বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় কোমেনের আঘাতে ৪ জন নিহত
ঘূর্ণিঝড় কোমেনের আঘাতে গাছ উপড়ে চাপা পড়ে চার জেলায় কমপক্ষে চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে স্থলভাগ অতিক্রম করার সময় ঝড়ো হাওয়া বইছে উপকূলজুড়ে।
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সঙ্কেত বহাল রয়েছে। মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে রয়েছে ৫ নম্বর বিপদ সঙ্কেত।
ঝড়টি বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে হাতিয়া-সন্দ্বীপের উপর দিয়ে চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. শাহ আলম জানান।
কক্সবাজার বিমান বন্দরে উঠানামা সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরেও পণ্য খালাস সীমিত রাখা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরে তিন নম্বর এলার্ট জারি করা হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচলও পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে। সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার এবং সমুদ্রগামী জাহাজগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
তিনি মধ্যরাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যেহেতু দুর্বল অবস্থায় রয়েছে, তাই উপকূল পার হতে তিন/চার ঘণ্টা লাগবে।”
শুক্রবার ভোরের আগে এটি স্থলভাগে উঠে আসার পর বৃষ্টি ঝরিয়ে আরও দুর্বল হয়ে পড়বে বলে জানানো হয়।
জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড়টি কাছাকাছি আসার পর উপকূলে ঝড়ো হাওয়ায় বহু গাছ ভেঙে পড়ায় চাপা পড়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
উপড়ে পড়া গাছের নিচে চাপা পড়ে ভোরে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপে মোহাম্মদ ইসলাম (৫০) নামে একজন নিহত হন।
দুপুরে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় নুরুল ইসলাম ফকির (৫৫) এবং ভোলার লালমোহন উপজেলায় মনজুরা বিবি (৫৫) নামে দুজনের মৃত্যু হয় গাছচাপা পড়ে।
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ঝড়ের কবলে পড়ে আট দিনের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার সময় ঝড়ো হাওয়ার মধ্যে পড়ে শিশুটি।
ভোলার চরফ্যাশনে সাগর উপকূলে তিনটি মাছধরা ট্রলার ডুবে অন্তত ২৪ জেলে নিখোঁজের খবর জানা গেছে।
ইতোমধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় ঝুঁকিপূর্ণ লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়াসহ সরকার সংশ্লিষ্ট এলাকায় বেশ প্রস্তুতি নিয়েছে।
শেয়ার করুন