত দিনের লকডাউন। লকডাউন শেষে দুদিন বিরতির পর গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে আট দিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়।

সেই মেয়াদ শেষ হয় গত ২১ এপ্রিল মধ্যরাতে। তবে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় লকডাউনের মেয়াদ ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়। পরে লকডাউন বাড়ানো হয় ৫ মে পর্যন্ত।

এরপর গত ৩ মে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে আবারও লকডাউন বাড়িয়ে আগামী ১৬ মে পর্যন্ত বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিধিনিষেধের জন্য পরীক্ষা কম হচ্ছে, শনাক্তও কম হচ্ছে। এটা সায়ন্সের মতো। আমরা যখন কঠোরতা দিলাম, আমাদের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা গত মাসের ১৫ তারিখের দিকে বলেছিলেন মে মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে এটা কমতে থাকবে। ঠিকই সেটা কমেছে। কিন্তু আমাদের বাস্তবতার নিরিখে দোকানপাট খুলে দিতে হলো, সেক্ষেত্রে আমরা দেখছি অনেক মানুষ বাইরে যাচ্ছে। শতভাগ মাস্ক পরার বিষয়টি হচ্ছে না। এটা একটা বিষয়।’

‘আরেকটি বিষয় হলো ইন্ডিয়ান ভেরিয়েন্ট, পার্শ্ববর্তী দেশের অবস্থাটা আমাদের মাথায় রাখতে হচ্ছে। আমরা আমাদেরটা কমিয়েছি বিধিনিষেধের মধ্য দিয়ে। কিন্তু ঈদ উপলক্ষে মাস্ক না পরা, কিছুসংখ্যক লোকের বাড়িতে যাওয়া- এই বিষয়গুলো আমাদের ভাবাচ্ছে। এটাও একটা সায়েন্স, হয়তো ঈদের পর সংক্রমণ আবার বেড়ে যাবে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সেক্ষেত্রে আমাদের পরিকল্পনা আমরা অবশ্যই শতভাগ মাস্ক পড়াতে হবে। জেলা শহর, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভাসহ যেসব স্থানে জনসমাগম বেশি হয়, বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ আসে- এই কানেকটিভিটির জায়গাগুলোতে আমাদের শতভাগ মাস্ক পরানোর চিন্তা-ভাবনা রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘যারা মাস্ক পরছেন তারা সেভ থাকবেন, কিন্তু যারা মাস্ক পরছেন না তারা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। তাই ঈদের পর সংক্রমণ ২০/২২ তারিখের দিকে আবার বেড়ে যেতে পারে। ওই সময়ের অবস্থাটা নিয়ে আমরা শঙ্কিত। যারা মাস্ক পরেনি তারা অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করবে কিনা, তা আমরা বুঝতে পারছি না।’

ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘সেই জায়গা থেকে আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি ঈদের পর আরও অন্তত এক সপ্তাহ এই বিধিনিষেধ চলমান রাখা। এরই মধ্যে যাতে শতভাগ মাস্ক পরাতে পারি সেই ব্যবস্থাটা করা। এই বিষয়গুলো সক্রিয়ভাবে চিন্তা-ভাবনা করছি। ১৬ তারিখের মধ্যে হয়তো প্রজ্ঞাপন দিয়ে আমরা জানাতে পারব।

 

এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/বি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত