যুবলীগের গুলিতে গুলিবিদ্ধ শিশুর চিকিৎসায় ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড
এর কি বিচার আদৌ হবে ?
মায়ের পেটে গুলিবিদ্ধ শিশুটির চিকিৎসায় ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ১০ সদস্যের বোর্ডে প্রধান করা হয়েছে নবজাতক ওয়ার্ডের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. আবিদ হোসেন মোল্লাকে।
শিশু সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. কানিজ হাসিনা শনিবার দুপুরে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, মেডিকেল বোর্ডে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. সাদিকা ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের অধ্যাপক ডা. রায়হানা আওয়ালকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার শিশুটির চিকিৎসায় ৪ সদস্যবিশিষ্ট একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। তারও আগে গত রোববার ৮ সদস্যবিশিষ্ট মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিশু সার্জারি বিশেষজ্ঞ এক ডাক্তার জানান, দেড় কেজির চেয়ে একটু বেশি ওজনের এ শিশুটির শরীরে অস্ত্রোপচার করা হয়। ৪টি ক্ষতস্থানে ২১টি সেলাই দেয়া হয়। অস্ত্রোপচার সফল হলেও ওইদিন রাতে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। ফলে বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ঢামেক হাসপাতালের এনআইসিইউ ও নবজাতক ওয়ার্ড নিওনেটোলজি বিভাগের আইসিইউতে জরুরি ভিত্তিতে স্থানান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, মাগুরা জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদের নির্বাচন নিয়ে শিশুটির চাচা যুবলীগ নেতা ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী কামরুল ভূঁইয়ার সঙ্গে অপর প্রার্থী আজিববর আলীর দ্বন্দ্ব হয়। এর জের ধরেই ২৩ জুলাই মাগুরা শহরের দোয়ারপাড় কারিগরপাড়ায় কামরুলের বাড়িতে হামলা চালান আজিববরের লোকজন। এতে সংঘর্ষের সৃষ্টি হলে কামরুলে ভাবী অন্তঃসত্ত্বা নাজমা আক্তার (৩৫) গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ নাজমাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শিশুটির জন্ম হয়। শিশুটির অবস্থার অবনতি হলে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেলে।
এ ঘটনায় নাজমার চাচাশ্বশুর মমিন ভূঁইয়া গুলিবিদ্ধ ও বোমায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাগুরা সদর হাসপাতালে মারা যান।
শেয়ার করুন